// নির্বাচনী কুইজ //
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা কে ?
১) শহীদ ইসলাম পাপুল
২)হাসিনা ওয়াজেদ
৩) খালেদা জিয়া
২০১৮ সালে সংঘটিত লক্ষীপুর -২ আসনের নির্বাচনের আলোকে উত্তর দিন ?
নবীগঞ্জে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রবিবার (২৬ মার্চ) বিকেল ৩ টায় নবীগঞ্জ পৌরসভা পরিষদ প্রাঙ্গণে নবীগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।পৌরসভার জাতীয় উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও কাউন্সিলর মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী। সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মো. আব্দুর রউফ, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ, পৌরসভার প্যানেল মেয়র-৩ ফারজানা আক্তার পারুল, কাউন্সিলর মো. ফজল আহমদ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কাউন্সিলর মো. নানু মিয়া। উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর যুবরাজ গোপ, সৈয়দা নাসিমা বেগম ও পূর্ণিমা রানী দাশ, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তারিকুল ইসলাম, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শেখ মো. জালাল উদ্দিন, সহকারী প্রকৌশলী মো. সহিদুল হক, সাংবাদিক মুহিবুর রহমান চৌধুরী তছনু, মোঃ হাসান চৌধুরী, সাগর মিয়া, তুহিন আলম রেজওয়ানসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও সুধীবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরান তেলাওয়াত করেন পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. সহিদুল হক। পবিত্র গীতাপাঠ করেন স্যানেটারি ইন্সপেক্টর সুকেশ চক্রবর্ত্তী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পৌরসভার সহকারী কর আদায়কারী পৃথ্বীশ চক্রবর্ত্তী। প্রধান অতিথি বলেন- “জাতির সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকাংশই আজ জীবিত নেই। যাঁরা আমাদের মাঝে জীবিত আছেন তাঁদের কাছ থেকে দেশের তরুণ প্রজন্মকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।” তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কথামালা শিশু-কিশোরদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কৃতিশিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয় এবং অতিথিবৃন্দ সহ সবাইকে উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়।
ওবায়দুল কাদেরের ভাইরাল ডায়লগ : জামানত বাজেয়াপ্তের ভয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায়না ।
এবার মনে হচ্ছে , আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্ল্যান বিএনপি আগে ভাগে বুঝে গেছে।
বিজ্ঞজন মনে করেন , ওবায়দুল কাদেরের চাওয়া শুধু নির্বাচনে হারানো নয় , বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচন কমিশনে জমা থাকা নমিনেশনের শেষ কড়িটাও কেড়ে নেওয়া।
ওবায়দুল কাদের জানেন নির্বাচন কমিশনের কাছে তার আব্দার "বিএনপির জামানত বাজেয়াপ্ত " ছেলের হাতের মোয়া চাওয়ার মত সস্তা জিনিস।
তার না হলে কার আবদারে এমন অসম্ভব কে সম্ভব করানো হয়েছিল? ১৯৯১ এর পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর দ্বিগুন ভোটে জিতে আসা লক্ষীপুর-২ আসনে বিএনপি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত , নাম-গোত্রহীন পপুলের মত একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে ২০১৮ এর নির্বাচনে ?
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়: ১৭,১৮,৬৮,৮০ এবং ১১০ নং সেন্টারে বিএনপি কোন ভোট পায়নি। এই ৫ টি সেন্টারের মোট বৈধ কাস্ট ১১০১৬ টি ভোটের মধ্যে শহীদ.আলম.পাপুল (স্বতন্ত্র) ১১০০১ টি ভোট পায় আর বিএনপির প্রাক্তন এমপি আবুল খায়ের ভূঁইয়া পান ০ (শূন্য ) ভোট !!
সেন্টার ৫ টির টোটাল দেয়া হলো :
মোট ভোট কাস্ট :11050,
,মোট বৈধ ভোট: 11016,
, শহীদ.আলম.পাপুল (স্বতন্ত্র) : ১১০০১ ,
,আবুল খায়ের ভূঁইয়া(BNP):0 ,
, (৪জন স্বতন্ত্র + JP প্রার্থীর ভোট ): ১৫ ,
,মোট নষ্ট ভোট : 34,
,শতকরা হার : 71%-98% ,
বিএনপির ভোটগুলো গেলো কোথায় ? মোহাম্মদ আরাফাত হুসেনের মতে তাদের ভোটগুলো ভোট দিতে আসেনি ?
৯৮% ভোট কাস্ট হলো , প্রবাসী , জিন্দা মুর্দা কেউ বাকি থাকলো না শুধু বাকি থাকলো বিএনপির ভোটার? বিএনপির ভোটার নির্বাচনে আসলে কি ১৫০% পর্যন্ত ভোট কাস্ট হয়ে যেত না ?
নাকি একেকটি সিটে ৪/৫ জন বিএনপির প্রার্থী থাকায় ভোটগুলো ভাগ বাটোয়ারা হয়ে গেছে ?
৪জন স্বতন্ত্র আর জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মোট ভোট : ১৫ টি
৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী যদি বিএনপির হোন তাহলে তারা টোটাল বিএনপির ভোট নষ্ট করেছেন ১৫টি :
তাহলে বিএনপির ভোটগুলো গেলো কোথায় ?
হিসাব মিলতেছেনা . গোজা মিলেরও মিল থাকে . নির্বাচনের এই রিজাল্ট কোন হিসাবেই কভার করতেছেনা.
এমনকি নির্বাচনে পপুলুর জন্য জাল ভোট বৈধ করে দিলেও তার পক্ষে ৫ টি সেন্টারে ৩০০০ ভোটও কালেক্ট করা সম্ভব হবেনা , তার না আছে নাম , না আছে পরিচিতি , না আছে পারিবারিক ঐতিহ্য , না আছে কোন রাজনৈতিক দলের সাপোর্ট . তার থরে থরে গাদ্দি গাদ্দি ভোট পাওয়ার চাঞ্জল্যকর তথ্য দেখে অনুমান করা যায় এ সব সেন্টারে কোন ধরনের ভোট বা সিল চাপ্পরের ঝামেলায় না গিয়ে রিজাল্ট শিট তৈরী করা হয়েছে .
এক সময় মেট্রিক-ইন্টারমিডিয়েটের সার্টিফিকেট( মার্কশীটে বিরাট বিরাট মার্ক দেখিয়ে) বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের কাছ থেকে লোকজন কিনে আনতো বিদেশ যাওয়ার জন্য ।
কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিজাল্ট শীটও যে কিনতে পাওয়া যায় তা এই শীট দেখার আগে আমাদের জানা ছিলোনা !
দ্বাদশ নির্বাচন পরিচালনা করতে চাওয়া আওয়ামীলীগ কি প্রমান করতে পারবে তারা জনগণ দ্বারা নির্বাচিত?
ডেটলাইন লক্ষীপুর -২ : সারা দেশের রেজাল্ট লাগবেনা শুধু এই এই আসনের রেজাল্টই প্রমান করে দেবে ২০১৮ সালে দেশে কোন নির্বাচন হয়নি, এমনকি মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ডের জাল জালিয়াতিপূর্ণ নির্বাচনও না, যা হয়েছে তা শুধু পুলিশ আর নির্বাচন কমিশনের নীলক্ষেতে তৈরী ফেইক নির্বাচীন রিজাল্টশিট বিতরণ মাত্র।
লক্ষীপুর-২, খালেদা জিয়ার আসন নামে পরিচিত, তার বাপ-দাদার জন্ম স্থান, ১৯৯১সালের পর থেকে প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বচনে বিএনপি এই আসন থেকে পাস করে যাচ্ছে।
*** স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ আলম পাপলুর কাছে বিএনপির সাংসদ আবুল খায়ের ভূঁইয়া শুধু জামানত বাজেয়াপ্ত !
২০১৮ এর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ আলম পাপলুর কাছে ধানের শীষের প্রাথী বিএনপির দুই টার্মের নির্বাচিত সাংসদ আবুল খায়ের ভূঁইয়া শুধু জামানতই হারাননি ২লক্ষের ও অধিক ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন। অথচ, আবুল খায়ের ভূঁইয়া এই সিটে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রাক্তন এম.পি হারুনুর রশিদকে ৭৮৫৪৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন।
*** ৫টি সেন্টারে পাপুলের ১১,০০১(এগার হাজার এক ) ভোটের বিপরীতে বিএনপির ০ (শূন্য ) ভোট ?
২০১৮ এর নির্বাচনে নিম্নোক্ত ৫টি সেন্টারে স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ আলম পাপুলের ১১,০০১(এগার হাজার এক ) ভোটের বিপরীতে বিএনপির দুই টার্মের নির্বাচিত সাংসদ আবুল খায়ের ভূঁইয়ার ০ (শূন্য ) ভোট ?
নং |
কেন্দ্র |
প্রদত্ত বৈধ ভোট |
শহীদ.আলম.পাপুল |
আবুল খায়ের ভূঁইয়া |
মোট বাতিল |
প্রদত্ত ভোট |
শতকরা হার |
প্রার্থী B |
প্রার্থী D |
প্রার্থী E |
প্রার্থী G |
প্রার্থী H |
মোট ভোটার |
|
|
|
Mango |
BNP/Paddy |
|
|
|
স্বতন্ত্র |
স্বতন্ত্র |
J.P./লাঙ্গল |
স্বতন্ত্র |
স্বতন্ত্র |
|
1 |
17 চর বংশী মজিদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় । |
2038 |
2036 |
0 |
0 |
2038 |
89% |
0 |
2 |
0 |
0 |
0 |
2269 |
2 |
18 উত্তর চরবংশী জাফরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় |
2199 |
2187 |
0 |
1 |
2200 |
89% |
3 |
9 |
0 |
0 |
0 |
2451 |
3 |
68 গাইয়ারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় |
2542 |
2541 |
0 |
8 |
2550 |
88% |
1 |
0 |
0 |
0 |
0 |
2896 |
4 |
80 উত্তর হামছাদী সরঃ প্রাঃ বিঃ (বদু পাটওয়ারী স্কুল) |
1518 |
1518 |
0 |
5 |
1523 |
71% |
0 |
0 |
0 |
0 |
0 |
2118 |
5 |
110 রশিদপুর সরঃ প্রাঃ বিঃ |
2719 |
2719 |
0 |
20 |
2739 |
98% |
0 |
0 |
0 |
0 |
0 |
2803 |
৪ এবং ৫ নং সেন্টারে শত ভাগ ভোট পড়েছে সরকার দলীয় প্রার্থীর মার্কায়
১ নং সেন্টারের ২০৩৮ জন ভোটারের একটি ভোটও নষ্ট হয় নাই, ২ নং সেন্টারের ২১৯৯ জন ভোটারেরএকটিভোটওনষ্টহয়েছে।
এর সংক্ষিপ্তট্যাবুলারফর্মনিচেদেওয়াহলো।
কেন্দ্র নং |
মোট ভোট কাস্ট |
মোট বৈধ ভোট |
শহীদ.আলম.পাপুল (স্বতন্ত্র) |
আবুল খায়ের ভূঁইয়া(BNP) |
৫জন স্বতন্ত্র প্রার্থীরভোট |
মোট নষ্ট ভোট |
শতকরা হার |
17,18,68,80,110 |
11050 |
11016 |
11001 |
0 |
15 |
34 |
71%-98% |
*** আওয়ামী বুদ্ধিজীবীদের বিএনপির ভোট হাওয়া হওয়ার কারণ উদঘাটন।
কারণ ১) মোহাম্মদ আরাফাত হুসেনের মতে ,"নির্বাচনের আগে বিএনপি ভোটের জন্য প্রচার প্রচারণা ,মিছিল মিটিং কোন কিছু করেনি বলে বিএনপির ভোট নির্বাচনে দেখা যায়নি। বিএনপির ভোটারের নির্বাচনে আসেনি। "
১ নং কারণ বিশ্লেষণ: ৯৮% ভোট কাস্ট হলো , প্রবাসী , জিন্দা মুর্দা কেউ বাকি থাকলো না, শুধু থাকলো বিএনপির ভোটার ??? বিএনপির ভোটার নির্বাচনে আসলে কি ১৫০% পর্যন্ত ভোট কাস্ট হয়ে যেত না ??
কারণ ২) হানিফ , ওবায়দুল কাদের আর হাসান মাহমুদের মতে," নির্বাচনে বিএনপি সিট বাণিজ্য করেছে। একেকটি সিটে ৪/৫ জন করে প্রার্থী থাকায় ভোট ভাগ বাটোয়ারা হয়ে গেছে , এর জন্য বিএনপির ভোটাররা নির্বাচন বিমুখ হয়ে গেছে।"
২ নং কারণ বিশ্লেষণ: একেকটি সিটে ৪/৫ জন বিএনপির প্রার্থী থাকায় ভোটগুলো ভাগ বাটোয়ারা হয়ে গেছে ?
৪জন স্বতন্ত্র আর জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মোট ভোট : ১৫ টি
৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী যদি বিএনপির হোন তাহলে তারা টোটাল বিএনপির ভোট নষ্ট করেছেন মাত্র ১৫ টি .
অতএব , দেখা যাচ্ছে বিএনপির ভোট ভাগ বাটোয়ারা হয়নি।
তাহলে কি কারণ হিসাবে ধরে নিতে হবে ," নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী দেখে বিএনপি ভোটাররা নির্বাচন বিমুখ হয়ে গেছে ?"
৯৭% থেকে ৯৮% ভোট কাস্ট হওয়ার পর যদি বলা হয়নি বিএনপির ভোটাররা নির্বাচনে আসেননি তাহলে কি দাঁড়ায়?
রিজাল্ট শিটের দেখানো মিনিমাম ৫২% ভোটারই ফেইক।
কেন মিনিমাম ৫২% ই ফেইক ভোট বললাম, তা লক্ষীপুর-২ আসনে বিএনপির নির্বাচন জয়ের ইতিহাস ফলো করলে সহজেই অনুমান হবে।
লক্ষীপুর-২: আসনে বিএনপির নির্বাচন জয়ের ইতিহাস। লক্ষ্য করুন : প্রাপ্ত ভোট এবং তার পার্সেন্টেজে ।। https://en.wikipedia.org/wiki/Lakshmipur-2
Year |
Party |
Candidate |
Votes |
শতকরা হার |
2008 |
BNP |
129,995 |
57.1 |
|
|
AwamiLeague |
51,732 |
39.6 |
|
2001 |
BNP |
123,526 |
72.2 |
|
|
AwamiLeague |
44,974 |
26.3 |
|
1996 |
BNP |
59,054 |
51.6 |
|
|
AwamiLeague |
Tozmmel Hossain Chowdhury |
26,937 |
23.6 |
1991 |
BNP |
38,599 |
53.5 |
|
|
|
Khaled Md. Ali |
23,929 |
33.2 |
|
|
|
|
|
*****
২০১৮ এর নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে , আওয়ামীলীগের মুখপাত্র এইচ.টি.ইমামের মুখে শোনা যায় নির্বাচন কমিশনের সাথে শেখ হাসিনা সরকারের অভূতপূর্ব সমন্বয়, নির্বাচন কমিশন সব ধরনের দাবি চাহিবা মাত্র পূরণ করার। তখনকার সেনাবাহিনী প্রধান আজিজ আহমদের দৃষ্টিতে ৪৭ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপুর নির্বাচন।
২০১৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুলিশ,নির্বাচন কমিশন ,প্রশাসন আর সরকরের অভূতপূর্ব সমন্বয়ের উজ্জ্বল উদাহরণ লক্ষীপুর-২ , বিএনপির দুই টার্মের নির্বাচিত সাংসদ আবুল খায়ের ভূঁইয়ার (প্রাপ্ত ভোট :২৮০৬৫ ) স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ আলম পাপুলের(প্রাপ্ত ভোট : ২৫৬৬৪৪ ) কাছে জামানত বাজেয়াপ্ত।
|
2018 |
বি.এন.পি |
28065 |
শহীদ.আলম.পাপুল |
256644 |
ব্যবধান |
-228579 |
|
2001 |
2008 |
বি.এন.পি |
123526 |
129995 |
আওয়ামীলীগ |
44974 |
51723 |
ব্যবধান |
+78552 |
+78263 |
২০০১ এর নির্বাচনে বি.এন.পি পেয়েছিল ১,২৩,৫২৬ আর ২০০৮ এর নির্বাচনে পেয়েছিল ১,২৯,৯৯৫। এই ধারা অনুসরণ করলে বিএনপির ভোট ২০১৮ এর নির্বাচনে আরো ৬ হাজার বেড়ে ১৩৫০০০ হওয়ার কথা। যার সুস্পষ্ট ধারণা আমরা গ্রাফেরনরমালকার্ভঅনুসরণকরেপেতেপারি।
১,২৩,৫২৬ -> ১,২৯,৯৯৫ -> ১৩৫,০০০
তানাহয়ে ২০১৮এরজাতীয়সংসদনির্বাচনে সেটি কমে শুধু ২৮ হাজার হলো কিভাবে ?
১,২৩,৫২৬ -> ১,২৯,৯৯৫ -> ২৮০৬৫
***২০১৮ এর নির্বাচনে লক্ষীপুর-২ আসনের ১২ টি সেন্টারে প্রকৃত ভোট হওয়ার লক্ষণ পাওয়া যায়।
২০১৮ এর নির্বাচনে লক্ষীপুর-২ আসনের ৬০% এর নিচে কাস্ট হওয়া মোট ১২ টি সেন্টারের ভোট গুলো যোগ করে গ্রাফ করলে দেখা যায় বিএনপির আবুল খায়ের ভূঁইয়া অতীতের অন্যান্য নির্বাচনের মতো ৬০.৮৭% পেয়েছেন আর পাপলু পেয়েছেন ৩৭.২৪%.
34% to 60% total ১২ টি সেন্টার
{
"_id": 275,
"Candidate B": 189,
"শহীদ.আলম.পাপুল ": 6140, 37%
"আবুল খায়ের ভূঁইয়া(“BNP): 10036, 61%
"Candidate D": 34,
"Candidate E": 20,
"Candidate G": 58,
"Candidate H": 9,
"মোট বৈধ ভোট কাস্ট ": 16486
}
**** ভোটের হার যেখানে অস্বাভাবিক সেখানেবিএনপিরভোটঅস্বাভাবিকভাবেহ্রাসপায়।
বিএনপি নির্বাচনী প্রচারণায় অমনোযোগী থাকলে যেখানে ভোটের হার কম সেখানে স্বাভাবিক ভাবে বিএনপি কম ভোট পাওয়ার কথা আর যেখানে ভোট কাস্টিং বেশি সেখানে বিএনপি বেশি ভোট পাওয়ার কথা কিন্তু তা না হয়ে কি করে টোটালি অপোজিট হয়ে গেলো?
হয় ৯৯% ভোট কাস্টিং আর বিএনপি পায় (০)শূন্য ভোট? ইন্টারেস্টিং বটে !!
61% to 100% vote cast
{
"_id": null,
"Candidate B": 3199,
"শহীদ.আলম.পাপুল ": 250504, 91.09%
"আবুল খায়ের ভূঁইয়া(BNP)”: 18029, 6.55%
"Candidate D": 1071,
"Candidate E": 800,
"Candidate G": 251,
"Candidate H": 1125,
"মোট বৈধ ভোট কাস্ট ": 274979
}
(অসমাপ্ত )
২০১৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত আওয়ামীলীগ আবারো আরেকটি নির্বাচন করতে চায় . সে নির্বাচন নিয়ে আওয়ামীলীগের বক্তব্য সুস্পষ্ট " তারা একটি আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন উপহার দিয়েছে" আর বিএনপির বক্তব্য পুরু উল্টো ," এটি কোন নির্বাচনই হতে পারেনা "
দেখা যাক , আওয়ামীলীগ বিএনপির পরস্পর বিরুধী বক্তব্যে না গিয়ে নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে থাকা নির্বাচনী ডাটা বিশ্লেষণ করে আমরা নির্বাচন নিয়ে কোন কনক্লুশনে আসতে পারি কিনা ?
লক্ষিপুর -২ আসন: খালেদা জিয়ার আসন নামে পরিচিত , তার বাবার বাড়ি এখানে . এই আসনে স্বতন্ত্র শহীদ আলম পাপলুর কাছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ধানের শীষের জামানত বাজেয়াপ্ত !
এই আসনে ১৯৯১ সালের পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে বিএনপি পাস করেছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কিন্তু , ২০১৮ এর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা তো দূরের কথা জামানত পর্যন্ত হারাতে হয়েছে পপুলের মত স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে .
হিসাব করে দেখা যায় : ১৭,১৮,৬৮,৮০ এবং ১১০ নং সেন্টারে বিএনপি কোন ভোট পায়নি। এই ৫ টি সেন্টারের মোট বৈধ কাস্ট ১১০১৬ টি ভোটের মধ্যে শহীদ.আলম.পাপুল (স্বতন্ত্র) ১১০০১ টি ভোট পায় আর বিএনপির প্রাক্তন এমপি আবুল খায়ের ভূঁইয়া পান ০ (শূন্য ) ভোট !!
২০১৮ এর নির্বাচনে নিম্নোক্ত ৫টি সেন্টারে স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ আলম পাপুলের ১১,০০১(এগার হাজার এক ) ভোটের বিপরীতে বিএনপির দুই টার্মের নির্বাচিত সাংসদ আবুল খায়ের ভূঁইয়ার ০ (শূন্য ) ভোট, জামানত বাজেয়াপ্তেরও কি সম্মান রাখে ?
নং |
কেন্দ্র |
প্রদত্ত বৈধ ভোট |
শহীদ.আলম.পাপুল |
আবুল খায়ের ভূঁইয়া |
মোট বাতিল |
প্রদত্ত ভোট |
শতকরা হার |
প্রার্থী B |
প্রার্থী D |
প্রার্থী E |
প্রার্থী G |
প্রার্থী H |
মোট ভোটার |
|
|
|
Mango |
BNP/Paddy |
|
|
|
স্বতন্ত্র |
স্বতন্ত্র |
J.P./লাঙ্গল |
স্বতন্ত্র |
স্বতন্ত্র |
|
1 |
17 চর বংশী মজিদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় । |
2038 |
2036 |
0 |
0 |
2038 |
89% |
0 |
2 |
0 |
0 |
0 |
2269 |
2 |
18 উত্তর চরবংশী জাফরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় |
2199 |
2187 |
0 |
1 |
2200 |
89% |
3 |
9 |
0 |
0 |
0 |
2451 |
3 |
68 গাইয়ারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় |
2542 |
2541 |
0 |
8 |
2550 |
88% |
1 |
0 |
0 |
0 |
0 |
2896 |
4 |
80 উত্তর হামছাদী সরঃ প্রাঃ বিঃ (বদু পাটওয়ারী স্কুল) |
1518 |
1518 |
0 |
5 |
1523 |
71% |
0 |
0 |
0 |
0 |
0 |
2118 |
5 |
110 রশিদপুর সরঃ প্রাঃ বিঃ |
2719 |
2719 |
0 |
20 |
2739 |
98% |
0 |
0 |
0 |
0 |
0 |
2803 |
৪ এবং ৫ নং সেন্টারে শত ভাগ ভোট পড়েছে সরকার দলীয় প্রার্থীর মার্কায়
১ নং সেন্টারের ২০৩৮ জন ভোটারের একটি ভোটও নষ্ট হয় নাই, ২ নং সেন্টারের ২১৯৯ জন ভোটারেরএকটিভোটওনষ্টহয়েছে।
এর সংক্ষিপ্তট্যাবুলারফর্মনিচেদেওয়াহলো।
মোট ভোট কাস্ট |
মোট বৈধ ভোট |
শহীদ.আলম.পাপুল (স্বতন্ত্র) |
আবুল খায়ের ভূঁইয়া(BNP) |
৫জন স্বতন্ত্র প্রার্থীরভোট |
মোট নষ্ট ভোট |
শতকরা হার |
11050 |
11016 |
11001 |
0 |
15 |
34 |
71%-98% |
বিএনপির ভোটগুলো গেলো কোথায় ? মোহাম্মদ আরাফাত হুসেনের মত তাদের ভোটগুলো ভোট দিতে আসেনি ?
৯৮% ভোট কাস্ট হলো , প্রবাসী , জিন্দা মুর্দা কেউ বাকি থাকলো না শুধু থাকলো বিএনপির ভোটার ??? বিএনপির ভোটার নির্বাচনে আসলে কি ১৫০% পর্যন্ত ভোট কাস্ট হয়ে যেত না ??
নাকি একেকটি সিটে ৪/৫ জন বিএনপির প্রার্থী থাকায় ভোটগুলো ভাগ বাটোয়ারা হয়ে গেছে ?
৪জন স্বতন্ত্র আর জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মোট ভোট : ১৫ টি
জাতীয় পার্টির প্রার্থীর প্রাপ্ত ৩ টি ভোট বাদ দিলে হয় :১২ টি .
৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী যদি বিএনপির হোন তাহলে তারা টোটাল বিএনপির ভোট নষ্ট করেছেন ১২ টি :
তাহলে বিএনপির ভোটগুলো গেলো কোথায় ?
হিসাব মিলতেছেনা . গোজা মিলেরও মিল থাকে . নির্বাচনের এই রিজাল্ট কোন হিসাবেই কভার করতেছেনা.
এমনকি নির্বাচনে পপুলুর জন্য জাল ভোট বৈধ করে দিলেও তার পক্ষে ৫ টি সেন্টারে ৩০০০ ভোটও কালেক্ট করা সম্ভব হবেনা , তার না আছে নাম , না আছে পরিচিতি , না আছে পারিবারিক ঐতিহ্য , না আছে কোন রাজনৈতিক দলের সাপোর্ট . তার থরে থরে গাদ্দি গাদ্দি ভোট পাওয়ার হিসাব দেখে চাঞ্জল্যকর তথ্য দেখে অনুমান করা যায় এ সব সেন্টারে কোন ধরনের ভোট বা সিল চাপ্পরের ঝামেলায় না গিয়ে রিজাল্ট শিট তৈরী করা হয়েছে .
এক সময় মেট্রিক-ইন্টারমিডিয়েটের সার্টিফিকেট( মার্কশীটে বিরাট বিরাট মার্ক দেখিয়ে) বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের কাছ থেকে লোকজন কিনে আনতো বিদেশ যাওয়ার জন্য ।
কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিজাল্ট শীটও যে কিনতে পাওয়া যায় তা এই শীট দেখার আগে আমাদের জানা ছিলোনা !
নবীগঞ্জ উপজেলার হালিতলা বারৈকান্দি গ্রামে পর্ব বিরোধের জের ধরে শুক্রবার বিকেলে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে গুরুতর আহত ৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন ও বাকীদের ভর্তি এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, প্রায় ২০/২৫ দিন পুর্বে উক্ত গ্রামে মিনি ফুটবল খেলায় দু’ দলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক গ্রæপে নেতৃত্ব দেন ওই গ্রামের ইসলাম উদ্দিন, মজমদর আলী, মাতাব আলী ও মৃত নসর উদ্দিনের ছেলে খালেদ মিয়া। অপর গ্রæপে নেতৃত্ব দেন আজিম উদ্দিন, আছকান মিয়া ও হারুন মিয়া। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানসহ মুরুব্বীয়ান শালিসের উদ্যোগ নেন। পরবর্তীতে মৃত খালেদ মিয়া তা প্রত্যাখান করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খালেদ মিয়ার গোষ্টির লোকজন প্রতিপক্ষের সাথে দাঙ্গা হাঙ্গামার পরিকল্পনা করে দেশীয় অস্ত্র তৈরী করে। এছাড়া তার বলয়ে শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে উক্ত গ্রামের আব্দাল মিয়ার ছেলের সাথে খালেদ মিয়ার চাচাতো ভাই ওয়াদুদ মিয়ার মেয়ে বিবাহ দেয়া হয়। ফলে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে খালেদ গোষ্টির সাথে আব্দাল মিয়া মিরাশ মিয়ার গোষ্টি যোগ দিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে লাটিসোটা নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা করলে সংঘর্ষের সুত্রপাত ঘটে। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহতরা হলেন আজাদ মিয়া (৩২), জাকারিয়া (২৪), সাজু আহমদ (২২), সুমতি বেগম (৩৫), রাজন (১৯), সুমন (৩০), রোমান আহমদ (২৬),জীবন মিয়া (২০), জুলেখা বেগম (২০), বোরহান উদ্দিন (৩৩), আসমান (২৩), খালেদ মিয়া (৩৫), মুদ্দত আলী (৩৮), সুমন আহমেদ (২৩), সোহাগ আহমেদ (৩২), রাজীব মিয়া (২৬), হেলাল মিয়া (৩৩), নজরুল (৪০), আক্কল মিয়া (২৭), নানু মিয়া (২০), কমলা মিয়া (২২), দুলাল মিয়া (২৪),সাদেক মিয়া (৩২), রুহেল মিয়া (২২), কামরুল হক (২৪), বাবুল মিয়া (২৩), সোলেমান (২০), আলী হোসেন (৩৩), দরাজ মিয়া (২৪), আঃ রহমান (৩৪), আবুল মিয়া (৪৫), মইনুল হক (২৫), আলতাব উদ্দিন (৫৫), আইনুল হক (৩২), সাইদী মিয়া (২২), মনছুর মিয়া (২৭), সোহেল মিয়া (৩৩), সোয়াইবুর রহমান (২৪), স্বপন মিয়া (২২)। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। বাকীদের ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মৃত নসর উদ্দিনের ছেলে খালেদ মিয়া এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। ইতিমধ্যে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়ে হাজতবাস করে জামিনে মুক্তি পায়। তার দাফটে এলাকার লোকজন আতংকিত। এছাড়া তৃতীয় একটি অপশক্তির উক্ত দাঙ্গা হাঙ্গামার পিছনে হাত রয়েছে। খবর পেয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ ডালিম আহমদ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মালিক ও সাবেক প্যানেল মেয়র-১ এটিএম সালাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহŸান জানান।
গত নির্বাচনে ২৫০ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত মোতাহার হুসেন নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দী এবং সর্বজনগ্রাহ্য অবিসংবাদিত নেতা
হিসাবে জানান দিতে সংসদে দাবি করলেন "এরশাদও তার কাছে জামানত হারিয়েছেন "। কাজী ফিরোজ রশিদ সংসদ ফ্লোরে
মাইক ছাড়াই উষ্মা প্রকাশ করলেন এই বলে "তুমি কোন বীরবিক্রম আসলা যে, জেলে থেকে ৫ সিটে পাশ করে আসা এরশাদকে
ফেল করাইয়া দিলা!"
মোতাহার হুসেন কর্তৃক এরশাদের জামানত বাজেয়াপ্তের দাবি সংসদের রেকোর্ড বুক থেকে এক্সপাঞ্জ করা হবে বলে স্পিকার রুলিং দিলেন .
ফুলফুটুক আর না ফুটুক ফাগুন মানেই বসন্ত, কাজী ফিরুজ রশিদের ভালো লাগুক আর না লাগুক ২০১৪ এর নির্বাচনের
এম.পি.র মানেই , ইসির বুকে জমা থাকা " মোতাহার হুসেনের কাছে এরশাদ জামানত হারানো" রেকর্ড সারা
জীবনের জন্য ললাটে লিপিবদ্ধ হওয়া।
লক্ষীপুর ২ আসন , খালেদার জন্ম স্থান। প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি বিনা কনটেস্টে
এই সিট থেকে নির্বাচিত হয়ে এসেছে।
খালেদা জিয়ার সিটে পাপলুর কাছে ধানের শীষের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়াই মনে করিয়ে দেয়
নেত্রী হিসাবে খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তার লেভেলের কত ?
বা 2018 নির্বাচনটি কোন লেভেলের হয়েছে?
বুদ্ধিজীবীদের বলতে শুনি, ২০১৪-এ সংবিধান মোতাবিক আওয়ামীলীগের অধীনে নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি ভুল করেছিলো। কিন্তু ২০১৮-এ নির্বাচনে এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে গিয়ে বিএনপি কি ভুল করেছিল তা আর কাউকে বলতে শুনিনা!!
২০১৪ এ বিএনপি তত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন সুস্ট হবেনা এমন দাবি করে নির্বাচন বয়কট করায় বুদ্ধিজীবীরা বিএনপিকেই দোষ দিয়ে ছিলেন - বিশ্বাসের অভাব বলে .
বুদ্ধিজীবীদের কথা শুনে তত্বাবধায়কের দাবি রেখে বিএনপি ২০১৮ এর নির্বাচনে আসলে দেশবাসী দেখলো , ঝড় ঝঞ্জাট মারামারি কাটাকাটি মুক্ত শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচনী দিন . বাংলাদেশের বিগত অন্যান্য নির্বাচনে যে অপরাধগুলো সচরাচর দেখা যেতো যেমন: জাল ভোট , কেন্দ্র দখল, ভোট দিতে বাধা দান, মারা-মারি, কাটা-কাটিএমনটিরকোনএকটিও২০১৮সালেরনির্বাচনেদেখাযায়নি।
বিএনপি নির্বাচনের পূর্বেই ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামীলীগ নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে জালভোট বা ভোট স্টাফিং করার চেষ্টা করলে বিএনপি তার কর্মীসমর্থকনিয়েতাপ্রতিরোধকরবে।
আওয়ামীলীগের কর্মীরা নির্বাচনের দিন জালভোট দেয়নি বা কোন কেন্দ্র দখল করে ভোট স্টাফিং করার চেষ্টা করেনি বলে বিএনপির কর্মীরাও এসব প্রতিরোধে মারামারি কাটাকাটি করারও চান্স পায়নি।
কি এক জাদু বলে পুলিশ- প্রশাসন জাল ভোট , কেন্দ্র দখল , ভোট দিতে বাধা দান আর প্রতিরোধের সংস্কৃতি বন্ধ করে নির্বাচনের দিনটাকে শান্তিময় এবং নিরাপদ করে দিল, তা নিশ্চয় গবেষণার দাবি রাখে!
চট্টগ্রামের শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে বিবিসির সংবাদাতাকে আওয়ামীলীগ নেতা মনে করে ভুল করে নির্বাচনী কেন্দ্রে ঢুকিয়ে দিলে তার টেলিফোন ক্যামেরায় ধরা পরে নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট দিয়ে পূর্ণ করা ব্যালট বাক্স।
এ ব্যাপারে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রশ্ন করলে কোন উত্তর না দিয়ে রাজনৈতিক কর্মীদের রেখে বিবিসির সংবাদ দাতাকেই কেন্দ্র থেকে বেরকরেদেন।চারিদিকেএইঅপকর্মেরসংবাদছড়িয়েপড়লেসমস্তদিনখোলারেখেবিকেলতিনটায়কেন্দ্রটিবন্ধঘোষণাকরেনির্বাচনকমিশন।
তাইতো নির্বাচনে জালভোট না হয়ে, কেন্দ্র দখল করে ভোট স্টাফিং এর মত জঘন্য অপকর্ম না হয়েও, কি করে ২১৩টি সেন্টারে ১০০% ভোট কাস্ট হয়ে যায়, আর লক্ষ লক্ষ বিএনপি কর্মী থাকার পর ১০৫২ সেন্টারে বিএনপির একটি ভোটও খোঁজে পাওয়া যায়না, এমন ভাবনার অবকাশ রাখে !
"কে , কখন, কিভাবে এসব ভোট কাস্ট করলো ?" কারো মনে এমন প্রশ্নের উদ্রেক হলে তিনি চট্টগ্রামের শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে উত্তরখোঁজেপেতেপারেন।
হাড়ির একটি ভাতে টিপ দিয়ে যেভাবে সমস্ত হাড়ির ভাতের খবর পাওয়া যায় তেমনি শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সেদিন সারা দেশের ভোটের কি হাল হয়েছিল তারসম্মক্ষধারণাপাওয়াযায়।
লোকে ২০১৮ এর নির্বাচনকে লাইলাতুল ইলেকশন বা নিশিরাতের নির্বাচন বলে !! যাকে জাপানী রাষ্ট্রদূত বলেছেন ভোটের আগের রাতে পুলিশ দিয়ে ব্যালট বাক্স ভোট ভরে দেওয়া .
না না ধরনের দুষ্কর্ম-অপকর্মের জন্ম দেয়া ২০১৪ এবং ২০১৮ এর নির্বাচন বাংলাদেশ এমন কি বিশ্বের নির্বাচনের ইতিহাসে এক একটি মেইল ফলক। বিগত তিন দশকের সবচেয়ে জনপ্রিয় তিন নেতার দুজনের এ দুটি নির্বাচনে জামানত হারিয়েছেন। ২০১৪ এর নির্বাচনে হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ কাজী মোতাহার হুসেন এর কাছে আর ২০১৮ এর নির্বাচনে খালেদা জিয়ার সিটে ধানের শীষ প্রতীক পাপলু নামকএকআদমব্যবসায়ীরকাছে।
নির্বাচনের পূর্বেই নির্বাচিত হওয়ার সংস্কৃতি চালুর মাধ্যমে ২০১৪ এর জাতি সংসদ নির্বাচন শুধু বাংলাদেশই নয় বিশ্বের নির্বাচনী ইতিহাসে অমরত্ব লাভ করবে অনায়াসে বলা যায়.
২০১৮ এর নির্বাচন বিশ্বের নির্বাচনী ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে নির্বাচনে মাল্টি ডাইমেনশনাল ক্ষেত্র আবিষ্কারের জন্য . "কে কত অল্প ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত/পরাজিত" নির্বাচনী সংবাদের এমন প্রচলিত হেডিংয়ের পরিবর্তে ২০১৮ এর নির্বাচন বেশ কিছু নতুন হেডিংয়:
" বিজিতের চেয়ে বিজয়ী কয়েক লক্ষ বেশি ভোটে নির্বাচিত" /
"অজস্র সেন্টারে বিজয়ীর পক্ষে শত ভাগ ভোট পড়া " /
" এবসেনটি বেলট না থাকার পরও ২১৩ সেন্টারে শত ভাগ ভোট পড়া “,
"১০৫২ সেন্টারে অপজিশন জুটের একটি ভোট না পাওয়া!! ."
দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রতিষ্টার ২ যুগ ফুর্তি উপলক্ষে নবীগঞ্জে প্রতিষ্টা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে গত রবিবার সন্ধার পর উপজেলা হলরুমে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। দৈনিক যুগান্তর নবীগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ সরওয়ার শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম । এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) শাহীন দেলোয়ার, নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ ডালিম আহমদ, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল জাহান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রিজভী আহমেদ খালেদ, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফখরুল আহসান চৌধুরী, এটি এম সালাম, রাকিল হোসেন, উত্তম কুমার পাল হিমেল, মুরাদ আহমদ, আঞ্জব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানু মিয়া, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া, প্রবাসী সাংবাদিক আবু তাহের চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সদস্য মহিবুর রহমান, নবীগঞ্জ মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি এটি এম ফুয়াদ হাসান রাজন, অর্থ সম্পাদক সাগর মিয়া, যুবদল নেতা বুরহান উদ্দিন চৌধুরী ওয়েছ প্রমুখ।
নবীগঞ্জে বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড সংলগ্ন এলাকায় দিন দুপুরে ছাগল চুরি করার সময় ৪ চোরকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে তাদেরকে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আটককৃতরা হলো বাহুবল উপজেলার পুটিজুরি ইউনিয়নের সোদচর গ্রামের মৃত গেদু মিয়ার পুত্র আহমদ আলী (৩০), একই গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র জুবেদ মিয়া (৩৪), সোদচর গ্রামের তালেব মিয়ার পুত্র মেরাজ মিয়া (২৫), চপমন্ডল কাতল গ্রামের তাজ উল্লার পুত্র কছরু মিয়া(৩০)।পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উল্লেখিত ৪জন গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডের সাউথপ্যাড এলাকায় সিএনজি (অটোরিকশায়) যোগে এসে হাওরে থাকা কয়েকটি ছাগল আটক করার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় করিমপুর গ্রামের ইকবাল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে ছাগল ধরার কারণসহ বাড়ি কোথায় জানতে চায়। এ সময় তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন সিএনজিসহ তাদের আটক করে উত্তম মধ্যম দেন।খবর পেয়ে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মোসলেহ উদ্দিন ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে আটক করে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেন।ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মোসলেহ উদ্দিন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বকেয়া বেতন, রেশন, চিকিৎসা, স্থায়ী বাসস্থান নিশ্চিত করণসহ ৫ দফা দাবীতে নবীগঞ্জ উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন চা শ্রমিকরা। গতকাল মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের রোকনপুর বাজারে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের দুই হাজার শ্রমিক। পরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।শ্রমিকদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের দুই হাজার নারী-পুরুষ চা শ্রমিক কাজ করেন। দীর্ঘদিন ধরে দুটি বাগানে ম্যানেজার ছাড়াই চলছে কার্যক্রম। গত ৫ সাপ্তাহ ধরে ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের দুই হাজার শ্রমিকের মজুরীর ৩৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ও রেশন বাবদ ৪ লাখ ৭২ হাজার টাকা, ২০১৯-২০২০ সালের শ্রমিকদের এরিয়া বোনাসের ২৩ লাখ ২২ হাজার টাকা, ২০২২ সালের এরিয়া বোনাসের ৬ লাখ ১৬ হাজার টাকা পরিশোধ করছেনা মালিক পক্ষ। বিষয়টি বাংলাদেশ চা বোর্ড ও জেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানায় চা-শ্রমিকরা। কিন্তু তাতেও মেলেনি সমাধান।গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে চা শ্রমিকরা। এ সময় তারা দ্রুত বকেয়া বেতন পরিশোধসহ ৫ দফা দাবী বাস্তবায়নের দাবী জানান। এসময় আধা ঘন্টা মহাসড়কের যান চলাচল বন্ধ থাকে।পরে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরীয়ার, সহকারী পুলিশ সুপার আবুল খয়ের, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার, নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ডালিম আহমেদসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।এদিকে বর্তমান মালিক পক্ষের বাগান বন্দোবস্ত বাতিলের করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবর লিখিত প্রতিবেদন দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নিপেন পাল জানান- গত পাঁচ সাপ্তাহ ধরে চা-শ্রমিকদের বেতন-রেশন দিচ্ছেনা মালিক পক্ষ ফলে চা শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তিনি বলেন, প্রশাসনের লোকজন এসেছিলেন তারা আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত বর্তমান মালিক পক্ষের বাগানের বন্দোবস্ত বাতিল হবে এবং বাগানে থাকা প্রায় ৩৯ হাজার কেজি চা পাতা নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করার ব্যবস্থা করবেন। যদি দ্রুত বিষয়টি সমাধান না হলে বড় আকারে আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তিনি।এ প্রসঙ্গে ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের মালিক জিকে মাইনুদ্দিন চৌধুরী মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরীয়ার বলেন- চা বাগান বাগানের লিজ বাতিলের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দিয়েছি।জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান বলেন- মালিকপক্ষ বেতন-রেশন বকেয়া পরিশোধ না করায় চা শ্রমিকরা আজ মহাসড়ক অবরোধ করেছিল পরে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। তিনি বলেন- চা শ্রমিকদের এ সমস্যা সমাধানে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করবো।
নবীগঞ্জ উপজেলার সাকুয়া মুড়ারপাঠলী গ্রামে শনিবার বউকে বকাঝকা করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বউয়ের পিতার বাড়ির লোকজন কর্তৃক দফায় দফায় মেয়ের জামাতার বাড়িঘরে হামলা,পাল্টা হামলায় প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১০ জনকেই গুরুতর অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। খবর পেয়ে ওসি ডালিম আহমদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। স্থানীয়,সুত্রে জানায়, উপজেলার করগাও ইউপির আলোচিত সাকুয়া গ্রামের এক সময়ের ত্রাস আকলুছ মিয়ার মেয়ে বিবাহ দেন একই গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে এবং তাজুল ইসলামের ভাতিজা স্বপন মিয়ার কাছে। তাজুল ইসলাম আকলুছ মিয়ার কথামতো না চলায় বিরোধ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে আকলুছ মিয়ার ভয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ তাজুল ইসলাম নবীগঞ্জ ভাড়া বাসায় থাকেন। এ সব বিষয় নিয়ে আকলুছ ও তাজুল ইসলাম গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। শনিবার সকালে তাজুল ইসলামের ভাতিজা স্বপন মিয়া তার বিবাহিত স্ত্রী (আকলুছ মিয়ার মেয়ে) কে বকাঝকা করেন। বকাঝকা শুনে বউ চলে যায় পাশ^বর্তী বাবা’র বাড়ি। মেয়ে’র কথা শুনেই বাবা’র বাড়ির লোকজন মেয়ের জামাতার বাড়ির সামনে গিয়ে হাকডাক দিয়ে গালমন্দ করে। এতে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয় মুরুব্বীয়ান শালিসের উদ্যোগ নিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ওই দিন বিকালে মেয়ের বাবা আকলুছ মিয়া বাড়ীতে এসেই কে শুনে কার কথা, আকলুছ মিয়ার মেয়ে বলে কথা। সাথে সাথে আকলুছ মিয়ার নেতৃত্বে কনের বাড়ির লোকজন দেশীয় অস্ত্র পিকল, টেটা সহ লাটিসুটা নিয়ে মেয়ের জামাতার বাড়িতে হামলা করে। জবাবে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা হামলায় জড়িয়ে পড়েন ছেলে পক্ষ। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়। এ সময় আকলুছ মিয়ার লোকজন প্রতিপক্ষের গরু, ছাগল, স্বর্ণালংকারসহ নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় এবং বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়েছে। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমদের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরে স্থানীয়,লোকজনের সহযোগীতায় আহতদের নবীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আসলে গুরুতর আহত ফুল মিয়ার ছেলে ইসরাইল মিয়া (৩৫),তার সহোদর সুমন মিয়া (৩২), দেলোয়ার মিয়া (২৪),মতিন মিয়া (১৯),নাজিম উদ্দীনের ছেলে এখলাছ মিয়া (৩১),আছদ্দর মিয়ার ছেলে আতিক (১৮),আমীর মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (৩৩),আব্দুল আলীর ছেলে কমরু মিয়া (১৭), আকলুছ মিয়ার ছেলে মুজিবুর রহমান রাব্বী (১৮)কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সাকুয়া এলাকায় ইতিপুর্বে দুটি গ্রæপে দাঙ্গা হাঙ্গামা চলে আসছিল। প্রায় ১১ টি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। প্রতিপক্ষ কে ফাসাতে নিজের লোককে হত্যা করতে হাত কাপেনি তাদের। উভয় পক্ষে ডজন খানেক মামলাও রয়েছে। ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো সমঝোতার উদ্যোগ নেন তরুন সমাজ। এতে প্রায় ৩/৪ বছর ধরে শান্তি ফিরে আসে এলাকায়।এই শান্ত পরিবেশকে আবার অশান্ত করে তোলছে আকলুছ ও তার লোকজন। এলাকায় জুয়ার আড্ডা, চাঁদাবাজি, মারামারি সবই এখন তার ইশারার খেলা। এলাকার আইনশৃংখলা রক্ষার স্বার্থে আকলুছ মিয়া’কে দ্রæত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
Mar 28, 2023 19 নবীগঞ্জের সংবাদ
Mar 24, 2023 55 সংবাদ
Mar 23, 2023 48 সংবাদ
Mar 03, 2023 70 সংবাদ
Mar 01, 2023 74 সংবাদ
Feb 10, 2023 309 নবীগঞ্জের সংবাদ
Feb 08, 2023 136 নবীগঞ্জের সংবাদ
Feb 07, 2023 117 নবীগঞ্জের সংবাদ
Feb 05, 2023 137 নবীগঞ্জের সংবাদ
Feb 04, 2023 148 নবীগঞ্জের সংবাদ
Feb 03, 2023 146 নবীগঞ্জের সংবাদ
Jan 26, 2023 183 নবীগঞ্জের সংবাদ
Jan 24, 2023 305 নবীগঞ্জের সংবাদ
Jan 23, 2023 172 নবীগঞ্জের সংবাদ
Jan 21, 2023 144 নবীগঞ্জের সংবাদ
Jan 19, 2023 137 নবীগঞ্জের সংবাদ
Jan 12, 2023 158 নবীগঞ্জের সংবাদ
Jan 02, 2023 205 নবীগঞ্জের সংবাদ
Dec 28, 2022 151 নবীগঞ্জের সংবাদ
Dec 23, 2022 185 সংবাদ
Aug 24, 2019 2517 নবীগঞ্জের সংবাদ
Apr 14, 2020 1960 নবীগঞ্জের সংবাদ
Apr 20, 2020 1578 নবীগঞ্জের সংবাদ
May 06, 2020 1665 নবীগঞ্জের সংবাদ
Sep 25, 2019 1808 সংবাদ
Apr 25, 2020 1803 মতামত
Apr 27, 2020 1687 নবীগঞ্জের সংবাদ
Sep 25, 2019 1876 নবীগঞ্জের সংবাদ
Oct 23, 2019 1762 নবীগঞ্জের সংবাদ