নবীগঞ্জ উপজেলার ৭নং করগাও ইউনিয়ন বিএনপির বর্ধিত সভার আহবান করেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। শুক্রবার ইউনিয়নের শাকুয়া বাজারে দলীয় অস্থায়ী কার্যালয়ে সভার আহবান করা হয়। সভাপতি সম্পাদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে করগাও ইউনিয়ন বিএনপির ৭১ সদস্য অনুমোদিত কমিটির প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার আক্কেল আলী, ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছমিরুল হককে এই বর্ধিত সভার দাওয়াত দেওয়া হয়নি। কি কারনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদককে না জানিয়ে সভার আহবান করা হলো তা জানতে চান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজতাহিদ উদ্দিনের কাছে কমিটির প্রচার সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম সমুন। জবাবে সাধারণ সম্পাদক মুজতাহিদ উদ্দিন বলেন সভাপতি সম্পাদক বর্ধিত সভার আহবান করতে পারেন এবং তাদের সিদ্ধান্তই সংগঠনের কার্যক্রম চলবে বলে তিনি জানান। বিষয়টি সকল নেতাকর্মী কাছে জানা জানি হলে এই নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীসহ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলোচনা সমালোচনা সৃষ্টি হয়। দলীয় বিভক্তি কোন্দল নিরসনের জন্য প্রচার সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম সুমন বিষয়টি সমধান করে সকল নেতাকর্মী নিয়ে যাহাতে বর্ধিত সভাটি সুন্দর ভাবে পরিচলানা করা যায় সে জন্য তিনি সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজতাহিদ উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মাষ্টার আক্কেল আলী, ও সাংগঠনিক সম্পাদক ছমিরুল হক নিয়ে এক টেবিলে বসে সমাধান করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। পরে এ নিয়ে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সরফরাজ আহমদ চৌধুরীকে বিষয়টি অবগত করা হয়। তারা কোন সমধান না পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক সকল সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ওই বর্ধিত সভা না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কমিটির অনুমোদনের প্রায় ৩ বছর পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মনগড়া তারিখে প্রথম কোন সভার আহবান করায় ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির ৫৪ সদস্যর অনুপস্থিতে মাত্র ১৭ জন দলীয় সদস্য নিয়ে বর্ধিত সভা করছেন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ৫৪ সদস্যর অনুপস্থিত থাকায় ওই বর্ধিত সভার মিটিং নিয়ে এলাকাসহ শহর জুড়ে আলোচনা সমালোচনা ঝড় বইছে। করগাও ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাষ্টার আক্কেল আলী বলেন, কমিটির সাধারন সম্পাদক মুজতাহিদ উদ্দিন ও সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান তারা দুজন মনগড়া একক সিদ্ধান্ত বর্ধিত সভা আহবান করায় দলীয় নেতাকর্মী তা প্রত্যখান করেন। সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ছমিরুল হক বলেন মিটিংয়ের তারিখ নিধারন করার আগে আমরা সুপার ৫ এবং দলীয় সিনিয়র নেতাকর্মীসহ বসে একটা তারিখ নির্ধারণ করা পরামর্শ দেই এসময় সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুজতাহিদ উদ্দিন বলেন এখানে কারো প্রয়োজন নেই দলীয় মিটিং সভাপতি সম্পাদক বসে তারিখ করতে পারে ওই মিটিং কেউ না আসলে তাতে দলের কোন ক্ষতি হবে না। এখবর দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে পৌঁছলে দলীয় নেতাকর্মীরা ওই বর্ধিত সভা প্রত্যখান করেন। কি কারনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদককে দাওয়াত হয়নি এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহ সভাপতি মোঃ আবু সুফিয়ান বলেন তাদেরকে সাধারন সম্পাদক ফোন দিয়েছিলেন তারা ফোন রিসিভ করেনি।