হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক মোঃ আফজাল হোসেন এর বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ নেতার জামিন করার অভিযোগ উঠেছে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে মোঃ আফজাল হোসেনকে ৭ দিনের মধ্যে বিএনপি'র দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইসলাম তরফদার তনু ও এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম এর নিকট কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক ইসলাম তরফদার তনু ও এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম এর সাক্ষরিত একটি পত্র হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক মোঃ আফজাল হোসেন এর কাছে পাঠানো হয়।হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহব্বায়ক ইসলাম তরফদার তনু ও এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম পত্রে উল্লেখ করেন,
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি হবিগঞ্জ সদর উপজেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আফজাল হোসেন । বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণ আন্দোলনে হবিগঞ্জ জেলায় আওয়ামী সন্ত্রাসী নেতা কর্মী ও পুলিশের বন্দুকের গুলিতে গত ২রা আগষ্ট ২০২৪ইং তারিখে বিএনপি কর্মী মোঃ মোস্তাক আহমেদ নিহত হন। পরবর্তীতে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পতনের পর তার পরিবারের সম্মতিতে বিএনপি'র পক্ষ থেকে হবিগঞ্জ সদর থানায় সাবেক এমপি আবু জাহিরসহ ১১১ আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের নামে হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। যাহার জি. আর নং-১৮১/২৪ইং (হবি)। উক্ত মামলা রুজু করার সময় মোঃ আফজাল হোসেনসহ আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মামলার আরজি লিখা হয়। বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আছে যে, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র গণ আন্দোলনের শেখ হাসিনার নির্দেশে খুন ও জখম হওয়া দায়েরী সকল মামলায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার পক্ষে বিএনপি'র সকল আইনজীবী আইনী সহয়তা প্রদান করবেন। কিন্তু গত ০৪/০৯/২০২৪ইং তারিখে উক্ত মামলায় গ্রেফতার কৃত আসামী মোঃ কাশেম মিয়া, পিতা-মৃত লাল মিয়া, সাং-নোয়া পাতারিয়া, থানা-বানিয়াচং, জেলা- হবিগঞ্জের পক্ষে মোঃ আফজাল হোসেন আইনী সহায়তা প্রদানের জন্য আসামীর পক্ষে আইনজীবী নিযুক্ত করে। তিনি গত ০৯/০৯/২০২৪ইং ও ১৯/০৯/২০২৪ইং তারিখে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কগ-১ এর আদালতে জামিন আবেদন করেছেন এবং গত ২৯/০৯/২০২৪ইং তারিখে আসামী কাশেমের জামিন করান। উক্ত কর্মকাণ্ড বিএনপি দলীয় ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ অমান্য করে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন তিনি।
মোঃ আফজাল হোসেনের উক্ত কর্মকাণ্ডে দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে মারাত্মক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই কর্মকাণ্ডে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের রক্তের সহিত বেইমানি হয়েছে মর্মে বিএনপি মনে করে। উক্ত কর্মকাণ্ড বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার গণ আন্দোলনের পরিপন্থী ও দলীয় শঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন দল থেকে মোঃ আফজাল হোসেনকে বহিষ্কার করা হবে না তৎমর্মে তাকে ৭ (সাত) দিনের মধ্যে বিএনপি'র দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে। জবাব দানে ব্যর্থ হলে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক আফজাল হোসেন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের দিনারপুর সাকিনস্ত গালিব নুর পেট্রোল পাম্পের সামনে ট্রাক ভর্তি বালুগাড়ি ও পিকআপের সংঘর্ষে হেলপার নিহতের খবর পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনায় চালক আহত হন। বৃহস্পতিবার সকাল ৭ ঘটিকা এ দুর্ঘটনা সংঘটিত হয় । হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, (০৩ অক্টোবর) সকালে নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের দিনারপুর সাকিনস্ত গালিব নুর পেট্রোল পাম্পে সামনে ঢাকাগামী বালু ভতি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট ১৮-৫৫৯৪) ও সিলেট গামী পিকআপ (ঢাকা মেট্রো-ন ১৮-৭৫৪১) আসা মাত্র সংঘর্ষে পিকআপের হেলপার নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার কাইয়ূম মিয়া (৩৫)নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন চালক রংপুর জেলার শ্রী চন্দন চন্দ্র। স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে প্রাথমিক ভাবে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে প্রেরণ করেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশটি উদ্ধার করে শেরপুর হাইওয়ে থানায় নিয়ে যায়।দুর্ঘটনায় কবলিত বালু ভতি ট্রাক ও পিকআপ শেরপুর হাইওয়ে থানার পুলিশ জব্দ করেছে। নিহত ও দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন হাইওয়ে থানার এস আই হাসিউল ইসলাম।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক কমিটির সম্পাদক ও টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন- মুসলমান ধর্মের একটি কাঙ্কিত মাস মাহে রমজান। এই মাসে সাহরী, ইফতার ও তারাবির নামাজ সহ আমাদের অনেকগুলো ইবাদত থাকে। সনাতন ধর্মের মানুষেরও আসন্ন দুর্গাপূজায় সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত তাদের ধর্মীয় কাজ থাকে। এই কাজগুলো যাতে তারা নির্বিঘ্নে করতে পারে সে জন্যই বিএনপি নেতাকর্মীরা সার্বক্ষনিক সর্তক দৃষ্টি রাখবে।
তিনি গতকাল বুধবার দুপুরে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে হবিগঞ্জ জেলার প্রত্যেক পূজা মন্ডপে বিএনপি এবং সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সমন্বয়ে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠনের লক্ষ্যে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় এসব কথা বলেন। সভায় জি কে গউছ আরও বলেন- আওয়ামীলীগ একটি চক্রান্তকারী রাজনৈতিক সংগঠন। চক্রান্তের মধ্য দিয়েই তাদের জন্ম, চক্রান্তের মধ্য দিয়েই তাদের বেড়ে উঠা, চক্রান্তের মাধ্যমেই আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করেছিল। সেই আওয়ামীলীগ জনরোষে পরাজিত হয়েছে ঠিকই কিন্তু তাদের দুষ্টামী মাথা থেকে সড়েনি। তাই আওয়ামীলীগ যাতে দুর্গাপূজায় কোনো প্রকার বিশৃংখলা বা অপ্রীতিকর ঘটনা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য পূজা কমিটির লোকজনের সাথে সমন্বয় করে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পাহারায় থাকবেন। আলহাজ্ব জি কে গউছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আহমদ আলী মুকিব, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, এম ইসলাম তরফদার তনু, হাজী এনামুল হক, এডভোকেট কামাল উদ্দিন সেলিম ও আব্বাস উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা রফিক, এম জি মোহিত, আব্দুল ওয়াদুদ তালুকদার আব্দাল, এডভোকেট আব্দুল হাই, মতিউর রহমান পিয়ারা, গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল, আজিজুর রহমান কাজল, ফরিদ আহমেদ অলি, তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, সৈয়দ তোফায়েল ইসলাম কামাল, শামছুল ইসলাম কামাল, সরফরাজ চৌধুরী, এডভোকেট হাবিবুর রহমান, এডভোকেট মনিরুল ইসলাম, শেখ ফরিদ মিয়া, আব্দুর রকিব, ফজলে রকীব মাখন, হাজী আব্দুল মজিদ, মাসুকুর রহমান, হাজী আবু তাহের, দিদার হোসেন, এডভোকেট মীর সিরাজ আলী, আলা উদ্দিন আল রনি, হামিদুর রহমান হামদু, শাহ আলম গোলাপ, আজম উদ্দিন, হাবিবুর রহমান, নুরুল আমিন, লুৎফুর রহমান, মুজিবুর রহমান, তৌহিদুর রহমান, মর্তুজা আহমেদ রিপন, এনামুল হক, শামছুদ্দিন আহমেদ, আব্দুল মজিদ, আব্বাস উদ্দিন, তোফাজ্জুল হক, তাজুল ইসলাম মোল্লা, নুরুল হক টিপু, সোহাগ চেয়ারম্যান, নুরুল ইসলাম নানু, অরবিন্দু রায়, ছমির আলী, সুব্রত দাস বৈষ্ণব, এডভোকেট এস এম বজলুর রহমান, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মফিজুর রহমান বাচ্চু, নুরজাহান বেগম, আফরোজা খানম, আব্দুল্লাহিল কাফি, আব্দুল আওয়াল মেম্বার, আলী হোসেন সোহাগ প্রমুখ।
নবীগঞ্জ উপজেলার বানিউন গ্রামে ২ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় এক ব্যক্তিকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। এ ঘটনায় চাঁদাবাজির শিকার বানিউন গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে মোঃ জুবায়েল আহমদ বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে জিয়া উদ্দিন (৪৪)কে আসামী করে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কগঃ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন- “আসামীর সহিত বিভিন্ন বিষয়ান্তরে মনোমালিন্যতা ও বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। নিম্ন তপশীল বর্ণিত ভূমি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। উক্ত ভূমিতে আমরা চাষাবাদ করিতে গেলেই বিভিন্ন সময় আসামী ও তাহার সহযোগিরা বিভিন্ন প্রকার বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করে। ইদানিং আসামী ও তার সহযোগিরা নিম্ন তপশীল বর্নিত ভূমিতে আমি ও আমার লোকজন চাষাবাদ করিতে গেলেই ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা চাঁদা দাবী করিয়া আসিতেছে। আমি এ ব্যাপারে এলাকার ময়-মুরুব্বীয়ানকে অবহিত করিলে আসামী আমাদের প্রতি আরও ক্ষিপ্ত হইয়া আমাদেরকে জানে মালে ক্ষতিগ্রস্ত করার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকিয়া ১৪/০৯/২০২৪ইং তারিখ রোজ শনিবার, সকাল অনুমান ১০:০০ ঘটিকার সময় আমি আমার নিম্ন তপশীল বর্নিত ভূমি দেখিতে গেলে তথায় পূর্ব হইতে উৎপাতিয়া থাকা উল্লেখিত আসামী ও অজ্ঞাত নামা আসামীরা আমাকে চারদিক হইতে ঘিরিয়া ধরে। তখন আসামী জিয়া উদ্দিন তাহার হাতে থাকা রামদা আমার গলায় ধরিয়া হুমকী দিয়া বলে এই জমি ভোগ দখল করিতে বা চাষাবাদ করিতে চাহিলে আমাকে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হইবে। অন্যথায় এখানে আসিলে তোকে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিব। এইরূপ হুমকী শুনিয়া আমি হত বিহবল হইয়া পড়ি। আমি আসামীকে কোনরূপ চাঁদা প্রদান করিতে পারিব না বলিলে আসামীর সঙ্গে থাকা অজ্ঞাত আসামীরা আমাকে কিল, ঘুষি মারিয়া আহত করে। আমি প্রাণ রক্ষার্থে শোর চিৎকার করিলে আশপাশ হইতে কোন কোন সাক্ষীগণ দৌড়াইয়া আগাইয়া আসিয়া দূর্দান্ত আসামীর কবল হইতে আমাকে প্রাণে রক্ষা করেন। অন্যথায় দূর্দান্ত আসামী আমাকে নিশ্চিত খুন করিয়া ফেলিত। এই সময় আসামী আমাকে হুমকী দিয়া বলে ভবিষ্যতে কোন দিন আমি ময়-মুরুব্বীয়ানের নিকট বিচার চাহিলে বা মামলা মোকদ্দমা করিলে আমাকে খুন করিয়া লাশ গুম করিয়া ফেলিবে বলিয়া ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়।মামলায় বাদী জুবায়েল আহমদ আসামীকে দাঙ্গাবাজ, লাঠিয়াল, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
নবীগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ৪ জন ডাকাত গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার আউশাকান্দি এলাকা থেকে ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গত ০১/১০/২০২৪ তারিখ রাতে
সিলেট থেকে গরু ব্যাবসায়ীরা কিশোরগঞ্জ যাওয়ার পথে নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের মডেল বাজার সংলগ্ন ব্রীজের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপর অজ্ঞাতনামা ১২/১৩ জন ডাকাত মোঃ এনায়েতুল( এনাতুল বেপারী) বিভিন্ন রংয়ের ৩৯ টি ডেকা বাছুর মূল্য-১৬,০৫,৫০০/- টাকা ও একটি ট্রাক গাড়ী মূল্য অনুমান-২৬,০০,০০০/- টাকা, বিভিন্ন কোম্পানীর মোবাইল ফোন ০৫টি মূল্য অনুমান ১৮,০০০/- টাকা এবং নগদ- ২,৫০,০০০/- টাকা ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় মোঃ এনায়েতুল (এনাতুল বেপারী) (৩৮) বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এসআই/স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার মামলা তদন্ত ভার গ্রহণ করেন। গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ডাকাতির মাত্র ০৩ (তিন) ঘন্টার মধ্যেই হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার (বর্তমানে অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রেজাউল হক খান এর দিক নির্দেশনায় অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন এর নেতৃত্বে এসআই/স্বাধীন চন্দ্র তালুকদার, এসআই/পিযুষ কান্তি দেবনাথ ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ইং ০১/১০/২০২৪খ্রিঃ তারিখ রাত ১১.৩৫ ঘটিকার সময় উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নস্থ টোলপ্লাজার সামনে গোপলা বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত চক্রোর ০৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত সদস্যরা হলো, মৌলভী বাজার উপজেলার শেরপুর ব্রাহ্মনগ্রামের মৃত আজমান আলীর পুত্র মোঃ সৈয়দুর রহমান (৩০), ওসমানীনগর উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের জফির মিয়ার পুত্র সামসুদ্দিন( ২৯), নবীগঞ্জ উপজেলার পারকুল (বনগাঁও) গ্রামের নুরুল মিয়ার পুত্র উজ্জল হোসেন( ২১), একি গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের পুত্র রেফু মিয়া (২৪)। ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি নোহা গাড়ীসহ মোঃ এনায়েতুল( এনাতুল বেপারী) ডাকাতি হওয়া বিভিন্ন রংয়ের ৩৯ টি ডেকা বাছুর ও একটি ট্রাক গাড়ী, বিভিন্ন কোম্পানীর মোবাইল ফোন
০৫টি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের হবিগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে নবীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীরা সকলেই ডাকাত চক্রের সদস্য। আসামীরা ডাকাতির ঘটনার কথা স্বীকার করেছে।
নবীগঞ্জে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চার মাসের শিশুর মরদেহ।মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের চরগাঁও গ্রাম থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
জানা যায়, ওই গ্রামের ওমান প্রবাসী আওলাদ হোসেনের স্ত্রী মিনারা আক্তার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে তার চার মাসের কন্যা শিশু মাহমুদা আক্তার মীমকে বিছানায় রেখে রান্না করার জন্য যান। রান্না শেষে এসে দেখেন বিছানায় মীম নেই। এর কিছুক্ষণ পর দেখতে পান বাড়ির পিছনে পুকুরে শিশুটির মরদেহ ভাসছে।
এসময় তার শোরচিৎকার শুণে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। পরে বিষয়টি অবগত করা হয় নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে। পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এদিকে, চার মাসের ঘুমন্ত শিশু মীম কিভাবে পুকুরে গেল বা কেউ তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে কি-না তা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। চলছে নানান আলোচনা ও সমালোচনা। অনেকেই নির্মম এই ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার দাবী করছেন।
নিহত শিশুর মা মিনারা আক্তার জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি বাচ্চাকে বিছানায় রেখে রান্না করতে যান। রান্না শেষে এসে ফিরে দেখন তার বাচ্চা বিছানায় নেই। পরে বাড়ির পিচনে পুকুরে মরদেহ ভাসতে দেখেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সফি মিয়া বলেন, ‘মীম আক্তার চার মাসের শিশু। সে বিছানা থেকে নিচে পড়তে পারে। কিন্তু পুকুরে কিভাবে গেল বিষয়টি সন্দেহজনক।’
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেণ, ‘চরগাঁও গ্রামে চার মাসের একটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে পুকুরের পানি থেকে। বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। তদন্তের পর বিস্তারিত ঘটনা সম্পর্কে জানা যাবে।’