March 30, 2023

//  নির্বাচনী কুইজ //

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা কে ?

১) শহীদ ইসলাম  পাপুল
২)হাসিনা ওয়াজেদ
৩) খালেদা জিয়া
২০১৮ সালে সংঘটিত লক্ষীপুর -২ আসনের নির্বাচনের আলোকে উত্তর দিন ?

নবীগঞ্জে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রবিবার (২৬ মার্চ) বিকেল ৩ টায় নবীগঞ্জ পৌরসভা পরিষদ প্রাঙ্গণে নবীগঞ্জ পৌরসভার আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।পৌরসভার জাতীয় উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ও কাউন্সিলর মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী। সভায় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক মো. আব্দুর রউফ, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ, পৌরসভার প্যানেল মেয়র-৩ ফারজানা আক্তার পারুল, কাউন্সিলর মো. ফজল আহমদ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কাউন্সিলর মো. নানু মিয়া। উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিলর যুবরাজ গোপ, সৈয়দা নাসিমা বেগম ও পূর্ণিমা রানী দাশ, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তারিকুল ইসলাম, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শেখ মো. জালাল উদ্দিন, সহকারী প্রকৌশলী মো. সহিদুল হক, সাংবাদিক মুহিবুর রহমান চৌধুরী তছনু, মোঃ হাসান চৌধুরী, সাগর মিয়া, তুহিন আলম রেজওয়ানসহ বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ ও সুধীবৃন্দ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরান তেলাওয়াত করেন পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. সহিদুল হক। পবিত্র গীতাপাঠ করেন স্যানেটারি ইন্সপেক্টর সুকেশ চক্রবর্ত্তী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পৌরসভার সহকারী কর আদায়কারী পৃথ্বীশ চক্রবর্ত্তী। প্রধান অতিথি বলেন- “জাতির সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকাংশই আজ জীবিত নেই। যাঁরা আমাদের মাঝে জীবিত আছেন তাঁদের কাছ থেকে দেশের তরুণ প্রজন্মকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন মহান স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।” তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কথামালা শিশু-কিশোরদের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও কৃতিশিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করা হয় এবং অতিথিবৃন্দ সহ সবাইকে উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়।

ওবায়দুল কাদেরের ভাইরাল ডায়লগ : জামানত বাজেয়াপ্তের ভয়ে বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায়না ।
এবার মনে হচ্ছে , আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্ল্যান বিএনপি আগে ভাগে বুঝে গেছে।
বিজ্ঞজন মনে করেন , ওবায়দুল কাদেরের চাওয়া শুধু নির্বাচনে হারানো নয় , বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচন কমিশনে জমা থাকা নমিনেশনের শেষ কড়িটাও কেড়ে নেওয়া।
ওবায়দুল কাদের জানেন নির্বাচন কমিশনের কাছে তার আব্দার "বিএনপির জামানত বাজেয়াপ্ত " ছেলের হাতের মোয়া চাওয়ার মত সস্তা জিনিস।
তার না হলে কার আবদারে এমন অসম্ভব কে সম্ভব করানো হয়েছিল? ১৯৯১ এর পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর দ্বিগুন ভোটে জিতে আসা লক্ষীপুর-২ আসনে বিএনপি প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত , নাম-গোত্রহীন পপুলের মত একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে ২০১৮ এর নির্বাচনে ?
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়: ১৭,১৮,৬৮,৮০ এবং ১১০ নং সেন্টারে বিএনপি কোন ভোট পায়নি। এই ৫ টি সেন্টারের মোট বৈধ কাস্ট ১১০১৬ টি ভোটের মধ্যে শহীদ.আলম.পাপুল (স্বতন্ত্র) ১১০০১ টি ভোট পায় আর বিএনপির প্রাক্তন এমপি আবুল খায়ের ভূঁইয়া পান ০ (শূন্য ) ভোট !!

সেন্টার ৫ টির টোটাল দেয়া হলো :
মোট ভোট কাস্ট :11050,
,মোট বৈধ ভোট: 11016,
, শহীদ.আলম.পাপুল (স্বতন্ত্র) : ১১০০১ ,
,আবুল খায়ের ভূঁইয়া(BNP):0 ,
, (৪জন স্বতন্ত্র + JP প্রার্থীর ভোট ): ১৫ ,
,মোট নষ্ট ভোট : 34,
,শতকরা হার : 71%-98% ,

বিএনপির ভোটগুলো গেলো কোথায় ? মোহাম্মদ আরাফাত হুসেনের মতে তাদের ভোটগুলো ভোট দিতে আসেনি ?
৯৮% ভোট কাস্ট হলো , প্রবাসী , জিন্দা মুর্দা কেউ বাকি থাকলো না শুধু বাকি থাকলো বিএনপির ভোটার? বিএনপির ভোটার নির্বাচনে আসলে কি ১৫০% পর্যন্ত ভোট কাস্ট হয়ে যেত না ?
নাকি একেকটি সিটে ৪/৫ জন বিএনপির প্রার্থী থাকায় ভোটগুলো ভাগ বাটোয়ারা হয়ে গেছে ?
৪জন স্বতন্ত্র আর জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মোট ভোট : ১৫ টি
৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী যদি বিএনপির হোন তাহলে তারা টোটাল বিএনপির ভোট নষ্ট করেছেন ১৫টি :
তাহলে বিএনপির ভোটগুলো গেলো কোথায় ?
হিসাব মিলতেছেনা . গোজা মিলেরও মিল থাকে . নির্বাচনের এই রিজাল্ট কোন হিসাবেই কভার করতেছেনা.
এমনকি নির্বাচনে পপুলুর জন্য জাল ভোট বৈধ করে দিলেও তার পক্ষে ৫ টি সেন্টারে ৩০০০ ভোটও কালেক্ট করা সম্ভব হবেনা , তার না আছে নাম , না আছে পরিচিতি , না আছে পারিবারিক ঐতিহ্য , না আছে কোন রাজনৈতিক দলের সাপোর্ট . তার থরে থরে গাদ্দি গাদ্দি ভোট পাওয়ার চাঞ্জল্যকর তথ্য দেখে অনুমান করা যায় এ সব সেন্টারে কোন ধরনের ভোট বা সিল চাপ্পরের ঝামেলায় না গিয়ে রিজাল্ট শিট তৈরী করা হয়েছে .
এক সময় মেট্রিক-ইন্টারমিডিয়েটের সার্টিফিকেট( মার্কশীটে বিরাট বিরাট মার্ক দেখিয়ে) বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের কাছ থেকে লোকজন কিনে আনতো বিদেশ যাওয়ার জন্য ।
কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিজাল্ট শীটও যে কিনতে পাওয়া যায় তা এই শীট দেখার আগে আমাদের জানা ছিলোনা !

 দ্বাদশ নির্বাচন পরিচালনা করতে চাওয়া আওয়ামীলীগ কি প্রমান করতে পারবে তারা জনগণ দ্বারা নির্বাচিত?

ডেটলাইন লক্ষীপুর - :  সারা দেশের রেজাল্ট লাগবেনা শুধু এই এই আসনের রেজাল্টই   প্রমান করে দেবে ২০১৮ সালে দেশে কোন  নির্বাচন হয়নি, এমনকি মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ডের  জাল জালিয়াতিপূর্ণ  নির্বাচনও না, যা হয়েছে তা  শুধু পুলিশ আর নির্বাচন কমিশনের  নীলক্ষেতে তৈরী ফেইক নির্বাচীন  রিজাল্টশিট বিতরণ মাত্র।

    লক্ষীপুর-২, খালেদা জিয়ার আসন নামে পরিচিত, তার বাপ-দাদার জন্ম স্থান, ১৯৯১সালের  পর থেকে প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বচনে বিএনপি   এই আসন থেকে  পাস করে যাচ্ছে।

*** স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ আলম  পাপলুর কাছে  বিএনপির সাংসদ    আবুল খায়ের ভূঁইয়া শুধু জামানত বাজেয়াপ্ত !

২০১৮ এর নির্বাচনে   স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ আলম  পাপলুর কাছে  ধানের শীষের প্রাথী বিএনপির দুই টার্মের   নির্বাচিত  সাংসদ    আবুল খায়ের ভূঁইয়া শুধু জামানতই  হারাননি ২লক্ষের ও অধিক  ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন।   অথচ,  আবুল খায়ের ভূঁইয়া এই সিটে ২০০৮ সালের নির্বাচনে  আওয়ামীলীগের প্রাক্তন এম.পি হারুনুর রশিদকে ৭৮৫৪৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন।

 

*** ৫টি সেন্টারে পাপুলের ১১,০০১(এগার হাজার এক ) ভোটের   বিপরীতে বিএনপির    ০ (শূন্য ) ভোট ?

২০১৮ এর নির্বাচনে নিম্নোক্ত ৫টি সেন্টারে   স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ আলম  পাপুলের ১১,০০১(এগার হাজার এক ) ভোটের   বিপরীতে বিএনপির দুই টার্মের   নির্বাচিত  সাংসদ    আবুল খায়ের ভূঁইয়ার  ০ (শূন্য ) ভোট ?

 

নং

কেন্দ্র

প্রদত্ত বৈধ ভোট

শহীদ.আলম.পাপুল

আবুল খায়ের ভূঁইয়া

মোট বাতিল

প্রদত্ত ভোট

শতকরা হার

প্রার্থী B

প্রার্থী D

প্রার্থী E

প্রার্থী G

প্রার্থী H

মোট ভোটার

 

 

 

Mango

BNP/Paddy

 

 

 

স্বতন্ত্র

স্বতন্ত্র

J.P./লাঙ্গল

স্বতন্ত্র

স্বতন্ত্র

 

1

17 চর বংশী মজিদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

2038

2036

0

0

2038

89%

0

2

0

0

0

2269

2

18 উত্তর চরবংশী জাফরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

2199

2187

0

1

2200

89%

3

9

0

0

0

2451

3

68 গাইয়ারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

2542

2541

0

8

2550

88%

1

0

0

0

0

2896

4

80 উত্তর হামছাদী সরঃ প্রাঃ বিঃ (বদু পাটওয়ারী স্কুল)

1518

1518

0

5

1523

71%

0

0

0

0

0

2118

5

110 রশিদপুর সরঃ প্রাঃ বিঃ

2719

2719

0

20

2739

98%

0

0

0

0

0

2803

 

৪ এবং ৫ নং  সেন্টারে শত ভাগ  ভোট পড়েছে সরকার দলীয় প্রার্থীর মার্কায়

১ নং সেন্টারের ২০৩৮ জন  ভোটারের একটি ভোটও নষ্ট হয় নাই, ২ নং সেন্টারের ২১৯৯ জন  ভোটারেরএকটিভোটওনষ্টহয়েছে।

এর  সংক্ষিপ্তট্যাবুলারফর্মনিচেদেওয়াহলো।

কেন্দ্র নং

মোট  ভোট  কাস্ট

মোট বৈধ ভোট

শহীদ.আলম.পাপুল (স্বতন্ত্র)

আবুল খায়ের ভূঁইয়া(BNP)

৫জন স্বতন্ত্র প্রার্থীরভোট

মোট নষ্ট ভোট

শতকরা হার

17,18,68,80,110

11050

11016

11001

0

15

34

71%-98%

 

*** আওয়ামী বুদ্ধিজীবীদের বিএনপির ভোট হাওয়া হওয়ার কারণ উদঘাটন।

কারণ  ১)   মোহাম্মদ আরাফাত হুসেনের মতে ,"নির্বাচনের আগে বিএনপি ভোটের  জন্য  প্রচার প্রচারণা ,মিছিল মিটিং কোন কিছু করেনি বলে বিএনপির ভোট নির্বাচনে দেখা যায়নি। বিএনপির ভোটারের নির্বাচনে আসেনি। "

 

১ নং কারণ বিশ্লেষণ:     ৯৮% ভোট কাস্ট হলো , প্রবাসী , জিন্দা মুর্দা কেউ বাকি থাকলো না, শুধু থাকলো বিএনপির ভোটার ??? বিএনপির ভোটার নির্বাচনে আসলে  কি ১৫০% পর্যন্ত ভোট কাস্ট হয়ে যেত না ??

 

 

কারণ  ২)  হানিফ , ওবায়দুল কাদের আর হাসান মাহমুদের মতে," নির্বাচনে বিএনপি সিট বাণিজ্য করেছে।  একেকটি সিটে ৪/৫ জন করে   প্রার্থী থাকায় ভোট ভাগ বাটোয়ারা হয়ে গেছে , এর জন্য বিএনপির ভোটাররা  নির্বাচন বিমুখ হয়ে গেছে।"

 

২ নং কারণ বিশ্লেষণ:     একেকটি সিটে ৪/৫ জন বিএনপির প্রার্থী থাকায় ভোটগুলো ভাগ বাটোয়ারা হয়ে গেছে ?

৪জন স্বতন্ত্র  আর জাতীয় পার্টির  প্রার্থীর মোট ভোট : ১৫ টি

৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী যদি বিএনপির হোন তাহলে তারা টোটাল বিএনপির ভোট নষ্ট করেছেন মাত্র  ১৫ টি .

অতএব , দেখা যাচ্ছে বিএনপির ভোট ভাগ বাটোয়ারা হয়নি।

তাহলে কি কারণ  হিসাবে  ধরে নিতে হবে ," নির্বাচনে একাধিক  প্রার্থী দেখে বিএনপি ভোটাররা  নির্বাচন বিমুখ হয়ে গেছে ?"

৯৭% থেকে ৯৮% ভোট কাস্ট হওয়ার পর যদি বলা হয়নি বিএনপির ভোটাররা নির্বাচনে আসেননি তাহলে কি দাঁড়ায়?

রিজাল্ট শিটের দেখানো   মিনিমাম ৫২% ভোটারই ফেইক।

কেন  মিনিমাম ৫২% ই ফেইক ভোট বললাম, তা লক্ষীপুর-২ আসনে বিএনপির   নির্বাচন জয়ের ইতিহাস  ফলো করলে সহজেই অনুমান হবে।

লক্ষীপুর-২: আসনে বিএনপির নির্বাচন জয়ের ইতিহাস। লক্ষ্য করুন : প্রাপ্ত ভোট এবং তার পার্সেন্টেজে ।।  https://en.wikipedia.org/wiki/Lakshmipur-2

 

  Year

Party

Candidate

Votes

শতকরা হার

2008

BNP

Abul Khair Bhuiyan

129,995

57.1

 

AwamiLeague

Harunur Rashid

51,732

39.6

2001

BNP

Begum Khaleda Zia

123,526

72.2

 

AwamiLeague

Harunur Rashid

44,974

26.3

1996

BNP

Begum Khaleda Zia

59,054

51.6

 

AwamiLeague

Tozmmel Hossain Chowdhury

26,937

23.6

1991

BNP

Mohammad Mohammadullah

38,599

53.5

 

 

Khaled Md. Ali

23,929

33.2

 

 

 

 

 

 

*****

২০১৮ এর নির্বাচন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ,  আওয়ামীলীগের মুখপাত্র  এইচ.টি.ইমামের মুখে শোনা যায়   নির্বাচন কমিশনের সাথে শেখ হাসিনা সরকারের  অভূতপূর্ব  সমন্বয়, নির্বাচন কমিশন সব ধরনের  দাবি  চাহিবা মাত্র  পূরণ করার। তখনকার  সেনাবাহিনী প্রধান আজিজ আহমদের দৃষ্টিতে ৪৭  বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে শান্তিপুর নির্বাচন। 

 

২০১৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে  পুলিশ,নির্বাচন কমিশন ,প্রশাসন আর সরকরের অভূতপূর্ব সমন্বয়ের উজ্জ্বল  উদাহরণ  লক্ষীপুর- , বিএনপির দুই টার্মের   নির্বাচিত  সাংসদ    আবুল খায়ের ভূঁইয়ার (প্রাপ্ত ভোট :২৮০৬৫ )  স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ আলম  পাপুলের(প্রাপ্ত ভোট : ২৫৬৬৪৪ )  কাছে জামানত বাজেয়াপ্ত। 

   

 

2018

    বি.এন.পি

28065

শহীদ.আলম.পাপুল

256644

ব্যবধান

-228579

 

 

2001

2008

বি.এন.পি

123526

129995

আওয়ামীলীগ

44974

51723

ব্যবধান

+78552

+78263

২০০১ এর নির্বাচনে  বি.এন.পি পেয়েছিল  ,২৩,৫২৬ আর ২০০৮ এর নির্বাচনে পেয়েছিল   ,২৯,৯৯৫।  এই ধারা  অনুসরণ করলে বিএনপির ভোট  ২০১৮ এর নির্বাচনে আরো ৬ হাজার বেড়ে  ১৩৫০০০ হওয়ার  কথা। যার সুস্পষ্ট ধারণা আমরা  গ্রাফেরনরমালকার্ভঅনুসরণকরেপেতেপারি।

    ,২৩,৫২৬  ->  ,২৯,৯৯৫ ->      ১৩৫,০০০

 

তানাহয়ে ২০১৮এরজাতীয়সংসদনির্বাচনে  সেটি কমে  শুধু ২৮ হাজার হলো কিভাবে ?

,২৩,৫২৬  ->  ,২৯,৯৯৫ ->      ২৮০৬৫

***২০১৮ এর নির্বাচনে লক্ষীপুর-২ আসনের ১২ টি সেন্টারে প্রকৃত ভোট হওয়ার লক্ষণ পাওয়া যায়।

 

২০১৮ এর নির্বাচনে লক্ষীপুর-২ আসনের    ৬০% এর নিচে   কাস্ট হওয়া  মোট  ১২ টি সেন্টারের ভোট  গুলো যোগ করে গ্রাফ করলে দেখা যায়   বিএনপির আবুল খায়ের ভূঁইয়া অতীতের অন্যান্য নির্বাচনের মতো   ৬০.৮৭% পেয়েছেন আর পাপলু পেয়েছেন ৩৭.২৪%. 

 

34% to 60%   total ১২ টি সেন্টার

 

{

  "_id": 275,

  "Candidate B": 189,

  "শহীদ.আলম.পাপুল ": 6140,     37%

  "আবুল খায়ের ভূঁইয়া(“BNP): 10036,       61%

  "Candidate D": 34,

  "Candidate E": 20,

  "Candidate G": 58,

  "Candidate H": 9,

  "মোট বৈধ ভোট কাস্ট ": 16486

}

****  ভোটের হার যেখানে অস্বাভাবিক   সেখানেবিএনপিরভোটঅস্বাভাবিকভাবেহ্রাসপায়।

 

বিএনপি নির্বাচনী প্রচারণায় অমনোযোগী থাকলে  যেখানে ভোটের হার কম সেখানে স্বাভাবিক ভাবে বিএনপি কম ভোট পাওয়ার কথা  আর যেখানে ভোট কাস্টিং বেশি সেখানে বিএনপি বেশি ভোট   পাওয়ার  কথা কিন্তু তা না হয়ে কি করে  টোটালি অপোজিট হয়ে গেলো?

হয় ৯৯% ভোট কাস্টিং আর বিএনপি পায় ()শূন্য ভোট? ইন্টারেস্টিং বটে !!

 

61% to 100% vote cast

{

  "_id": null,

  "Candidate B": 3199,

"শহীদ.আলম.পাপুল ": 250504,               91.09%

  "আবুল খায়ের ভূঁইয়া(BNP)”: 18029,                     6.55%

  "Candidate D": 1071,

  "Candidate E": 800,

  "Candidate G": 251,

  "Candidate H": 1125,

  "মোট বৈধ ভোট কাস্ট ": 274979

}

 

 

(অসমাপ্ত )

২০১৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত আওয়ামীলীগ আবারো আরেকটি নির্বাচন করতে চায় .  সে নির্বাচন নিয়ে আওয়ামীলীগের বক্তব্য সুস্পষ্ট " তারা একটি আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচন উপহার দিয়েছে" আর বিএনপির বক্তব্য পুরু উল্টো ," এটি কোন নির্বাচনই হতে পারেনা "

 

দেখা যাক , আওয়ামীলীগ বিএনপির পরস্পর বিরুধী বক্তব্যে না গিয়ে নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইটে থাকা নির্বাচনী ডাটা বিশ্লেষণ করে  আমরা নির্বাচন নিয়ে কোন কনক্লুশনে আসতে পারি কিনা ?

 

 

লক্ষিপুর -২ আসন: খালেদা জিয়ার আসন নামে পরিচিত , তার বাবার  বাড়ি এখানে . এই আসনে  স্বতন্ত্র শহীদ আলম পাপলুর কাছে  প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ধানের শীষের জামানত বাজেয়াপ্ত !

এই আসনে  ১৯৯১ সালের পর থেকে প্রতিটি নির্বাচনে বিএনপি পাস করেছে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কিন্তু , ২০১৮ এর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা তো দূরের কথা জামানত পর্যন্ত হারাতে হয়েছে পপুলের মত স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে .

হিসাব করে দেখা যায় : ১৭,১৮,৬৮,৮০ এবং ১১০ নং সেন্টারে বিএনপি কোন ভোট পায়নি। এই ৫ টি সেন্টারের মোট বৈধ কাস্ট  ১১০১৬ টি ভোটের মধ্যে  শহীদ.আলম.পাপুল (স্বতন্ত্র) ১১০০১ টি   ভোট পায় আর বিএনপির প্রাক্তন এমপি  আবুল খায়ের ভূঁইয়া পান  ০ (শূন্য ) ভোট !!

 

 

২০১৮ এর নির্বাচনে নিম্নোক্ত ৫টি সেন্টারে  স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ আলম  পাপুলের ১১,০০১(এগার হাজার এক ) ভোটের   বিপরীতে বিএনপির দুই টার্মের   নির্বাচিত  সাংসদ    আবুল খায়ের ভূঁইয়ার  ০ (শূন্য ) ভোট,  জামানত বাজেয়াপ্তেরও কি সম্মান রাখে  ?

 

নং

কেন্দ্র

প্রদত্ত বৈধ ভোট

শহীদ.আলম.পাপুল

আবুল খায়ের ভূঁইয়া

মোট বাতিল

প্রদত্ত ভোট

শতকরা হার

প্রার্থী B

প্রার্থী D

প্রার্থী E

প্রার্থী G

প্রার্থী H

মোট ভোটার

 

 

 

Mango

BNP/Paddy

 

 

 

স্বতন্ত্র

স্বতন্ত্র

J.P./লাঙ্গল

স্বতন্ত্র

স্বতন্ত্র

 

1

17 চর বংশী মজিদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

2038

2036

0

0

2038

89%

0

2

0

0

0

2269

2

18 উত্তর চরবংশী জাফরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

2199

2187

0

1

2200

89%

3

9

0

0

0

2451

3

68 গাইয়ারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

2542

2541

0

8

2550

88%

1

0

0

0

0

2896

4

80 উত্তর হামছাদী সরঃ প্রাঃ বিঃ (বদু পাটওয়ারী স্কুল)

1518

1518

0

5

1523

71%

0

0

0

0

0

2118

5

110 রশিদপুর সরঃ প্রাঃ বিঃ

2719

2719

0

20

2739

98%

0

0

0

0

0

2803

 

 

৪ এবং ৫ নং  সেন্টারে শত ভাগ  ভোট পড়েছে সরকার দলীয় প্রার্থীর মার্কায়

১ নং সেন্টারের ২০৩৮ জন  ভোটারের একটি ভোটও নষ্ট হয় নাই, ২ নং সেন্টারের ২১৯৯ জন  ভোটারেরএকটিভোটওনষ্টহয়েছে।

এর  সংক্ষিপ্তট্যাবুলারফর্মনিচেদেওয়াহলো।

মোট  ভোট  কাস্ট

মোট বৈধ ভোট

শহীদ.আলম.পাপুল (স্বতন্ত্র)

আবুল খায়ের ভূঁইয়া(BNP)

৫জন স্বতন্ত্র প্রার্থীরভোট

মোট নষ্ট ভোট

শতকরা হার

11050

11016

11001

0

15

34

71%-98%

 

বিএনপির ভোটগুলো গেলো কোথায় ? মোহাম্মদ আরাফাত হুসেনের মত তাদের ভোটগুলো ভোট দিতে আসেনি ?

৯৮% ভোট কাস্ট হলো , প্রবাসী , জিন্দা মুর্দা কেউ বাকি থাকলো না শুধু থাকলো বিএনপির ভোটার ??? বিএনপির ভোটার নির্বাচনে আসলে কি ১৫০% পর্যন্ত ভোট কাস্ট হয়ে যেত না ??

নাকি একেকটি সিটে ৪/৫ জন বিএনপির প্রার্থী থাকায় ভোটগুলো ভাগ বাটোয়ারা হয়ে গেছে ?

৪জন স্বতন্ত্র  আর জাতীয় পার্টির  প্রার্থীর মোট ভোট : ১৫ টি

জাতীয় পার্টির  প্রার্থীর প্রাপ্ত ৩ টি  ভোট বাদ দিলে হয় :১২ টি .

৪ স্বতন্ত্র প্রার্থী যদি বিএনপির হোন তাহলে তারা টোটাল বিএনপির ভোট নষ্ট করেছেন ১২ টি :

তাহলে বিএনপির ভোটগুলো গেলো কোথায় ?

হিসাব মিলতেছেনা . গোজা মিলেরও মিল থাকে . নির্বাচনের এই রিজাল্ট কোন হিসাবেই কভার করতেছেনা.

  এমনকি  নির্বাচনে পপুলুর জন্য জাল ভোট বৈধ করে দিলেও  তার পক্ষে ৫ টি সেন্টারে ৩০০০ ভোটও কালেক্ট করা সম্ভব হবেনা , তার না আছে নাম , না আছে পরিচিতি , না আছে পারিবারিক ঐতিহ্য , না আছে কোন রাজনৈতিক দলের সাপোর্ট . তার থরে থরে গাদ্দি গাদ্দি ভোট পাওয়ার হিসাব দেখে চাঞ্জল্যকর তথ্য দেখে অনুমান করা যায় এ সব সেন্টারে  কোন ধরনের ভোট বা সিল চাপ্পরের ঝামেলায় না গিয়ে রিজাল্ট শিট তৈরী করা হয়েছে .

এক সময় মেট্রিক-ইন্টারমিডিয়েটের সার্টিফিকেট( মার্কশীটে বিরাট বিরাট মার্ক দেখিয়ে) বোর্ডের দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের কাছ থেকে লোকজন  কিনে আনতো বিদেশ যাওয়ার জন্য

কিন্তু জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিজাল্ট শীটও  যে কিনতে পাওয়া যায় তা এই শীট দেখার আগে আমাদের জানা ছিলোনা !

নবীগঞ্জ ইউকে আইসিটি ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে ৬৩ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে নবীগঞ্জ ইউকে আইসিটি ইন্সটিটিউটের ভবনে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। ইন্সটিটিউটের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ ফয়সল আহমেদের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফয়জুল হক চৌধুরী সেলিম। প্রধান আকর্ষণ নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকের চেয়ারম্যান মাহতাব মিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ট্রাস্টি মোঃ আলী হায়দার, ট্রাস্টের সদস্য দিলাল চৌধুরী, ও অত্র ইন্সটিটিউট ব্যবস্হাপনা কমিটির সদস্য অধ্যাপক রেজাউল আলম, মনসুর খান ও ইন্সট্রাক্টর পলি জামান চৌধুরী, সাহেদুর রহমান রাজু ও অমলেন্দু দাশ ও প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শেষে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা নবীগঞ্জ ইউকে আইসিটি ইন্সটিটিউট সেশন - (জানুয়ারি - জুনও এপ্রিল- জুন ২০২২) এর ৬৩ শিক্ষাথীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। ইতিপূর্বে নবীগঞ্জ এডুকেশন ট্রাষ্ট  ইউকের চেয়ারম্যান ও নর্থ ইস্ট  রিজিওনের বাংলাদেশ চেম্বার  অফ কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ(বিবিসিসিআই)  ইউকের প্রেসিডেন্ট মাহতাব মিয়া তিনি  ফেডারেশন অফ বাংলাদেশে চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)- বাংলাদেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংস্থা ১১-১৩ মার্চ, ২০২৩ তারিখে তার প্রতিষ্ঠার ৫০ তম বার্ষিকী উদযাপনে অংশ গ্রহন করেন। এছাড়া নবীগঞ্জের কৃতি সন্তান মাহতাব মিয়া  "বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩" শিরোনামে একটি আন্তর্জাতিক বিজনেস অনুষ্টানেও উপস্থিত ছিলেন।একই বিষয়ের উপর তিনি দেশের জনপ্রিয় টিভি চ্যানেলের টক শোতে অংশ নিয়েছেন। 
দেশের শীর্ষ পর্যায়ের  জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ এর নবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হলেন নবীগঞ্জের কৃতিসন্তান তরুণ গণমাধ্যমকর্মী সাগর আহমেদ । গত  ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ইং তারিখ রোজ বুধবার  জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ এর প্রধান কার্যালয়ে সম্পাদক ও প্রকাশ মোঃ সাইদুল ইসলামের কাছ থেকে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র গ্রহন করেন সাগর আহমেদ। এ সময় সম্পাদক ও প্রকাশ  মোঃ সাইদুল ইসলামের বলেন, যেখানে অন্যায় অত্যাচার, অপরাধ, দুর্নীতি, দুঃশাসন সেখানেই নির্ভীক, সাহসী, ভূমিকা রাখতে হবে তরুন সংবাদকমীদের ।তরুণ সাংবাদিকেরাই তুলে নিয়ে আসবে ঘটনার অন্তরালের মূল ঘটনা।এসময় তিনি আরো বলেন,নবীগঞ্জ  প্রতিনিধি  সাগর আহমেদ কে  সাংবাদিক, রাজনৈতিক,সাংস্কৃতিক, প্রশাসনিকসহ  সকলকে নির্ভিক দায়িত্ব পালনে তথ্য দিয়ে সাবিক সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানান ।  সাগর আহমেদ  জাতীয় দৈনিক দেশকাল , ঢাকা রিপোর্ট২৪, কিউ টিভি বাংলা,স্হানীয় দৈনিক বিজয়ের প্রতিধ্বনি নবীগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এছাড়াও দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন জাতীয়, প্রিন্ট  ও আইপিটিভি,অনলাইনে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এই তরুণ সাংবাদিক।বিগত ২০১৭ সাল থেকে গণমাধ্যমে সক্রীয় হওয়া এই তরুণ সাংবাদিক স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করেছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে।  এরপর থেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সময় দিয়েছেন সমানতালে। বর্তমানে তিনি জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকায় দায়িত্ব পালন করছেন। বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশ সাইদুল ইসলামের স্বাক্ষরিত পরিচয়পত্র হস্তান্তরের মাধ্যমে সাগর আহমেদকে নবীগঞ্জ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কর্মস্থলে যোগ দিয়ে তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন  সম্পাদক ও প্রকাশ সাইদুল ইসলাম ও জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার পরিবার ও হবিগঞ্জের অসংখ্য পাঠক, দর্শক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি। পাশাপাশি সহযোগিতা চেয়েছেন সাংবাদিক, রাজনৈতিক,সাংস্কৃতিক, প্রশাসনিকসহ  সকল শ্রেণী পেশার মানুষের প্রতি ।যাতে করে নির্ভিক দায়ীত্ব পালনে করতে পারেন।

নবীগঞ্জ উপজেলার হালিতলা বারৈকান্দি গ্রামে পর্ব বিরোধের জের ধরে শুক্রবার বিকেলে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে গুরুতর আহত ৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন ও বাকীদের ভর্তি এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, প্রায় ২০/২৫ দিন পুর্বে উক্ত গ্রামে মিনি ফুটবল খেলায় দু’ দলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এক গ্রæপে নেতৃত্ব দেন ওই গ্রামের ইসলাম উদ্দিন, মজমদর আলী, মাতাব আলী ও মৃত নসর উদ্দিনের ছেলে খালেদ মিয়া। অপর গ্রæপে নেতৃত্ব দেন আজিম উদ্দিন, আছকান মিয়া ও হারুন মিয়া। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানসহ মুরুব্বীয়ান শালিসের উদ্যোগ নেন। পরবর্তীতে মৃত খালেদ মিয়া তা প্রত্যাখান করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খালেদ মিয়ার গোষ্টির লোকজন প্রতিপক্ষের সাথে দাঙ্গা হাঙ্গামার পরিকল্পনা করে দেশীয় অস্ত্র তৈরী করে। এছাড়া তার বলয়ে শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে উক্ত গ্রামের আব্দাল মিয়ার ছেলের সাথে খালেদ মিয়ার চাচাতো ভাই ওয়াদুদ মিয়ার মেয়ে বিবাহ দেয়া হয়। ফলে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে খালেদ গোষ্টির সাথে আব্দাল মিয়া  মিরাশ মিয়ার গোষ্টি যোগ দিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথে লাটিসোটা নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা করলে সংঘর্ষের সুত্রপাত ঘটে। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহতরা হলেন আজাদ মিয়া (৩২), জাকারিয়া (২৪), সাজু আহমদ (২২), সুমতি বেগম (৩৫), রাজন (১৯), সুমন (৩০), রোমান আহমদ (২৬),জীবন মিয়া (২০), জুলেখা বেগম (২০), বোরহান উদ্দিন (৩৩), আসমান (২৩), খালেদ মিয়া (৩৫), মুদ্দত আলী (৩৮), সুমন আহমেদ (২৩), সোহাগ আহমেদ (৩২), রাজীব মিয়া (২৬), হেলাল মিয়া (৩৩), নজরুল (৪০), আক্কল মিয়া (২৭), নানু মিয়া (২০), কমলা মিয়া (২২), দুলাল মিয়া (২৪),সাদেক মিয়া (৩২), রুহেল মিয়া (২২), কামরুল হক (২৪), বাবুল মিয়া (২৩), সোলেমান (২০), আলী হোসেন (৩৩), দরাজ মিয়া (২৪), আঃ রহমান (৩৪), আবুল মিয়া (৪৫), মইনুল হক (২৫), আলতাব উদ্দিন (৫৫), আইনুল হক (৩২), সাইদী মিয়া (২২), মনছুর মিয়া (২৭), সোহেল মিয়া (৩৩), সোয়াইবুর রহমান (২৪), স্বপন মিয়া (২২)। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। বাকীদের ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মৃত নসর উদ্দিনের ছেলে খালেদ মিয়া এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। ইতিমধ্যে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়ে হাজতবাস করে জামিনে মুক্তি পায়। তার দাফটে এলাকার লোকজন আতংকিত। এছাড়া তৃতীয় একটি অপশক্তির উক্ত দাঙ্গা হাঙ্গামার পিছনে হাত রয়েছে। খবর পেয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ ডালিম আহমদ এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মালিক ও সাবেক প্যানেল মেয়র-১ এটিএম সালাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহŸান জানান।

গত নির্বাচনে ২৫০ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত মোতাহার হুসেন নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দী এবং সর্বজনগ্রাহ্য অবিসংবাদিত নেতা
হিসাবে জানান দিতে সংসদে দাবি করলেন "এরশাদও তার কাছে জামানত হারিয়েছেন "। কাজী ফিরোজ রশিদ সংসদ ফ্লোরে
মাইক ছাড়াই উষ্মা প্রকাশ করলেন এই বলে "তুমি কোন বীরবিক্রম আসলা যে, জেলে থেকে ৫ সিটে পাশ করে আসা এরশাদকে
ফেল করাইয়া দিলা!"
মোতাহার হুসেন কর্তৃক এরশাদের জামানত বাজেয়াপ্তের দাবি সংসদের রেকোর্ড বুক থেকে এক্সপাঞ্জ করা হবে বলে স্পিকার রুলিং দিলেন .
ফুলফুটুক আর না ফুটুক ফাগুন মানেই বসন্ত, কাজী ফিরুজ রশিদের ভালো লাগুক আর না লাগুক ২০১৪ এর নির্বাচনের
এম.পি.র মানেই , ইসির বুকে জমা থাকা " মোতাহার হুসেনের কাছে এরশাদ জামানত হারানো" রেকর্ড সারা
জীবনের জন্য ললাটে লিপিবদ্ধ হওয়া।
লক্ষীপুর ২ আসন , খালেদার জন্ম স্থান। প্রতিটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি বিনা কনটেস্টে
এই সিট থেকে নির্বাচিত হয়ে এসেছে।
খালেদা জিয়ার সিটে পাপলুর কাছে ধানের শীষের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়াই মনে করিয়ে দেয়
নেত্রী হিসাবে খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তার লেভেলের কত ?
বা 2018 নির্বাচনটি কোন লেভেলের হয়েছে?

বুদ্ধিজীবীদের বলতে শুনি, ২০১৪-এ সংবিধান মোতাবিক আওয়ামীলীগের অধীনে নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি ভুল করেছিলো।  কিন্তু ২০১৮-এ নির্বাচনে এই  সরকারের অধীনে নির্বাচনে গিয়ে বিএনপি কি ভুল করেছিল  তা আর  কাউকে বলতে শুনিনা!!

২০১৪ এ বিএনপি তত্বাবধায়ক ছাড়া নির্বাচন সুস্ট হবেনা এমন দাবি করে নির্বাচন বয়কট করায় বুদ্ধিজীবীরা বিএনপিকেই দোষ দিয়ে ছিলেন  - বিশ্বাসের অভাব বলে .

      বুদ্ধিজীবীদের কথা শুনে তত্বাবধায়কের দাবি রেখে বিএনপি  ২০১৮ এর নির্বাচনে আসলে দেশবাসী দেখলো , ঝড় ঝঞ্জাট মারামারি কাটাকাটি মুক্ত শান্তিপূর্ণ একটি  নির্বাচনী দিন . বাংলাদেশের বিগত অন্যান্য নির্বাচনে যে অপরাধগুলো সচরাচর  দেখা যেতো যেমন: জাল ভোট , কেন্দ্র দখল,  ভোট দিতে  বাধা দান, মারা-মারি, কাটা-কাটিএমনটিরকোনএকটিও২০১৮সালেরনির্বাচনেদেখাযায়নি।

 

বিএনপি নির্বাচনের পূর্বেই  ঘোষণা দিয়েছিল   আওয়ামীলীগ নির্বাচনে কেন্দ্র দখল করে  জালভোট বা  ভোট স্টাফিং করার চেষ্টা  করলে বিএনপি তার  কর্মীসমর্থকনিয়েতাপ্রতিরোধকরবে।

 

আওয়ামীলীগের কর্মীরা নির্বাচনের দিন জালভোট দেয়নি  বা  কোন কেন্দ্র  দখল করে ভোট স্টাফিং করার চেষ্টা করেনি বলে বিএনপির কর্মীরাও এসব প্রতিরোধে  মারামারি কাটাকাটি করারও চান্স পায়নি।     

কি এক জাদু বলে   পুলিশ- প্রশাসন জাল ভোট , কেন্দ্র দখল , ভোট দিতে  বাধা দান আর প্রতিরোধের সংস্কৃতি বন্ধ করে নির্বাচনের দিনটাকে শান্তিময় এবং নিরাপদ করে দিল, তা নিশ্চয় গবেষণার দাবি রাখে!

 

চট্টগ্রামের শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে  বিবিসির সংবাদাতাকে  আওয়ামীলীগ নেতা মনে করে ভুল করে নির্বাচনী কেন্দ্রে ঢুকিয়ে দিলে তার টেলিফোন ক্যামেরায় ধরা পরে নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট দিয়ে পূর্ণ করা ব্যালট বাক্স। 

 

এ ব্যাপারে   ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারকে প্রশ্ন করলে কোন উত্তর না দিয়ে রাজনৈতিক কর্মীদের রেখে  বিবিসির সংবাদ দাতাকেই কেন্দ্র থেকে  বেরকরেদেন।চারিদিকেএইঅপকর্মেরসংবাদছড়িয়েপড়লেসমস্তদিনখোলারেখেবিকেলতিনটায়কেন্দ্রটিবন্ধঘোষণাকরেনির্বাচনকমিশন।

 

তাইতো নির্বাচনে জালভোট না হয়ে, কেন্দ্র দখল করে  ভোট স্টাফিং এর মত জঘন্য  অপকর্ম না হয়েও,  কি করে  ২১৩টি  সেন্টারে  ১০০% ভোট কাস্ট হয়ে  যায়, আর   লক্ষ  লক্ষ বিএনপি কর্মী থাকার পর ১০৫২  সেন্টারে বিএনপির  একটি  ভোটও   খোঁজে পাওয়া যায়না,  এমন ভাবনার অবকাশ রাখে !

   "কে , কখন, কিভাবে এসব ভোট  কাস্ট করলো ?" কারো মনে  এমন প্রশ্নের উদ্রেক হলে তিনি    চট্টগ্রামের শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে  উত্তরখোঁজেপেতেপারেন।

 

হাড়ির একটি ভাতে টিপ দিয়ে  যেভাবে সমস্ত হাড়ির ভাতের খবর পাওয়া যায় তেমনি শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের  ভোটের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সেদিন সারা দেশের ভোটের  কি হাল হয়েছিল  তারসম্মক্ষধারণাপাওয়াযায়।

 

লোকে   ২০১৮ এর নির্বাচনকে লাইলাতুল ইলেকশন বা   নিশিরাতের নির্বাচন বলে !!  যাকে জাপানী রাষ্ট্রদূত বলেছেন ভোটের আগের রাতে পুলিশ দিয়ে ব্যালট বাক্স ভোট ভরে দেওয়া .

 

না  না  ধরনের  দুষ্কর্ম-অপকর্মের  জন্ম দেয়া ২০১৪ এবং ২০১৮ এর  নির্বাচন  বাংলাদেশ এমন কি বিশ্বের  নির্বাচনের ইতিহাসে  এক একটি মেইল ফলক।  বিগত  তিন দশকের  সবচেয়ে জনপ্রিয় তিন নেতার দুজনের   এ দুটি নির্বাচনে  জামানত হারিয়েছেন।  ২০১৪ এর নির্বাচনে হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ কাজী  মোতাহার হুসেন এর কাছে আর ২০১৮ এর নির্বাচনে খালেদা জিয়ার সিটে ধানের শীষ প্রতীক পাপলু  নামকএকআদমব্যবসায়ীরকাছে।

নির্বাচনের পূর্বেই নির্বাচিত হওয়ার সংস্কৃতি চালুর মাধ্যমে  ২০১৪ এর জাতি সংসদ নির্বাচন শুধু বাংলাদেশই নয় বিশ্বের নির্বাচনী ইতিহাসে  অমরত্ব লাভ করবে অনায়াসে বলা যায়.

২০১৮ এর নির্বাচন বিশ্বের নির্বাচনী ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে  নির্বাচনে    মাল্টি ডাইমেনশনাল ক্ষেত্র  আবিষ্কারের জন্য .  "কে কত অল্প ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত/পরাজিত" নির্বাচনী সংবাদের এমন প্রচলিত হেডিংয়ের পরিবর্তে ২০১৮ এর নির্বাচন বেশ কিছু নতুন হেডিংয়:

" বিজিতের চেয়ে বিজয়ী কয়েক লক্ষ বেশি ভোটে নির্বাচিত" / 

"অজস্র সেন্টারে  বিজয়ীর  পক্ষে শত ভাগ ভোট  পড়া " /

" এবসেনটি বেলট না থাকার পরও  ২১৩ সেন্টারে শত ভাগ ভোট  পড়া “,

"১০৫২ সেন্টারে অপজিশন জুটের  একটি ভোট না পাওয়া!!  ."

 

  1. LATEST NEWS
  2. Trending
  3. Most Popular