শেখ হাসিনার বিরুদ্ধ্যে ভোটাধিকার খর্বের মিথ্যে অভিযোগ শুনে শুধু প্রবাসীইরা না মৃতরাও হাসছে! কারন , ২০১৮ সালের নির্বাচনে প্রবাসীদের সাথে লাইনে দাঁড়িয়ে মৃতরাও ভোট দিয়ে গেছে!
প্রশ্ন আসাটা স্বাভাবিক, ভোট দানে কেউ বাধাগ্রস্ত করলে তখন কি ১০০% ভোট কাস্ট সম্ভব হতো?
আর ,প্রধানমন্ত্রী হলফ করে বলেছেন তিনি জনগনের ভোটাধিকার ফিরিয়ে এনেছেন, তার মত একজন তাহাজ্জুদ গোজারী আল্লামার বিরুদ্ধ্যে ভোটাধিকার হরনের মত মানবতা বিরুধী অপরাধের অপবাদ কোন ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয় . তাই
“যারা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য , ই.ইউ কিংবা জাতিসংঘে বাংলাদেশের নির্বাচন আর মানবাধিকার লঙ্গনের অভিযোগ তুলে ধরেছেন তারা বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপের অমন্ত্রন জানিয়ে দেশদ্রোহীতা নামক ভয়ানক অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন!“ তাদের মুখোশ উন্মচনে আওয়ামী নেতাদের থেকে এগিয়ে জাতির বিবেক বিশেষ করে টেলিভিশন চ্যানেলে টকশো করা সাংবাদিকেরা !
ভোটাধিকার আর মানবাধিকার একটি আরেকটির পরিপূরক। কোথাও জনগণের ভোটাধিকার খর্ব হলে সেখানে মানবাধিকার ও ভুলুন্টিত হয়, তার জন্য আর বাড়তি কোন প্রমানের দরকার পড়েনা।
ভোটাধিকার কিংবা বেঁচে থাকার অধিকার: এই ইউনিভার্সাল অধিকারগুলো কখনও কোন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীন বিষয় হতে পারেনা যতক্ষণ পর্যন্ত না আদালত কারো ভোটাধিকার কেড়ে নেয় কিংবা মৃত্যুদন্ড দেয়। সন্তান হত্যার দায় যেমন কোন পিতা পারিবারিক মেটার বলে এড়িয়ে যেতে পারেননা তেমনি কোন অত্যাচারী শাসক জনগণের ভোটাধিকার কিংবা বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকারকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে খর্ব করে দিতে পারেনা। এসব টাইরানদের কবল থেকে জগনকে রক্ষা করা জাতিসংঘ কিংবা বিশ্বের অন্যান্য মানবতাকামী দেশের দায়িত্বের মধ্যে পরে।
এই সরকারের হাতে বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার খর্ব হলে কিংবা অন্যন্য মৌলিক অধিকার ভুলুন্টিত হলে জাতি সংঘ কিংবা অন্যন্য মানবতাবাদী রাষ্ট্রে সাহায্য কামনা করাটা বৈধ কাঠামোর মধ্যে পড়ে। যুগে যুগে হিটলার - এহিয়া খানের মত মানবতা বিরুধী টাইরানরা এসব মুক্তিকামী মানুষকে দেশদ্রোহী হিসাবে আখ্যায়িত করে লাশের বন্যায় বিশ্বকে ভাসিয়ে দিয়েছে।
ইতিহাস বলে কোথাও কোন টাইরান নিজ থেকে সরে যায়না : মিত্র বাহিনীর আক্রমনে হিটলার বিচারের মুখোমুখি না হতে আত্মহত্যা করে আর এহিয়া খানের নাকের ডগায় পশ্চম পাকিস্তানের বুক ছিঁড়ে জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ।
[বিঃ দ্রঃ :- ২০১৮ সালের নির্বাচনে ২১৩ টি কেন্দ্রে ১০০% ভোট কাস্ট হয়। ২১৩ টি কেন্দ্রের ৫,৪৭,৯৯৩ জনের সকলই নির্বাচনে উপস্থিত ছিলেন।] <- পড়তে ক্লিক করুন।