সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছে বলেই নির্বাচনে এসেছি বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচন করবে দলীয় প্রতীকে, এককভাবে। আমরা চাই নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ। গত কয়েক বছরের স্থানীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না। নির্বাচন কমিশন আশ্বাস দিয়েছে নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর হবে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সরকারও আশ্বস্ত করেছে ভালো পরিবেশ হবে।
মঙ্গলবার বনানীস্থ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন। এসময় চুন্নু আরও বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি বোঝা যাবে প্রতীক বরাদ্দের পর। জাতীয় পার্টির এখন পর্যন্ত নয় জনের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে। ২৭২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ আছে। বাতিল হওয়া নয়জন আপিল করবেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে এন্টি আওয়ামী লীগের ভোট ডাবল।
ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে পারলে, ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে আমরা আওয়ামী লীগের থেকে বেশি ভোট পাবো।
লন্ডনঃ নিজের শেকড়কে ভূলে গেলে চলবেনা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যাতে শেকড় থেকে বিচ্যুত নাহয় সেদিকে খেয়াল রাখতে প্রবাসীদের প্রতি আহবান জানালেন মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী। তিনি বলেন আমারা যেখানেই থাকিনা কেন আমাদের অবশ্যই শেকড়ের সন্ধান করতে হবে। ব্রিটনে বসবারত ব্রিটিশ বাংলাদেশী নবপ্রজন্মকে দেশের সাথে সম্পর্ক রাখতে তিনি অভিবাবকদের সচেতন হওয়ার আহবান জানান। গতকাল ২৩শে নভেম্বর বৃহস্প্রতিবার রাতে ইষ্টলন্ডনের একটি রেষ্টুরেন্টে নবীগঞ্জ উপজেলা ওয়েলফেয়ার অর্গেনাইজেশন ইউকে আয়োজিত সম্বর্ধনা সভায় লন্ডন সফররত নবীগঞ্জ পৌর মেয়র সাবির আহমদ চৌধুরী বলেন নবীগঞ্জ পৌরসভাকে একটি মডেল পৌর শহরে রূপান্তরিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন শত বছরের পৌর শহর গুলোর তুলনায় নবগঠিত নবীগঞ্জ পৌরসভা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। তিনি বলেন এই পৌরএলাকার অভ্যন্তরে সরকারী কোন জমি না থাকলেও তার প্রচেষ্টায় প্রায় দুই একর ভূমি ক্রয় করে ডাম্পিং ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, বিশেষ করে জানজট সমস্যার সমাধান কল্পে নবীগঞ্জ-শেরপুর রোডকে প্রসস্থ করা সহ ডেনেজে ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন আর শহর বাসীকে জলাবদ্ধতায় ভোগতে হবেনা। পৌর শহরে একটি গোরস্থানেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন মেয়র হিসেবে তিনি যে সম্মানী ভাতা পান তা নিজে খরচ না করে আর্থ মানবতার সেবায় ব্যয় করেন। এছাড়া সরকারী তহবিল থেকে কোন ধরেনের খরছও তিনি নেননি। আর একারণেই দলমত নির্বিশেষে মানুষ তাকে নির্বাচিত করে তাদের সেবা করার সুযোগ দিচ্ছে। তিনি বলেন আপনাদের দোয়া থাকলে আমি এভাবে নিজকে মানব সেবায় বিলিয়ে দিতে চাই। সংগঠনের সভাপতি আব্দুল হালিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী আবু তালিম চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সম্বর্ধনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন সফররত সিলেট জেলা বারের সদস্য অ্যডভোকেট জোৎস্না ইসলাম, ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রেসিডেণ্ট সাংবাদিক মতিয়ার চৌধুরী, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের প্রেসিডেণ্ট ব্যারিষ্টার আতাউর রহমান, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্পিকার কাউন্সিলার জাহেদ চৌধুরী, স্বাগত বক্তব্য রাখেন এডভাইজার শামীম চৌধুরী, সম্বর্ধিত অতিথিকে স্বাগত জানিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন সলিসিটর সৈয়দা নাসিমা বেগম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট কামরুল হাসান চৌধুরী, ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহিবুর রহমান, ফারসু মিয়া, বাবুল আহমদ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মোহিত, লোকমান হোসেন, জসিম উদ্দিন, মিনাল আহমদ চৌধুরী, সুমন আহমেদ প্রমুখ। অতিথিকে ফুল দিয়ে বরন করেন সলিসিটর সৈয়দা নাসিমা বেগম ও গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের সুফি সুহেল আহমদ ও অন্যান্যরা। (মতিয়ার চৌধুরী-লন্ডন ২৪নভেম্বর ২০২৩।)
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে, তা সময়মতোই হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সদ্যঃসমাপ্ত বেলজিয়াম সফর নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন কেউ ঠেকাতে পারবে না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচন হবে এবং সময়মতোই হবে। কেউ নির্বাচন থামাতে পারবে না, আগেও পারেনি, এবারও পারবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসী। বিএনপি সন্ত্রাসী দল, সেটা তারা আবার প্রমাণ করেছে। সন্ত্রাসীদের কিভাবে শিক্ষা দিতে হয়, সেভাবে দিতে হবে।
সাংবাদিকদের প্রতি বিএনপি-জামায়াতের হামলার প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ২৮ তারিখে ৪০-৪৫ জন সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা হলো।
রিপোর্টারস উইথআউট বর্ডার, এদের কাছ থেকে আপনারা কি কোনো সিমপ্যাথি পেয়েছেন? তাদের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পেয়েছেন? আজকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো চুপ কেন? তাদের কাছ থেকে প্রতিবাদ শুনি না কেন? তাদের কাছ থেকে কথা শুনি না কেন? আপনারা সেটি জিজ্ঞেস করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি পুলিশ মারল। বাসে আগুন দিল। যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, আজকে তাদের সেই ভাণ্ডার বন্ধ কেন? তারা চুপ কেন?
সাংবাদিকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘মাঝখানে কিছুদিন বিএনপি রাজনৈতিকভাবে কর্মসূচি করছিল এবং আপনারা নিশ্চয়ই বিশেষভাবে লক্ষ করেছিলেন আমাদের সরকার কিন্তু তাদের কোনো বাধা দেয়নি।
তাদের ওপর একটা শর্ত ছিল, তারা অগ্নিসংযোগ বা ভাঙচুর করবে না।’
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) যখন সুষ্ঠুভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছিল তাতে কিন্তু মানুষের একটু আস্থা-বিশ্বাসও তারা ধীরে ধীরে অর্জন করতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২৮ তারিখ বিএনপি যেসব ঘটনা ঘটাল, বিশেষ করে যেভাবে পুলিশকে হত্যা করেছে, মাটিতে ফেলে যেভাবে কোপাল, সাংবাদিকদের যেভাবে পেটাল, এ ঘটনার পর জনগণের ধিক্কার ছাড়া বিএনপির কিছুই জুটবে না।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিমের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১২.৫% প্রবাসীর দেশে নির্বাচনে সেন্টারে সেন্টারে ১০০% ভোট কাস্ট হয়ে যাওয়া নিশ্চিত ভাবে প্রমাণিত করে ব্যালট বাক্সে অবৈধ ভোটের উপস্তিতি ঘটেছে । ২০১৮ সালের নির্বাচনে ২১৩ টি সেন্টারে ১০০ % ভোট কাস্ট হয়েছে ! নির্বাচনে কি পরিমান অবৈধ ব্যালট কাস্ট হয়েছে তার একটি সাধারণ ধারণা পাওয়ার জন্য ১০০ % ভোট কাস্ট হওয়া যে কোন একটি সেন্টারের ভোটের ডাটা বিশ্লেষণ করা দরকার .
১০০ % ভোট কাস্ট হওয়া কুমিল্লা-১০ আসনের ৩৬ নং সেন্টারের ভোটের ডাটা বিশ্লেষণে করে যা দেখতে পাওয়া যায় :
২০১৮ সালের নির্বাচনের জরুরী কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো। নির্বাচনে কোন পোস্টাল ব্যালটে ভোট নেওয়া হয়নি তাই কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েই সবাইকে ভোট দিতে হয়েছে ! নির্বাচনে রেজিস্টার্ড ভোটার : ১০৪১৫০০০০ জন . পোস্টাল ব্যালটে ভোট না নেয়ার কারনে যারা ভোট দিতে পারেনি প্রবাসী ভোটার : ১কোটি ২৫ লক্ষ : ভোটের: ১২.৫% নির্বাচনি কর্মকর্তা-কর্মচারি : ১৫ লক্ষ অসুস্ত , মৃত , জেলে থাকা, হাসপাতালে থাকা , ঠিকানা থেকে দূরে থাকা ব্যক্তি সব মিলিয়ে ২০% মানুষের নির্বাচনে উপস্থিত হয়ে ভোট দেওয়ার উপায় ছিলোনা।
বিএনপির প্রার্থীর শূন্য ভোট সম্পর্কে আওয়মীলীগের বক্তব্য :
A) শেখ হাসিনার মতে বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্য করে অপরিচিত প্রার্থী দেওয়ার কারনে তারা কোন ভোট পায়নি ! B) আর, মোহাম্মদ আরাফাত হুসেনের মতে বিএনপি শূন্য ভোট পাওয়ার মত দল নয়, তবে নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা কোন ধরণের প্রচার প্রচারণা চালায়নি বলে তাদের ভোটাররা নির্বাচনে ভোট দিতে আসেনি ? C) আর সাবেক সচিব আবু আলা মোহাম্মদ শহীদ খান আর সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ মনে করেন বিএনপি এখনো ২০ % থেকে ২৫% ভোট হল্ড করে .
A). দেখা যাক , বিএনপির শূন্য ভোট পাওয়ার পিছনে শেখ হাসিনার দাবির যৌক্তিকতা কতটুকু ? মোঃ মনিরুল হক চৌধুরীর কি বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্যে নমিনেশন পাওয়া একজন অযোগ্য ,অপরিচিত বা ভুইফোড় প্রার্থী? মোঃ মনিরুল হক চৌধুরীর কোন অযোগ্য ,অপরিচিত বা ভুইফোড় প্রার্থী নন, তার আছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন. তিনি আওয়মীছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন. দুবারের এমপি এবং খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা . অতএব শেখ হাসিনার দাবি অযৌক্তিক।
B) এখন দেখা যাক , বিএনপির শূন্য ভোট পাওয়ার পিছনে এম.আরাফাত হুসেনের দাবির যৌক্তিকতা কতটুকু ? মোঃ মনিরুল হক চৌধুরীর নির্বাচনের কয়েকদিন পূর্ব থেকেই কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ ছিলেন, তার পক্ষে নির্বাচনের মাঠে প্রচার প্রচারণা চালানো সম্ভব পর হয়নি। সময়ে অসময়ে পুলিশি ধর পাকড়ের কারনে অন্য নেতা কর্মীদেরও তার পক্ষে প্রচার প্রচারনা চালানো সম্ভবপর হয়নি। “প্রচার প্রচারণা না থাকার কারনে বিএনপির ভোটাররা নির্বাচনের দিন ভোট দিতে কেন্দ্রে যাননি ” আরাফাত হুসেনের এই দাবির পক্ষে মোটামোটি যৌক্তিকতা খোঁজে পাওয়া যায়।
C) বিএনপির ২০% ব্যালট গেলো কোথায় ? আবু আলা মোহাম্মদ শহীদ খান, শাহনেওয়াজ চৌধুরীর কথা মত বিএনপি এখনো ২০%-২৫% ভোট হোল্ড করে তাই নির্বাচনী কর্মকর্তা আর পুলিশ দায়িত্বে ৩৩৫১ এর ২০% মিনিমাম ৬৭০ টি ভোট না দেয়া ব্যালট থাকার কথা।
শুধু কি তাই , ১২.৫% প্রবাসী, নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মচারী -কর্মকর্তা, পুলিশ, অসুস্ত , মৃত , জেলে থাকা, হাসপাতালে থাকা , ঠিকানা থেকে দূরে থাকা ব্যক্তি সব মিলিয়ে ২০% মানুষের নির্বাচনে উপস্থিত হয়ে ভোট দেওয়ার উপায় ছিলোনা বলে ৩৩৫১ এর আরো ২০% ৬৭০ টি - ভোট না দেয়া ব্যালট নির্বাচনী কর্মকর্তা আর পুলিশ দায়িত্বে থাকার কথা।
পোস্টাল ব্যালটে ভোটের ব্যবস্তা না থাকা আর বিএনপির কর্মী সমর্থদের কেন্দ্রে উপস্থিত না হওয়ার কারনে কেন্দ্রের মোট ভোটারের চেয়ে কম করে হলেও ১৩৭০ টি ভোট কম কাস্ট হওয়ার কথা। এই ব্যালট গুলো পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তা কর্মচারীদের অধীনে সেইফরুমে থাকার কথা।
যে ব্যালট গুলো পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তাদের অধীনে সেইফরুমে থাকার কথা, সেই ব্যালটগুলো ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় সিল মেরে ব্যালট বাক্সে রেখে দেওয়া হয়েছে! আমানতের খেয়ানতের জন্য পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দোষী স্বাব্যস্ত করার এর চেয়ে বড় আর কোন প্রমানের কি প্রয়োজ আছে?
ব্যাংক ভোল্টের টাকা গায়েব হলে যেমন ব্যাংকের স্টাফদের কোমরে ধরি বেঁধে থানায় চালান দেয়া হয় ঠিক তেমনি সেইফরুমের ব্যাল্টগুলো যাদের কারসাজিতে পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তারা নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে দিয়েছে তাদেরও কঠিন শাস্তির মুখাপেক্ষী করা দরকার। পুলিশ আর নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দ্বারা ব্যালট সংগ্রহ করে কোন সভ্যদেশে কেউ কোন দিন নির্বচিত হতে পারেনি। আমেরিকার ২০২০ নির্বাচনে ভার্জিনিয়া স্টেটে ঠিক এমনি একটি ঘটনা ঘটাতে চেয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প সেদিন। তাই আজ তিনি আদালতে কঠিন শাস্তির মুখাপেক্ষী । কিন্তু শেখ হাসিনা ২০১৮ এর নির্বাচনে সেন্টারে সেন্টারে নৌকা মার্কায় অজস্র অবৈধ ভোট কালেকশন করিয়েও আদালতে কোন ধরনের শাস্তির মুখাপেক্ষী হচ্ছেন না কেন?
## এটা কি সভ্য সমাজ আর অসভ্য সমাজের পার্থক্য ? আমেরিকার নির্বাচনে ভার্জিনিয়া সেক্রেটারি অব স্টেটকে ১১৭৮০টি ভোট খোঁজে দেওয়ার কথা বলায় ডোনাল্ড ট্রাম্প অর্গানাইজড ক্রাইম ( রিকো বা মাফিয়া ) আইনে দোষী হিসাবে বিচারের কাঠগড়ায় যে সময় উঠা নামা করতেছেন ঠিক সেসময় বাংলাদেশের নির্বাচনে শেখ হাসিনা তার সাঙ্গ পাঙ্গ দিয়ে কোটি কোটি অবৈধ ভোট কাস্ট করিয়ে শুধু প্রধান মন্ত্রী হয়েই ক্ষান্ত দেননি , নিজের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্টিত করতেও সংবিধানের দোহাই দিয়ে লাফালাফি করছেন! আমেরিকার সংবিধান ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপরাধ না করেই শুধু অপরাধ করার ইনটেনশন ছিল এই কারনে মাফিয়া আইনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে আর বাংলাদেশের সংবিধান- শেখ হাসিনাকে অপরাধ করার পরও শাস্তির বদলে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পুরুস্কৃত করেছে এমন কি শেয়ালের হাতে মুরগি বর্গা দেওয়ার মত আবারো তার হাতে বাংলাদেশের নির্বাচন অনুষ্টিত করার গুরু দায়িত্ব তুলে দিতে যাচ্ছে ! বাংলাদেশের সংবিধান আর আমেরিকার সংবিধানের মধ্যে এতো পার্থক্য কেন ? এক সংবিধান অপরাধীকে শাস্তি দেয় আর অপরটি অপরাধীকে পুরুস্কৃত করে? সংবিধানিক আইনের এ পার্থক্যটাকে কি সমাজের সভ্যতা নিরুপনের ব্যারোমিটার : সভ্য সমাজ আর অসভ্য সমাজের পার্থক্য বুঝার উপায় ! সভ্য সমাজে অপরাধী শাস্তি পায় আর অসভ্য সমাজে অপরাধী পুরুস্কৃত হয় .
আর ,প্রধানমন্ত্রীহলফকরেবলেছেনতিনিজনগনেরভোটাধিকারফিরিয়েএনেছেন, তারমতএকজনতাহাজ্জুদগোজারীআল্লামারবিরুদ্ধ্যেভোটাধিকারহরনেরমতমানবতাবিরুধীঅপরাধেরঅপবাদকোনক্রমেইগ্রহণযোগ্যনয় . তাই
“যারা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য , ই.ইউ কিংবা জাতিসংঘে বাংলাদেশের নির্বাচন আর মানবাধিকার লঙ্গনের অভিযোগ তুলে ধরেছেন তারা বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপের অমন্ত্রন জানিয়ে দেশদ্রোহীতা নামক ভয়ানক অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন!“ তাদের মুখোশ উন্মচনে আওয়ামী নেতাদের থেকেএগিয়ে জাতির বিবেক বিশেষ করে টেলিভিশন চ্যানেলে টকশো করা সাংবাদিকেরা !
ভোটাধিকার আর মানবাধিকারএকটি আরেকটির পরিপূরক। কোথাও জনগণের ভোটাধিকার খর্বহলে সেখানেমানবাধিকার ও ভুলুন্টিত হয়, তার জন্য আর বাড়তি কোন প্রমানের দরকার পড়েনা।
ভোটাধিকার কিংবাবেঁচে থাকার অধিকার: এই ইউনিভার্সাল অধিকারগুলোকখনও কোন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন বিষয় হতে পারেনা যতক্ষণ পর্যন্ত না আদালতকারো ভোটাধিকার কেড়ে নেয় কিংবামৃত্যুদন্ড দেয়।সন্তান হত্যার দায় যেমন কোন পিতা পারিবারিক মেটার বলে এড়িয়ে যেতে পারেননাতেমনি কোন অত্যাচারী শাসক জনগণের ভোটাধিকার কিংবাবেঁচে থাকারমৌলিক অধিকারকেদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে খর্ব করে দিতে পারেনা। এসব টাইরানদের কবল থেকে জগনকে রক্ষা করা জাতিসংঘ কিংবা বিশ্বের অন্যান্য মানবতাকামী দেশের দায়িত্বের মধ্যে পরে।
এই সরকারের হাতেবাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার খর্ব হলে কিংবাঅন্যন্য মৌলিক অধিকার ভুলুন্টিত হলে জাতি সংঘ কিংবা অন্যন্য মানবতাবাদী রাষ্ট্রে সাহায্য কামনা করাটাবৈধ কাঠামোর মধ্যে পড়ে। যুগে যুগে হিটলার - এহিয়া খানের মতমানবতা বিরুধী টাইরানরা এসব মুক্তিকামী মানুষকে দেশদ্রোহী হিসাবে আখ্যায়িত করে লাশের বন্যায় বিশ্বকে ভাসিয়ে দিয়েছে।
ইতিহাস বলে কোথাও কোন টাইরাননিজ থেকেসরে যায়না : মিত্র বাহিনীর আক্রমনে হিটলার বিচারের মুখোমুখি না হতেআত্মহত্যা করে আর এহিয়া খানের নাকের ডগায় পশ্চম পাকিস্তানের বুক ছিঁড়ে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ।
আওয়ামীলীগ কেন শেখ হাসিনার অধীনেনির্বাচনেমরিয়া সেটি আরো ভালো ভাবে বুঝতে হলে আমাদেরকে বিগত ২০১৮এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে থাকাতেহবে।সেইনির্বাচনে, আওয়ামীলীগজোট২৯৯ আসনের মধ্যে ৭টিবাদে সবকটি আসনেই জয় লাভ করেছিল।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেনির্বাচনের সমস্তডাটাআছে , সেইডাটা ডাউনলোড করেএনালাইসিস করলে বুঝা যাবে বিগত নির্বাচনটিকেমন হয়েছিল, নির্বাচনের দিন জনগণ কি তাদেরভোটাধিকারপ্রয়োগ করতে পেরেছিলো? নাকিনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার নামেপ্রহসন হয়েছিল?
নির্বাচনে ১০৫২ টি কেন্দ্রেসরকার বিরুধী বিএনপি জোটের শূন্য ভোট ?২০১৮ সালের নির্বাচনের আরেক বিস্ময়কর দিক হলো১০৫২ টি কেন্দ্রেসরকার বিরুধী বিএনপি জোটের শূন্য ভোটপাওয়া !অন্যান্য প্রার্থীর কপালেও জোটে শূন্য ভোট .১০৫২ টি সেন্টারে সরকার বিরুধী জোট ( বিএনপি )শূন্য ভোট পাওয়ারমানে ঐ সব সেন্টারের ২.৫ মিলিয়নস ভোটারের মধ্যে বিরুধী জোটের একজন কর্মী তো দূরের কথা একজন সাধারণ ভোটারওপাওয়া যায়নি যে বিরুধী দলকে সাপোর্ট করে ? এমন একজন মানুষ ও কি নাই যে সরকারেরকর্মকান্ডে বিরক্ত বা বিক্ষুব্দ হয়েছে ?
তাহলে কি আমাদেরকে ধরে নিতে হবেকাতার , কুয়েত , বাহরাইন , আবুধাবি , আইসল্যান্ড , মালটা , লাটভিয়ার মত একটিদেশের কোন বিরুধী দলও নাই?
##### বি.এন.পি. যেসবকেন্দ্রেশূন্যভোটপেয়েছেসেসবকেন্দ্রে প্রকৃত পক্ষে বি.এন.পিরকোনভোটআছেকিনাতার অনুসন্ধান :
সংসদীয় আসন নং ২৭৫., লক্ষীপুর-২, এইআসনের ৫টি সেন্টারে স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ আলমপাপুলের ১১,০০১(এগার হাজার এক ) ভোটের বিপরীতে বিএনপির দুই টার্মের নির্বাচিতসাংসদ আবুল খায়ের ভূঁইয়া পেয়েছেন ০ (শূন্য ) ভোট.
অথচ লক্ষীপুর-২ খালেদা জিয়ার বাবার বাড়িরসিট , এই সিট থেকে তিনি ৫ বার নির্বাচিত হয়েছেন।। ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনেবি.এন.পির প্রার্থী এই আসন থেকেভোটে নির্বাচিত হয়ে আসছিলেন।
২০০১ এর নির্বাচনে ১,২৩,৫২৬ আর ২০০৮ এর নির্বাচনে১,২৯,৯৯৫।এই ধারা অনুসরণ করে গ্রাফটাকে এক্সটেন্ড করলে বিএনপি ২০১৮ এর নির্বাচনেআরো ৬ হাজার বেড়ে পাওয়ার কথা১,৩৫,০০০।
১,২৩,৫২৬->১,২৯,৯৯৫ ->১৩৫,০০০
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ১,৩৫,০০ পরিবর্তে পেয়েছে মাত্র 28,065 ভোট।
নির্বাচনের সাল :২০১৮
প্রার্থী
ভোট
আবুল খায়ের ভূঁইয়া (বি.এন.পি)
28,065
শহীদ.আলম.পাপুল (স্বতন্ত্র)
2,56,644
ব্যবধান —————>
-2,28,579
২০১৮ সালের নির্বাচনের পর এই আসনের নির্বাচনী গ্রাফটা দাঁড়িয়েছে ! .
২০০১ সালের নির্বাচনেবি.এন.পি পেয়েছিল১,২৩,৫২৬ আর ২০০৮ সালের নির্বাচনে পেয়েছিল১,২৯,৯৯৫আর২০১৮ সালের নির্বাচনেশুধু ২৮ হাজার।
১,২৩,৫২৬->১,২৯,৯৯৫ ->28,০০০
অথচ, এইআবুল খায়ের ভূঁইয়াইএই সিটে ২০০৮ সালের নির্বাচনেআওয়ামীলীগের প্রাক্তন এম.পি হারুনুর রশিদকে ৭৮৫৪৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন।
নির্বাচনের সাল :২০০৮
প্রার্থী
ভোট
আবুল খায়ের ভূঁইয়া (বি.এন.পি)
129,995
হারুনুর রশিদ (AwamiLeague)
51,732
ব্যবধান —————>
৭৮,৫৪৫
২০১৮ সালের নির্বাচন সম্পর্কে প্রাক্তনভি.সি. ড: আনোয়ার হুসেনেবলেন" ১৯৭০এরগণজোয়ারের মত এটি একটি গণজোয়ার।"
১৯৭০সালেরনির্বাচনে বঙ্গবন্ধু ৫ টি সেন্টারে অপজিশন প্রার্থীর ০ ভোটেরবিপরীতে ১১০১৫ ভোট পাওয়াতো দূরের কথা একটি সেন্টারেও শতভাগ ভোট পাননি ! কোন দলীয়পরিচয় ছাড়া শুধু নিজ পরিচয়ে সেন্টারে সেন্টারে এতো ভোট পাওয়া কি প্রমান করেনা শহীদ আলম পাপুলের জনপ্রিয়তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরকে অতিক্রম করে ফেলেছেন !!
বাস্তবে কি এটি সম্ভব ??
আসুন শহীদ আলম পাপুল সম্পর্কে দৈনিক দেশ রূপান্তর (সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩) বক্তব্য :“ধূমকেতুর মতো উত্থান!” | “বেশকয়েকবছরআগেঅত্যন্তসাধারণওকৃষকপরিবারেরসন্তানপাপুলমধ্যপ্রাচ্যেরদেশকুয়েতেপাড়িজমানজীবিকারসন্ধানে।” একসময়কুয়েতেমানুষপাঠানোরনামেপ্রতারনারমাধ্যমেহাতিয়েনেনকোটিকোটিটাকা । মানুষের পাসপোর্ট আটকিয়ে টাকা আদায়, অবৈধ মানি লন্ডারিং,আদম পাচারসহ অন্যান্য নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দন্ডিত হয়েবর্তমানে কুয়েতেরজেলে . ২০১৮ সালেরনির্বাচনের পূর্ব লক্ষীপুরেতার কোন পরিচিতিছিলোনা , ছিলোনা তার কোনপারিবারিক প্রভাব প্রতিপত্তি , না ছিলো তার কোনদলীয় পরিচয় !
তার পক্ষে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তাকে অতিক্রম করা পুরোপুরি অসম্ভব আর অকল্পনীয় !পাপুল নিজ পরিচয়ে যদি বঙ্গবন্ধুকে অতিক্রম করতে না পারেন তাহলে তার পক্ষেবিএনপির দুই টার্মের নির্বাচিতসাংসদআবুল খায়ের ভূঁইয়াকে২,২৮,৫৭৯ভোটের ব্যবধানে হারানো আরতার জামানত বাজেয়াপ্তকরানো তার পক্ষেকোন ক্রমেই সম্ভব নয় , এই অকল্পনীয়আরবাস্তবতাহীনডাটা কোন ক্রমেই নির্বাচনী ডাটার অংশ হতে পারেনা !
————————————————————————
শহীদ ইসলাম পপুল১৭,১৮,৬৮,৮০,১১০নং সেন্টারেরমোট ভোট: ১১০১৬ এর মধ্যে ১১০০১ পেয়ে বিশ্বের বুকে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, যা মোট ভোটের৯৯.৮৬% |
লক্ষীপুর -২ আসনে ৩৭ বছরের প্রতিষ্টিত ইতিহাস ভেঙে দিয়েছেন.
কেন্দ্র নং
মোটভোটকাস্ট
মোট বৈধ ভোট
শহীদ.আলম.পাপুল (স্বতন্ত্র)
আবুল খায়ের ভূঁইয়া(BNP)
৫জন স্বতন্ত্র প্রার্থীরভোট
মোট নষ্ট ভোট
শতকরা হার
17,18,68,80,110
11050
11016
11001
0
15
34
71%-98%
এই ৫ টি কেন্দ্রে নরমাল ভোট হলে সর্বচ্চো কতটি ভোট পাপুল পেতেপারেএ বিষয়ে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আবু আলা মোহাম্মদ শহীদ খানের হিসাবেমতে ,
ঢাকা-৬ ও ঢাকা-১৩—এ দুটি আসনে ইভিএমেমাধ্যমে ভোটার অথেনটিকেশন করেভোট নেওয়া হয়েছিল। যারএকটিতেভোট পড়েছে৪৪.৮৫% আর আরেকটিতে পড়েছে৪২.৬৭% , যার গড়ে ৪৩%।নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আবু আলা মোহাম্মদ শহীদ খানের দেয়া হিসাবেরসাথে এ দুটি সেন্টারেরনির্বাচনী ফলাফল মিলে যাওয়ায় এ দুটি সেন্টারকে নরমাল ভোট কাস্টিংয়ের বেসধরেহিসাব করে বের করতে পারি অন্য৫টি সেন্টারের নরমালভোটেরপরিমান।
আসন# : 186, "ঢাকা-৬ ",
"আওয়ামী প্রার্থীর ভোট ": 103163,
"আওয়ামী প্রার্থীরসর্বচ্চো ": 1724,
"আওয়ামী প্রার্থীর সর্বনিম্ন ": 341,
"বিএনপি প্রার্থীর ভোট": 47215,
"বিএনপি প্রার্থীরসর্বচ্চো": 803,
"বিএনপি প্রার্থীর সর্বনিম্ন": 137,
" কেন্দ্রে গড় ভোট পড়েছে ": 42.67
আসন#: 179,” ঢাকা-১৩"
"আওয়ামী প্রার্থীর ভোট ": 120989,
"আওয়ামী প্রার্থীরসর্বচ্চো ": 2443,
"আওয়ামী প্রার্থীর সর্বনিম্ন ": 257,
"বিএনপি প্রার্থীর ভোট": 23266,
"বিএনপি প্রার্থীরসর্বচ্চো": 602,
"বিএনপি প্রার্থীর সর্বনিম্ন": 46,
" কেন্দ্রে গড় ভোট পড়েছে ": 44.86
২০১৮সালেরনির্বাচনের পর কোথাও ৫০% এর উপরেভোট কাস্ট হয়নি। আমরা ৪৩%কে নরমাল না ধরে ৫০% কেইনরমাল ধরে হিসাব করি ।
যে সেন্টারগুলোতে বিএনপি শূন্য ভোট পেয়েছেসেই সেন্টারগুলোলোতেসর্বচ্চো বৈধ ভোট কাস্টহতে পারে ৫৫% !
যতগুলো সেন্টারে ৫৫ % এর বেশি ভোট কাস্ট হয়েছে ,আর বিএনপি শূন্য ভোট পেয়েছে,সেই সব সেন্টারের ৫৫ %এর অতিরিক্ত ভোটগুলোঅবৈধ (৫৬ % - ১০০%) .
শহীদ ইসলাম পপুল১৭,১৮,৬৮,৮০,১১০নং সেন্টারেরমোট ভোট: ১১০১৬ এর মধ্যে ১১০০১ পেয়েছেন, যা মোট ভোটের৯৯.৮৬% |১১০১৬ এর ৪৫% = ৪৯৫৭টি ভোট অবৈধ।
শেখ হাসিনারদাবি তিনিএকটি অবাধ, সুষ্ঠু , জালভোট মুক্ত,শান্তিপূর্ণনির্বাচন উপহার দিয়েছেন। তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন, তার করা নির্বাচনে কেউকেন্দ্র দখল করে ভোট স্টাফিং করেনি ,কোন কেন্দ্রে জালভোটওহয়নি !
তার প্রশ্ন , নির্বাচনের কোথাও যদি কোন অনিয়ম হতো তাহলেপ্রমান হিসাবে যে কেউযে কোন কিছুর ভিডিও কিংবা অডিও নিয়ে হাজির হতো , যা আজ পর্যন্তওহয়নি , তাতে কি প্রমাণিত হয় না যে ২০১৮ সালের নির্বাচনের কোথাও কোনঅনিয়ম ঘটেনি?
তৎকালীন বাংলাদেশেরসেনাবাহিনী প্রধান আজিজ আহমদেরভাষায় তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সব চেয়ে সুষ্ঠু এবংশান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচনউ পহার দিয়েছেন।
১০০ % ভোট কাস্ট হওয়া ২১৩ টি সেন্টারের ৫.৫ লাখের২০% হিসাব করলে ১,১০,০০০ টি এবসেনটি ব্যালটে ভোটের কোন বৈধতানা থাকার কারনে এই ভোটগুলোঅবৈধ.
এমন কি লক্ষীপুর -২ আসনের ১৭,১৮,৬৮,৮০,১১০নং সেন্টারে ৪৯৫৭টিঅবৈধ ভোট বাক্সেঢুকানো হয়েছে!।
সেন্টারের সেন্টারে এতগুলো অবৈধ ভোট ব্যালটবাক্সে কে, কিভাবে, কখন ঢুকিয়েছিল তা জানতে হলে বিবিসির ওয়েব সাইটে বাংলাদেশের নির্বানের উপর করা সংবাদ গুলোর দিকে চোখ বুলানো দরকার :
---------------
বিবিসির নিউজজানায়নির্বাচন শুরুর পূর্বেই"শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে " নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দেখা যায় ব্যালটে ভরা বাক্সগুলোকে বুথে বয়ে নিয়ে যেতে. নির্বাচনের পূর্বে ব্যালট বাক্সেব্যালট কিভাবে ঢুকলো এই প্রশ্নের কোনউত্তরনা দিয়েপ্রিসাইডিং
অফিসারসাংবাদিককে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন "নির্বাচনী আইনে সাংবাদিককে কেন্দ্রে ঢুকা নিষেধ" নির্বাচনীআইনের
দোহাই দিয়ে ! অথচ সরকারি দলের নেতাকর্মীরা ভিতরে বসে আছে এদিকে খেয়াল নাই .
নির্বাচন কমিশনার নতুনআইন করেছেন যাতে হুট করে সাংবাদিকেরা কেন্দ্রেঢুকে বিব্রতকর পরিস্তিতির সৃষ্টি করতে না পারে. কেন্দ্রে ঢুকার আগে প্রতিটি সাংবাদিককে প্রিসাইডিং অফিসারের পারমিশন নিতে হবে . বিবিসিসাংবাদিকযদি
পুলিশ আর আওয়ামীলীগ নেতাদের অমনোযোগিতার সুযোগে বিবিসি সাংবাদিকেরহুটকরেবেআইনিভাবে
কেন্দ্রে ঢুকেবাংলাদেশের ২০১৮ সালেরজাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে নতুন ধারায় ইলেকশনইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সূচনা হয়েছেতা জনসম্মুখেবের করে দেন .
কেউস্বীকারকরুক আর না করুকপ্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা অতীব স্মার্ট ব্যক্তি তার হাত ধরে নির্বাচনে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নতুনমাত্রা " নির্বাচন শুরুর পূর্বেই ব্যালট বক্স পূর্ণ করা" যুক্ত হয়েছে . তিনিই আইন করে সাংবাদিকদের ইলেকশনে এক্টিভিটি রেকর্ড কিংবা অবলোকন করা থেকে দূরে রেখেছেন যাতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কারো ক্যামেরায় ধরা না পড়ে !
শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহনের আগের দৃশ্য
নির্বাচনে কাস্ট হওয়া অবৈধ ভোটগুলোযদু মধু কর্তৃক কাস্ট হওয়া সামান্য জাল ভোট নয়, এগুলো হলো দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষকর্তৃক অধিকতর গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হওয়ার প্রমান বহন করে: ভোটেরবাক্সেঅবৈধ ব্যালট ঢুকানো, বিশ্বাস ভঙ্গ করা, আমানতের খিয়ানত করা।
সিল, ব্যালট আর ভোটেরবাক্সের গার্ডিয়ান হলো নির্বাচনী দায়িত্বে থাকাপুলিশ, নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারী।
শেখ হাসিনার দাবিকৃতনির্বাচনের দিন কোথাও জাল ভোট হয়নি ,হয়নি কেন্দ্র দখল করে ভোট স্টাফিং এর মত নির্বাচনী অনিয়ম।
এতো সুষ্ঠু সুন্দর সুশৃঙ্খল নির্বাচনের পর ব্যালট বাক্সে এতোঅবৈধ ভোটকি প্রমান করেনা যে " রক্ষকই আসল ভক্ষক !"
আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনেই হবে : ওবায়দুল কাদের। আওয়ামীলীগ চায় আগামীসংসদনির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে করতে
আর বিরুধী দল চায়তত্ত্বাবধায়ক সরকার কিংবা জাতিসংগের অধীনে।
প্রশ্ন জাগতে পারে, আওয়ামীলীগ অন্য কারো অধীনে নয় শুধু শেখ হাসিনার অধীনেইনির্বাচন করতেআগ্রহী কেনো?
তারঅধীনে নির্বাচন করলে তাদেরজন্যকি আলাদা কোন মিরাকলে বয়ে নিয়ে আসতে পারে ?
এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আমাদেরকে ২০১৮ সালের নির্বাচন এবং এর পরবর্তী প্রতিটি নির্বাচনের ডাটা ভালো ভাবে অবলোকন করতে হবে। ২০১৮সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরএপর্যন্ত যতগুলোনির্বাচন অনুষ্টিত হয়েছে , তাতে ২০%,২৫%,৩০% পার্সেন্টের মত ভোট কাস্ট হয়েছে !
কিছু দিন আগেগাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্টিত হয় . নির্বাচনটি আমাদের দেখা ইদানিং কালের সবচেয়ে প্রতিযোগিতাপূর্ণ নির্বাচন . সেইনির্বাচনে ভোট পড়েছেমাত্র ৪৮.২% আর
খোলনা এবং বরিশালসিটিকর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট পড়েছে যথাক্রমে ৪২% আর ৫০%!
বিএনপির মোশাররফ হুসেইনের এক প্রশ্নের জবাবে টকশোর হোস্ট , নাজনীন মুন্নির বলেন" কোথাও কোননির্বাচনে শত ভাগ ভোট কাস্ট হয়না"
নাজনীন মুন্নির কথা সত্য , কোথাও কোননির্বাচনে শত ভাগ ভোট কাস্ট হয়না আর বাংলাদেশের যেহেতু১ কোটি ২৫ লাখ(১০ কোটি ভোটারের ১২.৫%) লোক বিদেশে থাকে আরতাদের এবসেনটি ব্যালটে ভোট দানের কোনব্যবস্তা নাই তাই এখানে শত ভাগ ভোট কাস্টহওয়াটা পুরুপুরিঅসম্ভব!
আর এই অসভবকে সম্ভব করে তুলেছেন শেখ হাসিনা .
১) তার অধীনে অনুষ্টিত হওয়া নির্বাচনের ২১৩ টিসেন্টারে শতভাগ ভোট কাষ্ট হয়েছে !
২) ১০৫২ টি সেন্টারে অপজিশন বিএনপি জোটের প্রার্থীরাশূন্য ভোট পেয়েছেন . শুধু কি তাই -
৩) এসব সেন্টারে এক একজন প্রাথী একাই শত ভাগভোট পেয়ে গেছেন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭৭ টি সেন্টারে ১০০% ভোট পেয়েছেন !
নির্বাচনে সর্বচ্চোকতভাগ ভোট কাস্ট হতে পারে, এবং কে ভাগে কত পার্সেন্ট ভোট পেতে পারেন, তা বুঝতে হলে নির্বাচনের রাতে অনুষ্টিত হওয়ানবনীতা চৌধুরীর রাজকাহন অনুষ্টানটিদেখা দরকার !
নির্বাচনের দিন রাতে ভোট গণনা চলাকালেDBC চ্যানেলে নবনীতা চৌধুরীউপস্থিত হোনদুজন অথিতিনিয়ে,তাদের একজন সাবেক সচিব আবু আলম মোঃ শহীদ খান আর আরেকজন সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোঃ শাহনেওয়াজ।তারা হিসাব নিকাশ করে দেখান যে নির্বাচনে এবসেন্টি ব্যালটে ভোটদানের সিস্টেমনা থাকার কারনে২০%ভোটারনির্বাচনে কোন দিন ভোট দিতে পারবেনা, ।
যারমধ্যে ১ কোটি২৫ লক্ষ প্রবাসী ভোটার : সারা দেশের রেজিস্টার ভোটারের (১০%)আরোঅন্য১০% ভোটারযার মধ্যে আছেন১৫ লক্ষ নির্বাচনীকর্মকর্তা-কর্মচারী , মৃত , অসুস্ত , জেলে থাকা আর নির্বাচনের দিন এলাকার বাইরে অবস্থান করা ব্যক্তি। বিএনপির ভোট ৩০%-৩৫% থেকে কমলেওএখনও সেটি২৫%এর নিচে যায়নি।
চলুন এখন আমরা নবনীতা চৌধুরী , সাবেক সচিব আবু আলম মোঃ শহীদ খান আর সাবেক নির্বাচন কমিশনার মোঃ শাহনেওয়াজের কথার সূত্র ধরে শতভাগ ভোটকাস্ট হওয়া সেন্টারগুলোর মধ্যে একটি সেন্টারের হিসাব মিলাই .
স্ক্রিনে দেখতে পাচ্ছেন,২০১৮ সালেরনির্বাচনেকুমিল্লা ১০ আসনের ৩৬ নং কেন্দ্রেররিজাল্ট , সেই কেন্দ্রে ১০০% ভোট কাস্ট হয়,আর বিএনপির প্রার্থী মোঃমনিরুল হক চৌধুরী পেয়েছেন শূন্য ভোট!
শূন্য ভোট পাওয়া দেখে প্রশ্ন আসতে পারে, বিএনপির প্রার্থীমোঃমনিরুল হক চৌধুরীকি কোন অপরিচিত অখ্যাত ব্যক্তি?
উত্তর হলো না,তিনি কোন অপরিচিত অখ্যাত ব্যক্তি নন ,তিনি অত্যন্ত সুপরিচিত , প্রাক্তন সংসদ সদস্য ,একজন বীর মুক্তিযুদ্ধা এবং সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা।
তার পরওতিনি কিকারনে৩৬ নং সেন্টারে একটিও ভোট পাননি ? তার শূন্য ভোট পাওয়া নিয়ে এম আরাফাত হুসেন কি বলেন একটু শুনি :
আরাফাতের ভাষায় বিএনপির কর্মী সমর্থক ভোট দিতে আসেনি ???আর নবনীতা চৌধুরী , আবু আলম মোঃ শহীদ খান, মোঃ শাহনেওয়াজের মতে এখনও বিএনপির ২৫ % এর মত ভোট আছে !
আমাদের প্রশ্ন ৩৬ নং সেন্টারে বিএনপির ২৫%ভোটার ভোট দিতে না আসার পরও ১০০ % ভোট কাস্ট হলো কি করে ?
তাহলেকারা এই২৫ % ভোটারের ব্যালটেসিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়ে দিয়েছি?? (২০% এবসেন্টি + ২৫ %বিএনপি = ৪৫%) এই কেন্দ্রের ৩৩৫১X ৪৫% = ১৫০৮ টি ভোট অবৈধ !
বাংলাদেশে এবসেন্টিব্যালটে ভোট দানেরসিস্টেমনা থাকায় ধরে নিতে হবে ২১৩টি সেন্টারর ৮০ % এর উপরে কাস্ট হওয়া সকলভোটই অবৈধ ! ( ২০%এবসেন্টি ভোটার )
আরো পরিষ্কার করে একটি কথা বলা দরকার,বাংলাদেশে ৮০% ভোট কাস্ট হওয়ার মানেঅন্য যেসব দেশে এবসেনটি ব্যালটে ভোটের ব্যবস্তা আছে সে সব দেশে ১০০% ভোট কাস্ট হওয়ার সমান!
যেহেতু অন্যান্য দেশের কোথাও ১০০ % ভোট কাস্ট হয়নাতাই বাংলাদেশে ৮০% ভোট কাস্ট হওয়াটাও প্রায় অসম্ভব .
২১৩টি সেন্টারের টোটাল ভোটার সংখ্যা : ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৯৯৩ জন !
এই সংখ্যাআইসল্যান্ড, ব্রুনাই,মালদ্বীপ , জিব্রাল্টারসহ বিশ্বের অনেক দেশের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি.
বাংলাদেশে এবসেন্টি ভোটের সিস্টেম না থাকার জন্য শতভাগ ভোট কাস্ট হওয়া ২১৩টি সেন্টারের অবৈধ ভোট:
৫ লাখ ৪৭ হাজার ৯৯৩ এর২০ %যা ১ লাখ ১০ হাজারটি অবৈধভোটা!