পলো বাওয়া উৎসব শত বছরের পুরনো ঐতিহ্য। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার পুরো সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে নবীগঞ্জ উপজেলার বিজনা নদীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে পলো বাওয়া উৎসব। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে চলে প্রস্তুতি। উৎসবে যোগ দিতে দূর দুরান্ত থেকে আসেন শিকারীরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের বিজনা নদীতে একসঙ্গে পলো নিয়ে নদীর পানিতে ঝাঁপ দিয়ে পলো বাওয়া উৎসব করেন মাছ শিকারীরা।
জানা যায়- প্রাচীনকাল থেকে পৌষ-মাঘ মাসে বিল বা উন্মুক্ত হাওরে দল বেঁধে মাছ শিকার করা হতো। যাকে বলা হয় পলো বাইছ বা পলো উৎসব। জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় এবং কালের পরিক্রমায় এখন সেই পলো উৎসব হারিয়ে গেছে। গ্রাম বাংলা প্রাচীন সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে গতকাল মঙ্গলবার নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের বনগাঁও, লামরোহ, গজনাইপুর, কান্দিগাঁও, রুদ্রগ্রাম নিয়ে গঠিত পাঁচ মৌজার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় পলো বাওয়া উৎসব। এতে গজনাইপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন-গ্রাম, আউশকান্দি ইউনিয়নের আউশকান্দি গ্রামসহ পাশ্ববর্তী বাহুবল, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর ও কাগাবালা এলাকা থেকে আগত নানা বয়সের কয়েক শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তাদের হৈ-হুল্লোড়ে অন্যরকম আমেজ সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ দুই ঘণ্টা মাছ ধরা শেষে একে একে উঠে আসেন তারা। সবার হাতে ছিল নানা ধরনের দেশীয় মাছ। কারো হাতে ছিল বড় বোয়াল, কারো হাতে ছিল কাতলা, শোল, গজার কিংবা রুই মাছ। আর জাল দিয়ে ছোটরা শিকার করেন টেংরা-পুঁটিসহ ছোট মাছ।বাহুবল উপজেলা থেকে আসা আকবর মিয়া বলেন- ছোটবেলায় দেখতাম অনেক বড় করে এই পলো উৎসব অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু এখন আর আগের মতো হয় না, আর মাছও পাওয়া যায় না। তবুও পলো উৎসবের কথা শুনে এতেদূর থেকে এসেছি মাছও পেয়েছি।মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কাগাবালা গ্রামের মিজান মিয়া বলেন- পলো উৎসবে মাছ ধরাটা মুখ্য নয়। হাজার হাজার মানুষের সাথে মাছ ধরা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।বনগাঁও গ্রামে সৈয়দ মিছবা উজ্জামান বলেন, আমাদের পাঁচ মৌজার পক্ষ থেকে পলো বাইছ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে, অনেক ভালো লাগছে, এই উৎসবে শত-শত মানুষ বিভিন্নস্থান থেকে অংশ নিয়েছেন। আশা করছি প্রতিবছর এমন পলো বাওয়া উৎসব আয়োজন করা হবে।দিনারপুর কলেজের প্রভাষক মোশারফ আলী বলেন- একটা সময় শুষ্ক মৌসুমে হাওর ও বিলের পানি শুকিয়ে আসতো। গ্রামের মানুষ তখন দল বেঁধে পলো ও ঠেলা জাল দিয়ে মাছ ধরার উৎসবে মেতে ওঠেন। গ্রাম-বাংলার প্রাচীন এই সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে পলো বাওয়া উৎসবের এমন আয়োজন সত্যি প্রশংসনীয়।
নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কৃতি সন্তান জেলা পরিষদের সদস্য শেখ সফিকুজ্জামান শিপনকে তার ইউনিয়নের সুইলপুর গ্রামবাসী ও যুব সমাজের পক্ষে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।গতকাল মঙ্গলবার সকালে সুইলপুর গ্রামের জামে মসজিদে মাঠে ইউপি সদস্য মোঃ মনু মিয়া সভাপতিত্বে ও কামরুল ইসলামের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংবর্ধিত ব্যক্তিত্ব জেলা পরিষদের সদস্য শেখ মোহাম্মদ সফিকুজ্জামান শিপন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া।এ সময় উপস্থিত ছিলেন, গ্রামের মুরুব্বি মির্জা খুর্শেদ মিয়া, সৈয়দ দলা মিয়া, সৈয়দ মুছন মিয়া, হায়দর মীর, কারী আবুল ফজল, মাওলানা ফজলুর রহমান, ওয়ারিজুল আম্বিয়া, মিজা শাহিনুর মিয়া, মির্জা ফুলু মিয়া, যুবক সমাজের পক্ষে শাহিনুর, উপজেলা তাতী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হোসেন, জাহির মিয়া, রাসেল মিয়া, জয়নুল মিয়া, সাদি মিয়া, মতিন মিয়া, রিমন মিয়া, প্রমুখ। এসময় প্রধান অতিথি ও সংবর্ধিত ব্যক্তি শেখ মোহাম্মদ সফিকুজ্জামান শিপন বলেন আমি সুইলপুর গ্রামবাসীর ভালবাসা আমার আজীবন মনে থাকবে আমি সুইলপুর গ্রামবাসীর জন্য কিছু করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করবো। তিনি গ্রামের মসজিদের উন্নয়ন মূলক কাজের জন্য নগদ অর্থ ঘোষণা করেন এবং কুর্শি ইউনিয়নের অবহেলিত গ্রামবাসীর পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করেন।
শেষ হলো নবীগঞ্জ মেয়র কাপ-২০২৩ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। মঙ্গলবার নবীগঞ্জ জে,কে হাইস্কুল মাঠে উক্ত টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় অংশ গ্রহন করেছেন আনমনু স্টার স্পোটিং ক্লাব বনাম আবাহনী স্পোটিং ক্লাব। টসে জিতে প্রথমেই ব্যাট করতে নামেন আনমনু স্টার স্পোটিং ক্লাব। তারা ১৮৮ রান করে অল আউট হয়। জবাবে আবাহনী স্পোটিং ক্লাব সব উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান করে অল আউট হয়। ১১ রানে চ্যাম্পিয়ান হন আনমনু স্টার স্পোটিং ক্লাব। খেলা চলাকালীন দর্শকদের উপড়ে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে উৎসবের আমেজ বেড়ে যায় জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ক্রিকেটার মোঃ আশরাফুলের উপস্থিতিতে। তিনি পৌরসভার আমন্ত্রনে উক্ত খেলায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন। পরে টুর্নামেন্টের পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্টান অনুষ্টিত হয়। মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী অনুষ্টানের প্রধান অতিথি এবং জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,জেলা পরিষদ সদস্য শেখ মোঃ শফিকুজ্জামান শিপন,প্যানেল মেয়র-১ জায়েদ চৌধুরী, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল মালিক,সাবেক প্যানেল মেয়র-১ এটিএম সালাম,প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া, কাউন্সিলর জাকির হোসেন,আব্দুস ছুবান, নানু মিয়া, যুবরাজ গোপ, কবির মিয়া, ফজল আহমদ চৌধুরী, সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারজানা আক্তার পারুল, সৈয়দা নাসিমা বেগম, পুর্ণমা দাশ, সাবেক কাউন্সিলর রুহুল আমীন রফু, সুন্দর আলী, প্রকৌশলী অরুন বাবু, হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা শেখ জালাল উদ্দিন, সহকারী প্রকৌশলী সহিদুর ইসলাম প্রমূখ। খেলায় সেরা বোলার স্টার স্পোটিং ক্লাবের মোজাম্মিল, সেরা ব্যাটস ম্যান সাইফুর রহমান, প্লেয়ার অব টুর্নামেন্ট লিটন-২ এবং সেরা উইকেট কিপার আবাহনীর আব্দুল্লাহ। পরে অতিথিবৃন্দ চ্যাম্পিয়ান ও রানার্স আপ দের হাতে নগদ অর্থসহ পুরুস্কার তোলে দেন। এদিকে সেরা ব্যাটস ম্যান সাইফুর নগদ ২ হাজার টাকা প্রদান করেন নবীগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নিতেন দেব। অপর দিকে জাতীয় ক্রিকেটার আশরাফুলকে ঘিরে উৎসুক মানুষের ভীর জমে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা অটোগ্রাফ নেওয়া এবং মোবাইলে সেলফি তোলার জন্য ভীর করেন।
নবীগঞ্জে ট্রাক চাপায় তানিয়া বেগম (২০) নামের এক কলেজ ছাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুই শিক্ষার্থী।গতকাল সোমবার (৬ই ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার কাজিরবাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তানিয়া বেগম সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কামড়াখাই গ্রামের চান্দু মিয়ার মেয়ে। তানিয়া নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আহতরা হলেন- তানিয়ার সহপাঠী সেফু মিয়া এবং একই কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জাকিয়া বেগম। আহতদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানান, তানিয়া বেগম, একই কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী জাকিয়া বেগমসহ সহপাঠী সেফু মিয়াকে নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারী কলেজের কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে নবীগঞ্জের কাজিরবাজার এলাকায় পৌছামাত্র বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী একটি ট্রাক চাপা দিলে মোটর সাইকেল চালকসহ তানিয়া বেগম ও জাকিয়া বেগম গুরুতর আহত হয়। আহতদের আশংখ্যা জনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় শিক্ষার্থী তানিয়া বেগম নিহত হয়। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ফয়জুল হক বলেন, ‘ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেছেন। ট্রাকটি উদ্ধার করে ফাঁড়িতে আনা হয়েছে। তানিয়ার মা প্রাক্তন মহিলা মেম্বার রোকসানা বেগম বলেন, ‘পড়ালেখার প্রতি মেয়েটির খুব আগ্রহ ছিল। স্বপ্ন দেখত পড়ালেখা শেষ করে সরকারি চাকরি করে পরিবারে মুখে হাসি ফুটাবে। কিন্তু ট্রাকের চাপায় আমাদের সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল!।
নবীগঞ্জের একমাত্র মহিলা কলেজ আইডিয়াল উইমেন্স কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উৎসাহ উদ্দীপনা আর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া আইডিয়াল উইমেন্স কলেজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল ল্যাবরোটরী হাই স্কুল কর্তৃক ৫ম শ্রেনীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও মেধা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। (সোমবার ০৬ই ফ্রেব্রুয়ারী )বেলা ১১টায় কলেজ ক্যাম্পাসে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নজির আহমদের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক সুমন আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে নবাগত শিক্ষার্থীদের আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেয় কলেজ প্রশাসন।অনুষ্ঠানের প্রথমে অতিথিরা নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।বক্তারা কলেজের গৌরবের উজ্জ্বল ইতিহাস শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে দেন। তারা বলেন, তোমরা ভালোভাবে পড়াশুনা করতে হবে। শুধু ভালো শিক্ষার্থী হলেই চলবে না, সকলকে দেশপ্রেমিক হতে হবে।শিক্ষার মান উন্নয়ন ও মান সম্মত শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে সুশিক্ষিত নাগরিক হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলার প্রতি আহŸান জানান বক্তারা। সকলকে দুর্নীতিমুক্ত, অসা¤প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ার আহŸান জানিয়ে বক্তারা বলেন, জাতিকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে নতুন প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে । এদিকে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য আইডিয়াল মেধাবৃত্তির সুচনা করার জন্য আইডিয়াল ল্যাবরোটরী হাই স্কুলকে ধন্যবাদ জানান উপস্থিত সকল বক্তাগণ।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমেদ চৌধুরী,বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ছাদেক হোসেন, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম,এ,আহমদ আজাদ,হীরা মিয়া গালস্ স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রদিপ রঞ্জন দাশ,উপজেলা শিশু শিক্ষা সাংস্কৃতিক পরিষদের প্রধান শিক্ষক কাঞ্চন বনিক,বড় সাকোয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ রুবেল মিয়া,এছাড়া আরো বক্তব্য রাখেন কলেজের সভাপতি নিরুপম দেব,ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আইডিয়াল ল্যাবরোটরী হাইস্কুলের সভাপতি সলিল বরণ দাশ, পরিচালক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ইমরান, দুলাল মিয়া,মিন্টু চন্দ্র রায়,রাজিব দাশ, রতন চন্দ্র দাশ, অভিভাবক হিসাবে বক্তব্য রাখেন আব্দুল হামিদ, কলেজের প্রভাষক বিদ্যুৎ চন্দ্র পাল,দীপ শংকর রায়,সঞ্জিত কুমার দাশ,রিপন গোপ,সুষ্মিতা রায়,রাবেয়া সুলতানা, হেপি পাল,দিপীকা বনিক ও রুমানা আক্তার প্রমুখ।উল্লেখ্য, আইডিয়াল ল্যাবরেটোরী হাই স্কুলের কতৃর্ক ২০২৩ সালে ০৭ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সুপার ট্যালেন্টপুলে ০১ জন,০২ জন ট্যালেন্টপুলে ও সাধারণ কোটায় ০৪ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন সুপার ট্যালেন্টপুলে প্রদীপ্তা চৌধুরী,ট্যালেন্টপুলে প‚র্ণা দাশ,অর্চিতা রানী দাশ,দিয়া দেবনাথ ও সাধারণ গ্রেডে প্রত্যাশা দাশ গুপ্ত,আফিয়া নওশীন লামী ও তাহশান তানিমা ইউশা।ভালো ফলাফলের জন্য মনোনীত সবাইকে সম্মাননা পাশাপাশি আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
নবীগঞ্জ পৌরসভা ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অনিয়ম ও কমিটির বিরুদ্ধে একতরফা সিদ্ধান্তের অভিযোগ আনা হয়েছে। আনমনু শাপলা স্পোটিং ক্লাবের অধিনায়ক জুবেল আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ আনেন। এসময় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শাপলা স্পোটিং ক্লাবের সাবেক অধিনায়ক কাজল আহমেদ, টিম ম্যানেজমেন্ট নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাবেদ মিয়া। গতকাল রবিবার রাতে শহরের নাঈস বাংলা চায়নিজ রেষ্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে জুবেল আহমেদ।লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, মেয়র কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৩ আন্তর্জাতিক নিয়মে সকল খেলা অনুষ্ঠিত হবে মর্মে এই খেলায় আনমনু শাপলা স্পোটিং ক্লাব অংশ নেয়। পরে দেখা যায় খেলার সকল নিয়ম ভঙ্গ করে বিতর্কের মধ্য দিয়ে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী খেলার প্রথম ম্যাচটিও অনিয়মের অভিযোগে ৩ ঘন্টা বিলম্বে খেলা শুরু হয়। এদিকে ১ম রাউন্ড ২য় রাউন্ড খেলায় জয়লাভ করে আনমনু শাপলা স্পোটিং ক্লাব। পরে কোয়ারটার ফাইনালেও জয়লাভ করে। সেমিফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই টুর্নামেন্টের সকল নিয়ম ভঙ্গ করে ৪টি টিমের মধ্যে লটারি মাধ্যমে খেলার চার্ট তৈরী করে আয়োজক কমিটি। গত ৪ ফেব্রুয়ারী দুপুরে লটারির মাধ্যমে খেলায় অংশ নেয় আনমনু শাপলা স্পোটিং ক্লাব বনাম আনমনু স্টার। এই খেলার শুরু থেকেই স্বনিয়োগপ্রাপ্ত লিটন কমান্ড নামে এক আম্পায়ার বার বার শাপলা স্পোটিং ক্লাবের বিপক্ষে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দিতে থাকেন। এর কারণে মাঠে সমবেত হাজার হাজার দর্শক এই আম্পায়ারের প্রতি ঘৃণা জানান। সেমিফাইনাল খেলার এক পর্যায়ে একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত এই আম্পায়ার দ্বারা পরিচালিত হলে কমিটির দ্বারস্থ হয় শাপলা স্পোটিং ক্লাব। কমিটি তাদের কথা অনুযায়ি কোনো নিয়ম না মেনেই শাপলার হাতে ৯ উইকেট ১৯ অভার ২ বল থাকা সত্বেও কমিটি তাদের বলয়ে আনমনু স্টারকে বিজয়ী বলে মাইকে ঘোষণা দেয়। এরপর শাপলা মাঠ ত্যাগ করে। শাপলার যৌত্তিক সেমিফাইনাল না দিয়ে ফাইনাল খেলার ঘোষণা দেওয়ার কারণে ৭ তারিখে যদি কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে এর দায়ভার পৌর কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে হুশিয়ারি দেন শাপলার প্লেয়াররা। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা চায় শাপলা স্পোটিং ক্লাব। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আইনগতভাবে মেয়র কাপের অনিয়মের বিরুদ্ধে সত্য জয় প্রতিষ্ঠিত করবে শাপলা।
নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন (৫ ফেব্রুয়ারী) রবিবার সম্পন্ন হয়েছে৷ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটাররা তাদের মনোনীত প্রার্থীদেরকে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোট দেন। এ নির্বাচনে ভোটের সংখ্যা ছিল ৩৩৭টি। উক্ত নির্বাচনে সভাপতি পদে মোঃ নুরুল হক ছাতা মার্কা নিয়ে ২৩৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক সভাপতি মুরশেদ আহমদ হারিকেন মার্কা নিয়ে ৯৭ ভোট পান। সহ সভাপতি পদে আব্দুল গফ্ফার চৌধুরী বেলাল চেয়ার মার্কা নিয়ে ২০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ দুরুদ মিয়া টেলিফোন মার্কা নিয়ে ১১৬ ভোট পান। সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ রুহেল আহমদ হরিণ মার্কা নিয়ে ১৬৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাইদুর রহমান চার্কা নিয়ে ১৬২ ভোট পান। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাইফুর রহমান মাছ মার্কা নিয়ে ২৪১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ আরশ আলী জাহাজ ৮৮ ভোট পান। ক্যাশিয়ার পদে মোঃ আবুল কাশেম মাইক নিয়ে ২৬২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোশাররফ হোসেন চৌধুরী আম মার্কা নিয়ে ৬৫ ভোট পান। সদস্য পদে ৪ জন, এর মধ্যে রিবু আহমেদ ঘোড়া মার্কা নিয়ে ২১০ ভোট , রিপন দেব ইমন কবুতর মার্কা নিয়ে ১৫৮ ভোট , কামরুল ইসলাম চৌধুরী ফুটবল মার্কা নিয়ে ১৪২ ভোট পেয়ে সদস্য পদে উক্ত ৩ জন নির্বাচিত হয়েছেন,তার নিকটতম প্রতিবন্ধী সৌরভ আহমেদ কলস মার্কা নিয়ে ১৪১ ভোট পান।উক্ত নির্বাচনের পূর্বেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ নোমান আহমদ, প্রচার সম্পাদক রাজু আহমদ ও দপ্তর সম্পাদক সুব্রত পাল৷ ফলাফল ঘোষণা করেন, প্রধান নির্বাচন কমিশন আব্দুল হামিদ নিকছন,উপস্থিত ছিলেন সহকারী নির্বাচন কমিশন, মোঃ দুধু মিয়া চৌধুরী, মোঃ কনর মিয়া,আব্দুর রকিব ও আব্দুল জব্বার৷ এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, আউশকান্দি র.প, উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ লুৎফুর রহমান, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম.এ আহমদ আজাদ, নবীগঞ্জ থানার এস,আই তৌহিদ আহমেদ,এস,আই গৌতম সহ পুলিশ সদস্য বৃন্দ৷ নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, মুরাদ আহমদ,সাবেক সভাপতি মোঃ সরওয়ার শিকদার,সহসভাপতি এম মুজিবুর রহমান, সাবেক সহসভাপতি শাহ্ সুলতান আহমদ সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ৷
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে খ্যাত, ঐতিহ্যবাহী আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতি'র বহুল প্রতীক্ষিত ৩য় দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন আজ ৫ ফেব্রুয়ারী রবিবার অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে বাজারের অলি-গলি ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আন্ত:জেলা বাস স্ট্যান্ডের গুরুত্বপূর্ণ স্থান৷ উক্ত সমিতির সূত্র জানায়, সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত আউশকান্দি র.প. উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসে ভোট গ্রহণ চলবে। নির্বাচনে ভোটার রয়েছেন ৩৩৭ জন। উক্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ১৭জন প্রার্থী৷ এতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে একক প্রার্থী শেখ নোমান আহমদ, প্রচার সম্পাদক রাজু আহমদ ও দপ্তর সম্পাদক সুব্রত পাল৷ সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক সভাপতি মুরশেদ আহমদ হারিকেন প্রতীকে, নুরুল হক ছাতা৷ সহসভাপতি পদে আ: গফ্ফার চৌধুরী বেলাল চেয়ার প্রতীক, দুরুদ মিয়া টেলিফোন৷ সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ রুহেল আহমদ হরিন, সাইদুর রহমান চাকা৷ সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আরশ আলী জাহাজ, সাইফুর রহমান মাছ৷ ক্যাশিয়ার আবুল কাশেম মাছ,মোশাররফ চৌধুরী আম ও সদস্য পদে লড়ছেন ৪ জন কামরুল ইসলাম চৌধুরী ফুটবল, রিবু আহমেদ ঘোড়া,রিপন দেব ইমন কবুতর ও সৌরভ আহমেদ কলস মার্কা৷ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশন হিসেবে রয়েছেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মোঃ আব্দুল হামিদ নিকছন, সহকারী নির্বাচন কমিশন পদে দায়িত্ব পালন করছেন, মোঃ দুধু মিয়া চৌধুরী, মোঃ কনর মিয়া,আব্দুর রকিব ও আব্দুল জব্বার৷ কে হাসবে বিজয়ের হাসি এনিয়ে চলছে বাজারের হোটেল রেস্তোরায় সহ ব্যবসায়ীদের মধ্যে চুল-ছেঁড়া বিশ্লেষণ৷
নবীগঞ্জ উপজেলা সদরের পশ্চিম তিমিরপুর অবস্থিত এনায়েত খান মহিলা কলেজের নবীণ বরণ অনুষ্ঠান গত বুধবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়।কলেজ গর্ভনিং বডির সভাপতি সুখেন্দু রায় বাবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ তোফাজ্জুল ইসলাম চৌধুরী। প্রধান অতিথি ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরিয়ার। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম,নবীগঞ্জ এডুকেশন ষ্ট্রাষ্টের সাবেক সভাপতি মোতাহের হোসেন চৌধুরী,সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান চৌধুরী চুনু, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম,এ আহমদ আজাদ, নবীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরী,কলেজ পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব সাংবাদিক ফখরুল আহসান চৌধুরী, নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়া ,যুক্তরাজ্যস্থ কমিউনিটি লিডার তুহিন আহমদ চৌধুরী,শাহ ছালিক মিয়া,নবীগঞ্জ জে কে সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন,হোমল্যান্ড আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাফস ভট্রাচার্য্য,রাজরানী সুভাষিণী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ মেজাহিদ আলী, এক্সিম ব্যাংক নবীগঞ্জ শাখার ম্যানাজার মোঃ আব্দুল ওয়াহিদ, ইউসিবি ব্যাংক নবীগঞ্জ শাখার ম্যানাজার মোহিত ভট্রাচার্য্য, ব্র্যাক ব্যাংক নবীগঞ্জ শাখার ম্যানাজার এমরান হাবিব চৌধুরী, জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনসুর চৌধুরী, হিরামিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রদ্বীপ রঞ্জন দাশ,সাবেক প্রধান শিক্ষক এটিএম বশিরুল ইসলাম,সমাজসেবক মুজিবুর রহমান শেফু, সমাজসেবক জাসদ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান মাসুদ,বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রনেতা তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী, প্রভাষক মাহমুদুর রহমান আল আমিন,কলেজের ছাত্র খাদিজা আক্তার জেবা প্রমূখ। পরিচালনা করেন কলেজের প্রভাষক অনুণ সুত্রধর ও প্রভাষক সালমা আক্তার। অনুষ্ঠান শুরুতেই অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করেন ছাত্রীরা। অনুষ্ঠানে প্রবাসীরা কলেজে অনুদানের চেক প্রদান করেন।
নবীগঞ্জ কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করায় মুজ্জাকির আহমেদ নামে ব্যক্তিকে মোবাইল কোটে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন।গত বুধবার মোবাইল কোট পরিচালনা করেন নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) শাহিন দেলোয়ার জানাযায় শীত মৌসম এলে এক শ্রেনির মানুষ কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন করে ব্যবসা ও ইটভাটায় ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করে থাকেন। তারা মাটি মজুত করে রাখেন। এর ধারাবাহিকতা উপজেলার ৮নং সদর ইউনিয়নের হালিতলা এলাকায় অবৈধভাবে চলে মাটি কাটার উৎসব। টিকাদার শেখ মোঃ শফিকুজ্জামান শিপন অভিযোগ করে বলেন সালামতপুর টু চৌশতপুর রাস্তার কাজের নিমাধীন চলাকালে অনেক ক্ষতি হয়।খবর পেয়ে গোপনসংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শাহিন দেলোয়ার। মোবাইল কোট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন নবীগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম। এসময় তিনি বালুমহালও মাটি ব্যবস্হাপনা আইন ২১০ এর সংলিষ্ট ধারায় এক জনকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি শাহিন দেলোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,যারা অবৈধভাবে মাটি ও বালি উত্তোলন করবে, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নবীগঞ্জে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রিতে নৈরাজ্য কায়েম করেছে ফ্রেস গ্যাসের ডিলার অলিউর রহমান সোহাগ । তিনি প্রতি ১২কেজির বোতলে গ্যাসে সরকারী মূল্যর চেয়ে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা অতিরিক্ত ধরে নবীগঞ্জ, আজমেরীগঞ্জ, সহ জেলার প্রতিটি উপজেলায় বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। ২/ ৩ দিন গ্যাস সংকট দেখিয়ে বেশি দামে, বিক্রি করচ্ছেন ওই ডিলার। সিন্ডিকেট বানিজ্যের কারণে জিম্মি হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। এ নিয়ে চরম ভোগান্তি ও বিতর্কের যেন শেষ নেই। ডিলার ও খুচরা মালিক পক্ষের কারসাজিতে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি চলছে ইচ্ছে মত দাম বাড়িয়ে দেয়ার নোংরা খেলা। এতে করে বাধ্য হয়েই চওড়া মূল্য দিয়ে কিনতে হচ্ছে খূচরা দোকান মালিকদের। খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করচ্ছেন জানা গেছে, ক্রেতাদের কাছ থেকে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নিতে সরকারী-বেসরকারী কোন নির্দেশ মানছে না নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ি বাজারের ফ্রেশ গ্যাসের ডিলার অলিউর রহমান সোহাগ। ফলে প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাগণ। সিন্ডিকেট করে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অধিকাংশ মানুষই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আর লাভবান হচ্ছে গুটি কয়েকজন। সরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপিজি ১২৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু ফ্রেশ গ্যাসের ডিলার নবীগঞ্জ উপজেলার ইমামবাড়ি বাজারের রহিমা এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী অলিউর রহমান সোহাগ ১৩৮০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকা বিক্রি করছেন পাইকারি দোকানদারদের কাছে।সোহাগ গ্যাস সংকট দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা।খুচরা দোকানরা বেশি দামে গ্যাস ক্রয় করলে মেমো চাইলে সোহাগ ও তার লোকজন মেমো নাই বলে মেমো দেয় না । অলিউর রহমান সোহাগের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি সরকারী দামের চেয়ে বেশি দামে গ্যাস কিনেছি তাই বেশি দামে বিক্রি করতেছি। আইন দেখিয়ে লাভ নাই।এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান শাহরীয়ায় জানান,এলপিজি গ্যাস সরকারি মূল্যের বাহিরে এক টাকা বেশি বিক্রি করা যাবে না।যে বা যারা সরকারি আইন অমান্য করে বেশি দামে গ্যাস বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Feb 08, 2023 24 নবীগঞ্জের সংবাদ
Feb 07, 2023 17 নবীগঞ্জের সংবাদ
Feb 06, 2023 16 নবীগঞ্জের সংবাদ
Feb 06, 2023 8 নবীগঞ্জের সংবাদ
Feb 03, 2023 40 নবীগঞ্জের সংবাদ
Jan 29, 2023 16 নবীগঞ্জের সংবাদ
Jan 26, 2023 64 নবীগঞ্জের সংবাদ
Jan 23, 2023 79 নবীগঞ্জের সংবাদ
Jan 23, 2023 117 নবীগঞ্জের সংবাদ
Jan 19, 2023 38 নবীগঞ্জের সংবাদ
Jan 08, 2023 80 নবীগঞ্জের সংবাদ
Jan 03, 2023 73 নবীগঞ্জের সংবাদ
Dec 28, 2022 81 নবীগঞ্জের সংবাদ
Dec 23, 2022 99 সংবাদ
Dec 15, 2022 358 নবীগঞ্জের সংবাদ
Dec 12, 2022 134 নবীগঞ্জের সংবাদ
Dec 08, 2022 161 নবীগঞ্জের সংবাদ
Dec 06, 2022 169 নবীগঞ্জের সংবাদ
Dec 04, 2022 153 নবীগঞ্জের সংবাদ
Dec 02, 2022 240 নবীগঞ্জের সংবাদ
Dec 02, 2022 149 নবীগঞ্জের সংবাদ
Dec 02, 2022 205 নবীগঞ্জের সংবাদ
Nov 28, 2022 192 নবীগঞ্জের সংবাদ
Nov 22, 2022 207 নবীগঞ্জের সংবাদ
Aug 24, 2019 2419 নবীগঞ্জের সংবাদ
Apr 14, 2020 1884 নবীগঞ্জের সংবাদ
Apr 20, 2020 1511 নবীগঞ্জের সংবাদ
May 06, 2020 1607 নবীগঞ্জের সংবাদ
Sep 25, 2019 1748 সংবাদ
Apr 25, 2020 1735 মতামত
Apr 27, 2020 1615 নবীগঞ্জের সংবাদ
Sep 25, 2019 1809 নবীগঞ্জের সংবাদ
Oct 23, 2019 1691 নবীগঞ্জের সংবাদ