বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক কমিটির সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- শেখ হাসিনা গত ১৬টি বছর আমাদের উপর অনেক জুলুম করেছে, অনেক কষ্ট দিয়েছে, গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। মিথ্যা মামলায় দন্ড দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৬টি বছর বন্দি করে রেখেছিল। মিথ্যা মামলায় দন্ড দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনা ভেবেছিল, পুলিশ দিয়ে, আইন শৃংখলা বাহিনী দিয়ে আজীবন মতায় থাকবেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে এক কাপড়ে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।
তিনি গতকাল সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনয়িনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে হবিগঞ্জ জেলা কৃষকদলের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মফিজুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, যুগ্ম আহ্বায়ক আজম উদ্দিন ও এডভোকেট আফজাল হোসেন, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, নিজামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী আব্দুল মতিন প্রমুখ।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক কমিটির সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- শেখ হাসিনা গত ১৬টি বছর আমাদের উপর অনেক জুলুম করেছে, অনেক কষ্ট দিয়েছে, গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। মিথ্যা মামলায় দন্ড দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৬টি বছর বন্দি করে রেখেছিল। মিথ্যা মামলায় দন্ড দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনা ভেবেছিল, পুলিশ দিয়ে, আইন শৃংখলা বাহিনী দিয়ে আজীবন মতায় থাকবেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে এক কাপড়ে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।
তিনি গতকাল সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনয়িনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে হবিগঞ্জ জেলা কৃষকদলের উদ্যোগে ত্রাণ বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মফিজুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, যুগ্ম আহ্বায়ক আজম উদ্দিন ও এডভোকেট আফজাল হোসেন, জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, নিজামপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী আব্দুল মতিন প্রমুখ।
হবিগঞ্জের সদর উপজেলার পূর্ব ভাদৈ অংশে খোয়াই নদীর বাঁধ ধ্বসে গেছে। ফলে নদীতে আরেকবার বান আসলে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ভাদৈ এলাকায় বাঁধের প্রায় ৫০ ফুট অংশ ধ্বসে গেছে। বাঁধের মাটি ধসে নদীতে পড়ে যাচ্ছে ও ধ্বসের পরিমাণ একটু একটু করে বাড়ছে। এলাকাবাসী এ অবস্থা দেখে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধ মেরামতের আশ্বাস দেন। এতে লোকজন শান্ত হয়।
স্থানীয়রা জানান, ২৩ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জেলা সার্কিট হাউজের বৈঠকে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দ্রুত বাঁধ মেরামত করার নির্দেশ দেন। নির্দেশের এক সপ্তাহ পরও তাঁরা মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি। ফলে বাঁধ ধসে গেছে ও বাঁধের উপরের রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। আগামীতে বৃষ্টি হলে ও ঢল নামলে পুরো বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করবে। লাখও মানুষ এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান জানান, পূর্ব ও পশ্চিম ভাদৈ উভয় এলাকায় বালুবোঝাই ভারী যানবাহন চলাচল করায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিগগিরই মেরামত না করলে উজানের ঢলে বাঁধ ভেঙে হবিগঞ্জ শহর তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা থেকে যাবে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) জেলার সাদারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, নিম্নচাপের ফলে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্রিপুরা থেকে সম্প্রতি আরেকবার খোয়াই নদীতে পানি আসার শঙ্কা রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বাঁধ মেরামত করা অতি জরুরি।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ জানান, তিনি দ্রুত বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেবেন। এ ব্যাপারে অবহেলা করা হবে না।
বানিয়াচংয়ে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেলো বড় ভাইয়ের। ঘটনাটি ঘটেছে ২ সেপ্টেম্বর (সোমবার) সকাল ১০ টায় বানিয়াচং উপজেলার ৩ নম্বর দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়নের দোয়াখানী গ্রামে। নিহত ব্যক্তি নওশাদ মিয়া (৫০) উপজেলা সদরের ৩নং দক্ষিণ পূর্ব ইউনিয়ন এর কিম্মত আলীর ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ আহমিনা আক্তার নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে। সূত্রে জানা যায়, নিহত নওশাদ মিয়া ও তার ছোট ভাই জুহেদ মিয়ার সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে সোমবার সকাল ১০টার দিকে দুই ভাইয়ের মধ্যে বাড়ির সীমানা নিয়ে দুজনের মধ্যে বাক বিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে ছোট ভাই জুহেদ মিয়া উত্তেজিত হয়ে বড় ভাই নওশাদ মিয়াকে তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করে। সাথে সাথেই নওশাদ মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে আশ পাশের লোকজনের সহায়তায় তাকে স্থানীয় উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতর্বরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযান চালিয়ে ইতিমধ্যে খুনি জুহেদ মিয়ার স্ত্রী আহমিনা আক্তারকে আটক করা হয়েছে। তাদের বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরেই এই হত্যাকান্ডের সুত্রপাত। তবে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।