লোকজনকে বলতে শুনি "দেশে শুধু টাকা আর টাকা" কাউকে বলতে শুনিনি, "দেশে শুধু সম্পদ আর সম্পদ"??
মিডিলিস্ট টাকার কুমির পেট্রোডলারে , ইউরুপ আমেরিকা শিল্প বিপ্লবে, বাংলাদেশ টাকার কুমির বনতে শুরু করেছে কোন বিপ্লবের মাধ্যমে ?
শেখ হাসিনা দুর্নীতির প্রতি জিরো টলারেন্স ঘোষণা মিডিয়া থেকে দুর্নীতি উহ্য !!
অতিথির পত্র: বাংলা দেশ ঘুরে আসা আমার গনিষ্ট বন্ধুর মন্তব্য হলো "বাংলাদেশে শুধু টাকা আর টাকা," কে কি কাজ করতেছে এটি বড় কথা নয় ," লোকজন দুহাতে টাকা কামাচ্ছে - এটি সত্যি কথা ", তার কথার হাব ভাবে দেখে আমার মনে হলো, " বাদলা দিনে গ্রামের মেঠো কাঁদায় গড়াগড়ি করে উজাইয়ের কৈ ধরার মত দেশের লোকজন টাকার উপর গড়াগড়ি খাচ্ছে!!! "
বাংলা দেশ থেকে ঘুরে আসা অনেকেই আমেরিকায় গাধার খাটুনি জীবন নিয়ে হা হুতাশ করে বলেন ," আমরা কাক ডাকা ভোরে কাজে যাই আর রাত্রে বাড়ি ফিরি, এতো কষ্ট করার পরও মাস শেষ বিল পে করে তেমন কোন ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স থাকেনা , অথচ বাংলাদেশে রেখে আসা বেক বেঞ্চার বন্ধুরা এটি সেটি করে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। দেশে গিয়ে তাদের সাথে দেখা করতে হলে এখন ফাইভ স্টার হোটেলে যেতে হয়, তারা এখন সেখানে নিয়মিত বোর্ডার !!
উনিশ সত্তরে মিডিলিস্ট টাকার কুমির বনে যায় পেট্রল উৎপাদনের মাধ্যমে , ইউরুপ আমেরিকা টাকার কুমির বনে যায় শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে। কিন্তু আজকের বাংলাদেশে লোকজন টাকার কুমির বনতে শুরু করেছে কোন বিপ্লবের মাধ্যমে - কৃষি নাকি শিল্প বিপ্লব: আমি বুঝে উঠতে পারতেছিনা!!!
কোরবানির জন্য ১৫ লক্ষ টাকায় ছাগল আর কোটি টাকায় গরু কেনার প্রতিযোগিতা দেখে আমার প্রশ্ন জাগে বাংলাদেশে এমন কোন বিপ্লব ঘটে গেছে যাতে লোকজনের হাতে পানির মত টাকা চলে এসেছে?
২০১৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে শেখ হাসিনা দুর্নীতির প্রতি জিরো টলারেন্স ঘোষণা করার পর থেকে গত দুমাস পূর্ব পর্যন্ত ( ব্যক্তিগত রেষারেষির কারনে কালের কণ্ঠের করা বেনজিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির খবর ছাড়া ) কোন পত্র পত্রিকায় আর কোন দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হয়নি।
সব ধরনের পত্র পত্রিকা , ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকেরা শেখ হাসিনার দুর্নীতির প্রতি জিরো টলারেন্সের মানে দাঁড় করালো শেখ হাসিনার দুর্নীতি শব্দটাতে এলার্জি, তাই তাদের পত্র পত্রিকা এমনকি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া থেকে দুর্নীতি নিয়ে সব ধরণের খবরা খবর ছাপা নিষিদ্ধ করে ফেল্লো !
(অসমাপ্ত)
পাঠকের চিঠি: মতামতের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।
নবীগঞ্জে বন্যায় কবলিত লোকজনের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।বৃহস্পতিবার দুপুরে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের আশ্রায় কেন্দ্র ইনাতগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়, ইনাতগঞ্জ মোস্তফাপুর দাখিল মাদ্রাসায় পানিবন্দী মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ-বাহুবলের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া চৌধুরী কেয়া,
জেলা প্রশাসক মোছাঃ জিলুফা সুলতানা,পুলিশ সুপার আক্তার হোসেন,নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান চৌধুরী সেফু,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাস,সহকারী কসমশনার (ভূমি) শাহিন দেলোয়ার,ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইফুল জাহান চৌধুরী, নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী, ইউপি চেয়ারম্যান নোমান আহমেদ,সাংবাদিক রাকিল হোসেন, মোঃ আলমগীর মিয়া প্রমুখ। উল্লেখ্য মঙ্গলবার (১৮ জুন) রাত থেকে কুশিয়ারা ডাইক উপছে পানি প্রবেশ করছে। টানা বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নবীগঞ্জে বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে। দ্রুত বাড়ছে পানি।ইতিমধ্যে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী দীঘলবাক ইউনিয়ন,ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামসহ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘরে উঠেছে পানি। এখানকার জনজীবন হুমকীর মূখে রয়েছে। উপজেলার সকল হাওরাঞ্চলে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।নবীগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যাওয়ায় জন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ইতিমধ্যে মঙ্গলবার রাত থেকে শেরপুর থেকে দীঘলবাক পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর ডাইক উপছে পানি প্রবেশ করছে। ফলে উপজেলার সর্বত্র ভয়াবহ বন্যার আশংকা করছেন সর্ব মহল।
এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হাপাতালে সন্তান প্রসব করান, মা ও নবজাতকের জীবন বাঁচান”। এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে সীমান্তকি নতুন দিন প্রকল্পের পরিচালনায় ইউ এস এ আই ডি ও সোস্যাল মার্কেটিং কোম্পানীর অর্থায়নে হবিগঞ্জ জেলার নবীগ্ঞ্জ উপজেলার সালামাতপুরে একটি বর্নাঢ্য র্যালী ও আলোচনা সভায় অনুষ্টিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় উপজেলা সুপারভাইজার মো: বেলাল হোসেন এর সঞ্চালনায় উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলার ইউনাইটডে হসপিটারের গাইনী ডাঃ নাজনীন সুলতানা নিপা প্রকল্পের জেলা টিম লিডার জনাব মোঃ আলমগীর হোসেন,এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্যারামেডিক ঝুমা ও গর্ভবতী মায়েরা ও সাধারন জনগন। এছাড়াও সীমান্তিকের উদ্দোগে জেলার সকল উপজেলায় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন করা হয়।
নবীগঞ্জ-মার্কুলী সড়কে বাগাউড়া মোড়ে গতকাল শুক্রবার বিকালে সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে জাকারিয়া আহমদ (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত জাকারিয়া সোনাপুর গ্রামের আব্দুল মন্নানের ছেলে। স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, শুক্রবার বিকালে নবীগঞ্জ থেকে একটি সিএনজি যোগে নিজ বাড়ী যাচ্ছিলেন বড় ভাকৈর (পশ্চিম) ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের জাকারিয়া। বাগাউড়া গ্রামের নিকটস্থ মোড়ে পৌছা মাত্র বিপরীত দিক থেকে কাজিরগঞ্জ বাজার মুখী অপর একটি সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ বাধলে জাকারিয়ার একটি পা দ্বীখন্ডিত হয়ে রাস্তায় পড়ে যান। স্থানীয় লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। এই খবর নিহতের বাড়ি সোনাপুর গ্রামে পৌছলে স্বজনরাসহ গ্রামবাসীর মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রীমতপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসীর জায়গা জোর পূর্বক প্রবাসীর অনুউপস্থিতি একদল লাঠিয়াল বাহিনী জোর পূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উল্লেখিত গ্রামের দুবাই প্রবাসী মোঃ আব্দুর রহমান এর মালিকানা জায়গা কালিয়ারভাঙ্গার মৌজার খতিয়ান নং ১১৬০ দাগ নং ৩১৭৯ চারা কৃষি শ্রেণীর ১৫ শতক ভূমি রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে পার্শ্ববতী জায়গার মালিক সামসুল হুদার ওয়ারিশান আহমদ, আমজদ,আরসদ, আচজদ গং আব্দুস সালাম এর ওয়ারিশান মুয়ায, আনাস ও আব্দুস সমদ এর ওয়ারিশ মাহমুদ,মাসুদ এর যৌথ মালিকনা সম্পত্তির মালিকগন আব্দুর রহমান দুবাই থাকার সুবাধে করচা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র জয়েদ পরামর্শে প্রকাশ্য মদদে ও শ্রীমতপুর গ্রামের সফিকুর রহমান উপস্থিতি সীমানা নির্ধারনের নাম করে আগের জায়াগার সীমনার আইল হতে প্রায় ২ হাত জায়গা জোর পূর্বক জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ করেছেন। উল্লেখিত লোকজনের সাথে জায়গা নিয়ে প্রবাসী আব্দুর রহমান মিয়ার বিভিন্ন বিষয়াদী নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন আমার জায়গা জোর পূর্বক দখলকারীদের বিরোদ্ধে প্রশাসন আইনিন পদক্ষেপ গ্রহন করে এলাকার শান্তি সৃংখলা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবেন।