এবারের বন্যায় হবিগঞ্জে ৭ উপজেলায় ১৬৯ কিলোমিটার রাস্তা ও ৬ ব্রীজ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব রাস্তা ও ব্রীজ মেরামতে প্রয়োজন ১৪১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
জেলায় এ ক্ষতি শুধুমাত্র স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে নির্মিত ৬২টি রাস্তা ৬টি ব্রীজের। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর ৬২টি রাস্তার প্রায় ১৬৯ কিলোমিটার ক্ষত ভেসে উঠে।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে হবিগঞ্জ সদর উপজেলা। এ উপজেলার ২৪টি রাস্তায় ৫৯ কিলোমিটারে ছোটবড় গর্ত ও অনেক স্থানে বড় বড় ভাঙ্গন দেখা গেছে। সদর উপজেলার রাস্তা মেরামতে প্রয়োজন ৪০ কোটি টাকা।
এছাড়াও বানিয়াচং উপজেলায় ৪০ কিলোমিটার, আজমিরীগঞ্জে ৩২ কিলোমিটার, চুনারুঘাটে ১৪ কিলোমিটার, বাহুবলে ৪টি ব্রীজ ও ১২ কিলোমিটার, মাধবপুরে ৭ কিলোমিটার ও লাখাই উপজেলায় ২টি ব্রীজ ও ৫ কিলোমিটার রাস্তা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলায় খোয়াই নদীর বাঁধে এলজিইডির ২১ কিলোমিটার রাস্তা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এতে রিচি ও লোকড়া ইউনিয়নের লোকজন চলাফেরায় দুর্ভোগে পড়েছেন।
সদর উপজেলার রিচি ইউনিয়নের জালালাবাদ অংশে খোয়াই নদীর বাঁধে প্রায় ৫০ ফুট প্রশস্ত ভাঙন দেখা গেছে। সেখানে নদী ও হাওড় যুক্ত হয়ে গেছে। ফলে মানুষ ও যান চলাচল অচল হয়ে পড়েছে। মাছুলিয়া-মশাজান এলাকায়ও নদীর দু’পাড়ের বাঁধে নির্মিত এলজিইডির রাস্তা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
বন্যার পানিতে অন্য ৬ উপজেলার ব্রীজ ও রাস্তাগুলোর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ১৬৯ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের জন্য প্রায় ১৪১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদুল ইসলাম জানান, চেষ্টা করছি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা ও ব্রীজগুলো খুব শীঘ্রই মেরামত করার।