সম্পাদকীয় : বৈষম্য বিরুধী আন্দোলনটির পরিসমাপ্তি ৫ আগস্ট না হয়ে "ঈদের পর দুর্বার আন্দোলনের " জন্য অপেক্ষা করতে হতো যদি আন্দোলনটির স্টিয়ারিংগ হুইল সমন্বয়কদের হাতে না থেকে বিএনপির হাতে থাকতো। বি.এন.পি. এমন এক অভাগা সংঘটন, সারা দেশের সব বুভুক্ষকে ( আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি থেকে জেটিয়ে বিদায় করা) তার বুকে ঠাঁই দিয়েছ, শুধু ঠাঁই দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তাদের হাতে সংঘটন পরিচালনার স্টিয়ারিং হুইলও ধরিয়ে দিয়েছে।
তাইতো, কোটি কোটি কর্মী সমর্থক নিয়ে সংঘটনটি ১৫ বছরে ৫ মিনিটের জন্যও রাজপথে দাঁড়াতে পারেনি। যে কোন আন্দোলন দানা বাধার পূর্বেই এই সব বুভুক্ষ নেতা-নেত্রীরা ক্ষমতাসীনদের ক্ষুদ কুড়ে গিলে আন্দোলনের পরিসমাপ্ত ঘোষনা করে, ঈদের পর দুর্বার আন্দোলনের মূল ঝলায় ।
৫ আগস্টের গণঅভ্যুথান সফল হয়েছে শুধু সমন্বয়কদের টাকা পয়সার প্রতি লোভ না থাকার কারনে। ভাগ্য ভালো যে ,বৈষম্য বিরুধী আন্দোলনের সমন্বয়নকদের কেউই বিএনপি বা তার অঙ্গ সংঘটনের ছিলোনা। থাকলে, আওয়ামীলীগের ছুড়ে দেওয়া ক্ষুদ কুড়েতেই আন্দোলনটি আতুর ঘরে পটল তুলতো : বরাবরের মত আবারো আগামী ঈদের পর দুর্বার আন্দোলনের মূল ঝুলতো।
বৈষম্য বিরুধী আন্দোলনের সমন্বয়নকদের কেউই বিএনপি বা তার অঙ্গ সংঘটনের ছিলোনা বলে ৫ আগস্টে ছাত্র জনতা শেখ হাসিনার মত এক জগদ্দল পাথরকে বাঙালি জাতির মাথার উপর থেকে নামিয়ে দিতে সমক্ষম হয়েছে।
https://www.youtube.com/watch?v=vbOsl6Xw-eI
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামে নিরীহ দুই ভাইকে বৈষম্য বিরোধী মামলায় আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে আসামি শ্রেণিভুক্ত করার আবেদন করায় আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। এতে করে ওই দুই ভাই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। এ বিষয়ে বিএনপি সমর্থক মোঃ আলী হোসেন ওরফে আহাম্মদ আলী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব বরাবরে ১৬ মার্চ লিখিত আবেদন করেন।জানা যায়, আওয়ামী লীগের আমলে আহাম্মদ আলী বিএনপি সমর্থক হয়ে জেলে যায়। এছাড়া তার ভাই আকবর আলীকে জামায়াত নেতা বানিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করে জামিন লাভ করে। তারা কোনো দলের না, সাধারণ মানুষ। বিএনপি সমর্থন করে। এখন আওয়ামী লীগ নেতা বানিয়ে আসামি করার পায়তারা চলছে। এ নিয়ে এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হউক।
বি.এন.পি কেন বার বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয় আর আওয়ামী লীগ সব সময় দুর্নীতি মুক্ত দরবেশের স্টেটাস বয়ে বেড়ায় ? অথচ এই আওয়ামীলীগাররাই টাকা পাচার করে দেশে দেশে শুধু বেগম পাড়াই করেনি, এরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শীর্ষ বিলিয়নারের তালিকায়ও নাম লিখিয়েছে। এদের নেত্রী গর্ব করে বলেন তার পিওনও নাকি ৪০০ কোটি টাকার মালিক, হেলিকপ্টর ছাড়া চলেইনা!!
দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন আর দুর্নীতি মুক্ত দরবেশের মুখোশ উন্মোচন করতে হলে আমাদেরকে কাল্পনিক একটি একটি উপমার সাহায্য নিতে হবে।
:::: কল্পনা করুন আওয়ামী লীগ আর বি.এন.পি একটি সুপার শপের দুটি স্বনির্ভর ব্রাঞ্চ।::::::
--------------------------------------
শপ দুটির স্বনির্ভর ব্রাঞ্চ ম্যানেজাররা হায়ারিং, ফায়ারিং, এক্সপোর্ট , ইম্পোর্ট আর ব্যাঙ্ক লোন নেয়ার মত সূক্ষ্ণ ও অতিগুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ডিসিশন মেকিংয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী ।
বিএনপি নামক প্রথম ব্রাঞ্চেটি পর পর ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন!!
—————————————————
প্রথম ব্রাঞ্চেটির ম্যানেজারের ছেলে-মেয়েরা ক্যাশের টাকা মাঝে মধ্যে নয় ছয় করে, উল্টো পাল্টা মেমো লিখে হিসাব মিলিয়ে থাকে , ব্রাঞ্চেটির কর্মচারীরাও দুর্নীতিতে সিদ্ধ হস্ত । তারা সব সময় চা , কফি , স্প্রাইট , ফান্টা , গাম , সিগারেট, বিস্কটের মূল্য পরিশোধ না করে লুকিয়ে বাসায় নিয়ে যায়। এ জন্য এই ব্রাঞ্চের ম্যানেজারকে প্রতি মাসে লাখ দেড়েক টাকার মালামাল মিসিং হিসাবে ঘোষণা করতে হয়। তবুও মাস শেষে এই ব্রাঞ্চেটির নেট আর্নিং শত কোটি ছাড়িয়ে যায়। বহু বছর যাবৎ ব্রাঞ্চেটির ম্যানেজারের প্রমোশন বা ইনক্রিমেন্ট হয়নি ব্রাঞ্চের কর্মচারীদের দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে না পাড়ার কারনে। ব্রাঞ্চেটিকে হেড অফিস পর পর ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে।
আওয়ামী লীগ নামক দ্বিতীয় ব্রাঞ্চেটি "দুর্নীতি মুক্ত দরবেশ" খ্যাত।
————————————————————————————
দ্বিতীয় ব্রাঞ্চেটির ম্যানেজার স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড , হিসাব নিকাশে কোন নয় ছয় নাই। ব্রাঞ্চেটির ম্যানেজার আর কর্মচারির সম্পর্ক গভীর, তারা নিজেদের সুখ দুঃখ আনন্দ বেদনা শেয়ার করে, এমন কি ঘর থেকে আনা লাঞ্চও।
ব্রাঞ্চেটির ম্যানেজার, কর্মচারীদের চরিত্র হেড অফিসের চোখে নিট এন্ড ক্লিন হওয়ায় প্রতি বছর ম্যানেজারের সেলারি ইনক্রিমেন্ট হয়, কর্মচারীদেরও বেতন বোনাস বৃদ্ধি পায়। । মাস শেষ এই ব্রাঞ্চেটি অন্য ব্রাঞ্চটির চেয়ে দেড় থেকে দুগুণ নেট আর্নিং ব্যাংক একাউন্টে জমাকরে।
:::: অডিটে সাগর চুরি আবিষ্কার!!! ::::
——————————————————
৫ বছর পর অডিট টিম হিসাব নিকাশ করে আবিষ্কার করলো দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ব্রাঞ্চেটির একাউন্টে ৬০০ কোটি টাকা থাকলেও দুর্নীতি মুক্ত ব্রাঞ্চটির ব্যাঙ্ক একাউন্টে কোন টাকা পয়সা নাই, উল্টো ব্রাঞ্চটির ব্যাঙ্ক লোনের দেনা আছে ১০০০ কোটি টাকা । কানাডার বেগম পাড়ায় আশ্রয় নিয়ে ব্রাঞ্চেটির ম্যানেজার দাবি করেন, নর্থ কোরিয়ান হেকাররা ব্যাংকে থাকা ৪০০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ায় ভেন্ডরদের প্রাপ্য পরিশোধ করতে তাকে ১০০০ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক লোন ব্রাঞ্চেটির নামে নিতে হয়েছে।
সম্পাদকীয় : "দেশ পরিচালনায় ডক্টর মোঃ ইউনুসকে কোন ভাবেই সফল হতে না দেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে বি.এন.পি. প্রসিডেন্ট চুপ্পুকে স্বপদে রেখে দেওয়ার গু-ধরে।" চুপ্পুকে প্রেসিডেন্ট পদে রেখে দেওয়ার মানেই হলো ডক্টর ইউনুসসহ বিপ্লবীদের শক্তিকে অর্ধেক করে দেওয়া। স্বৈরাচারের সেকেন্ড ইনকমাণ্ড এই চুপ্পুর স্বাক্ষর ছাড়া ডক্টর ইউনুস কাউকে হায়ারিং ফায়ারিংগ, কোন কিচ্ছুই করতে পারবেননা।
ইউনুস সরকারের হাতে হায়ারিং ফায়ারিংয়ের ক্ষমতা না দেওয়া এই বিএনপির নেতা-নেত্রীই আজ ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারের দুসর আমলাদের ফায়ারিং না করার অপবাদ দিয়ে কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছেন, অপবাদের খৈ ফুটাচ্ছেন ।তার কারন , আজকের বি.এন.পি'র নেতা নেত্রীর বেশির ভাগই আওয়ামীলীগের উচ্ছিস্ট। ফজলু , হাবিবের মত মোটা মাথার নেতা -নেত্রীরা তীক্ষ্ন বুদ্ধি সম্পন্ন আওয়ামীলীগারদের সাথে কুলিয়ে উঠতে না পেরে মিষ্টি কথায় সহজে পদ ভাগিয়ে নিতে বিএনপিতে ডুকে পরে। এদের কারনে বিএনপি দুর্নীতিতে বারবার চ্যাম্পিয়ন হয়!!
আওয়ামীলীগ নয় বি.এন.পি. পর পর ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান??
খালেদা জিয়ার মত সৎ নেত্রী থাকার পরও বি.এন.পি পর পর ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে, শুধু মাত্র ওই সব মাথা মোটা নেতাদের আগা থেকে মাথা পর্যন্ত সব গিলে খাওয়ার উগ্র বাসনা থেকে।
আওয়ামীলী প্রজেক্টের নামে বিদেশ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার এনে হাওয়ার উপর গিলে দেশে দেশে বেগম পাড়া গড়েছে , বিশ্বের নানান দেশের সবোর্চ্চ বিলিয়নার বনেছে অথচ বি.এন.পি'র হাওয়া ভবনের নামে পাহাড় সমান অভিযোগ!!!
তারা নাকি চাঁদাবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য, ফাইল আটকে টাকা আদায় এমন কি পাড়া মহল্লার দোকানে দোকানে চাঁদাবাজি, ছিচকে চুরি করে জনগনের জীবন বিভীষিকাময় করে তুলেছিলো।
আওয়ামীলীগ ক্ষুদ খেয়ে ক্ষুধা নষ্ট করার মত বোকামি না করে জন্যগনের চোখে ধুলা দিয়ে দিনে দুপুরে আস্তো হাতি গিলে খেয়েছে। স্টক মার্কেট , ব্যাঙ্ক-বীমা , রেল , বিমান এমনকি রাষ্ট্রীয় কোষাগারও আওয়ামীলীগের ডাকাতদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি। তারপরও আওয়ামীলীগ দুর্নীতিতে চেম্পিয়ন হয়নি!!!!
শুক্রবার শায়েস্তাগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইফতার পূর্ব আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি মঈনুল হাসান রতন। সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল হাসানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ ফরিদ আহমেদ অলি। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আ স ম আফজল আলী, শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দীলিপ কান্ত নাথ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: ছমির আলী, শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গাজী গোলাম মোস্তফা, সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ আশরাফ উদ্দিন মামুন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আব্দুল আজিজ ফরহাদ, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক প্রভাষক কামরুল হাসান রিপন, সদস্য সচিব সাবেক কাউন্সিলর ফাহিন হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক কাউন্সিলর মোঃ আব্দুল জলিল, যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ ইমান উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর সাইদুর রহমান, শফি কাইয়ূম,উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ইয়াসির খান, আহলে সুন্নাত ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা মঈনুল ইসলাম চৌধুরী, সৈয়দ আজিজুর রহমান ছয়ফুর, সাংবাদিক ইসমাঈল হোসেন বাচ্চু, এডভোকেট দেলোয়ার ফারুক তালুকদার শাহজাহান, মিজানুর রহমান সুমন, মোঃ মহিবুর রহমান, শাহ মোস্তফা কামাল, হামিদুল হক বুলবুল, তোফায়েল আহমেদ মনির, কামাল আহমেদ, পৌর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফয়সাল আহমেদ রুবেল, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম আহমেদ নাসির, সাইফুল ইসলাম সাইফ, শামীম আহমেদ শামীম, যুবদল নেতা মোঃ মহিউদ্দিন লিমন, আবুল বাশার ঈশা, মোঃ নুরুল ইসলাম, কাজী কামাল, নাসির উদ্দিন সেলিম, আহমদ আলী, শেখ মাহফুজ,উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ দুলাল মিয়া, ছাত্রদল নেতা মিজানুর রহমান, আব্দুল বাছির সহ আরো অনেকেই। আলোচনা সভা শেষে দেশ জাতীর কল্যাণ কামনা করে উপস্থিত সকলকে নিয়ে মোনাজাত পরিচালনা করেন আহলে সুন্নাত ওলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল্লাহ সফি।