(২য় অংশ )
আওয়ামীলীগ কেন শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে মরিয়া সেটি আরো ভালো ভাবে বুঝতে হলে আমাদেরকে বিগত ২০১৮এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে থাকাতে হবে।সেই নির্বাচনে, আওয়ামীলীগজোট ২৯৯ আসনের মধ্যে ৭টি বাদে সবকটি আসনেই জয় লাভ করেছিল।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে নির্বাচনের সমস্ত ডাটা আছে , সেই ডাটা ডাউনলোড করে এনালাইসিস করলে বুঝা যাবে বিগত নির্বাচনটি কেমন হয়েছিল, নির্বাচনের দিন জনগণ কি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছিলো? নাকি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার নামে প্রহসন হয়েছিল?
নির্বাচনে ১০৫২ টি কেন্দ্রে সরকার বিরুধী বিএনপি জোটের শূন্য ভোট ? ২০১৮ সালের নির্বাচনের আরেক বিস্ময়কর দিক হলো ১০৫২ টি কেন্দ্রে সরকার বিরুধী বিএনপি জোটের শূন্য ভোট পাওয়া ! অন্যান্য প্রার্থীর কপালেও জোটে শূন্য ভোট .১০৫২ টি সেন্টারে সরকার বিরুধী জোট ( বিএনপি )শূন্য ভোট পাওয়ার মানে ঐ সব সেন্টারের ২.৫ মিলিয়নস ভোটারের মধ্যে বিরুধী জোটের একজন কর্মী তো দূরের কথা একজন সাধারণ ভোটারও পাওয়া যায়নি যে বিরুধী দলকে সাপোর্ট করে ? এমন একজন মানুষ ও কি নাই যে সরকারের কর্মকান্ডে বিরক্ত বা বিক্ষুব্দ হয়েছে ?
তাহলে কি আমাদেরকে ধরে নিতে হবে কাতার , কুয়েত , বাহরাইন , আবুধাবি , আইসল্যান্ড , মালটা , লাটভিয়ার মত একটি দেশের কোন বিরুধী দলও নাই?
##### বি.এন.পি. যেসব কেন্দ্রে শূন্য ভোট পেয়েছে সেসব কেন্দ্রে প্রকৃত পক্ষে বি.এন.পির কোন ভোট আছে কিনা তার অনুসন্ধান :
সংসদীয় আসন নং ২৭৫., লক্ষীপুর-২, এই আসনের ৫টি সেন্টারে স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ আলম পাপুলের ১১,০০১(এগার হাজার এক ) ভোটের বিপরীতে বিএনপির দুই টার্মের নির্বাচিত সাংসদ আবুল খায়ের ভূঁইয়া পেয়েছেন ০ (শূন্য ) ভোট.
অথচ লক্ষীপুর-২ খালেদা জিয়ার বাবার বাড়ির সিট , এই সিট থেকে তিনি ৫ বার নির্বাচিত হয়েছেন। । ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে বি.এন.পির প্রার্থী এই আসন থেকে ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসছিলেন।
এই আসনের বিগত ৫ টি নির্বাচনের ফলাফল .
Year |
Party |
Candidate |
Votes |
শতকরা হার |
2008 |
BNP |
129,995 |
57.1 |
|
|
AwamiLeague |
51,732 |
39.6 |
|
2001 |
BNP |
123,526 |
72.2 |
|
|
AwamiLeague |
44,974 |
26.3 |
|
1996 |
BNP |
59,054 |
51.6 |
|
|
AwamiLeague |
Tozmmel Hossain Chowdhury |
26,937 |
23.6 |
1991 |
BNP |
38,599 |
53.5 |
|
|
|
Khaled Md. Ali |
23,929 |
33.2 |
|
|
|
|
|
২০০১ এর নির্বাচনে ১,২৩,৫২৬ আর ২০০৮ এর নির্বাচনে ১,২৯,৯৯৫। এই ধারা অনুসরণ করে গ্রাফটাকে এক্সটেন্ড করলে বিএনপি ২০১৮ এর নির্বাচনে আরো ৬ হাজার বেড়ে পাওয়ার কথা ১,৩৫,০০০।
১,২৩,৫২৬ -> ১,২৯,৯৯৫ -> ১৩৫,০০০
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ১,৩৫,০০ পরিবর্তে পেয়েছে মাত্র 28,065 ভোট।
নির্বাচনের সাল : ২০১৮
প্রার্থী |
ভোট |
আবুল খায়ের ভূঁইয়া (বি.এন.পি) |
28,065 |
শহীদ.আলম.পাপুল (স্বতন্ত্র) |
2,56,644 |
ব্যবধান —————> |
-2,28,579 |
২০১৮ সালের নির্বাচনের পর এই আসনের নির্বাচনী গ্রাফটা দাঁড়িয়েছে ! .
২০০১ সালের নির্বাচনে বি.এন.পি পেয়েছিল ১,২৩,৫২৬ আর ২০০৮ সালের নির্বাচনে পেয়েছিল ১,২৯,৯৯৫ আর ২০১৮ সালের নির্বাচনে শুধু ২৮ হাজার ।
১,২৩,৫২৬ -> ১,২৯,৯৯৫ -> 28,০০০
অথচ, এই আবুল খায়ের ভূঁইয়াই এই সিটে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রাক্তন এম.পি হারুনুর রশিদকে ৭৮৫৪৫ ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন।
নির্বাচনের সাল : ২০০৮
প্রার্থী |
ভোট |
আবুল খায়ের ভূঁইয়া (বি.এন.পি) |
129,995 |
হারুনুর রশিদ (AwamiLeague) |
51,732 |
ব্যবধান —————> |
৭৮,৫৪৫ |
২০১৮ সালের নির্বাচন সম্পর্কে প্রাক্তন ভি.সি. ড: আনোয়ার হুসেনে বলেন " ১৯৭০এর গণজোয়ারের মত এটি একটি গণজোয়ার।"
১৯৭০সালের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু ৫ টি সেন্টারে অপজিশন প্রার্থীর ০ ভোটের বিপরীতে ১১০১৫ ভোট পাওয়াতো দূরের কথা একটি সেন্টারেও শতভাগ ভোট পাননি ! কোন দলীয় পরিচয় ছাড়া শুধু নিজ পরিচয়ে সেন্টারে সেন্টারে এতো ভোট পাওয়া কি প্রমান করেনা শহীদ আলম পাপুলের জনপ্রিয়তা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরকে অতিক্রম করে ফেলেছেন !!
বাস্তবে কি এটি সম্ভব ??
আসুন শহীদ আলম পাপুল সম্পর্কে দৈনিক দেশ রূপান্তর (সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩) বক্তব্য : “ধূমকেতুর মতো উত্থান!” | “বেশ কয়েক বছর আগে অত্যন্ত সাধারণ ও কৃষক পরিবারের সন্তান পাপুল মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে পাড়ি জমান জীবিকার সন্ধানে।” এক সময় কুয়েতে মানুষ পাঠানোর নামে প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা । মানুষের পাসপোর্ট আটকিয়ে টাকা আদায়, অবৈধ মানি লন্ডারিং, আদম পাচারসহ অন্যান্য নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দন্ডিত হয়ে বর্তমানে কুয়েতের জেলে . ২০১৮ সালের নির্বাচনের পূর্ব লক্ষীপুরে তার কোন পরিচিতি ছিলোনা , ছিলো না তার কোন পারিবারিক প্রভাব প্রতিপত্তি , না ছিলো তার কোন দলীয় পরিচয় !
তার পক্ষে বঙ্গবন্ধুর জনপ্রিয়তাকে অতিক্রম করা পুরোপুরি অসম্ভব আর অকল্পনীয় ! পাপুল নিজ পরিচয়ে যদি বঙ্গবন্ধুকে অতিক্রম করতে না পারেন তাহলে তার পক্ষে বিএনপির দুই টার্মের নির্বাচিত সাংসদ আবুল খায়ের ভূঁইয়াকে ২,২৮,৫৭৯ ভোটের ব্যবধানে হারানো আর তার জামানত বাজেয়াপ্ত করানো তার পক্ষে কোন ক্রমেই সম্ভব নয় , এই অকল্পনীয় আর বাস্তবতাহীন ডাটা কোন ক্রমেই নির্বাচনী ডাটার অংশ হতে পারেনা !
————————————————————————
শহীদ ইসলাম পপুল ১৭,১৮,৬৮,৮০,১১০ নং সেন্টারের মোট ভোট: ১১০১৬ এর মধ্যে ১১০০১ পেয়ে বিশ্বের বুকে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন, যা মোট ভোটের ৯৯.৮৬% |
লক্ষীপুর -২ আসনে ৩৭ বছরের প্রতিষ্টিত ইতিহাস ভেঙে দিয়েছেন .
কেন্দ্র নং |
মোট ভোট কাস্ট |
মোট বৈধ ভোট |
শহীদ.আলম.পাপুল (স্বতন্ত্র) |
আবুল খায়ের ভূঁইয়া(BNP) |
৫জন স্বতন্ত্র প্রার্থীরভোট |
মোট নষ্ট ভোট |
শতকরা হার |
17,18,68,80,110 |
11050 |
11016 |
11001 |
0 |
15 |
34 |
71%-98% |
এই ৫ টি কেন্দ্রে নরমাল ভোট হলে সর্বচ্চো কতটি ভোট পাপুল পেতে পারে এ বিষয়ে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আবু আলা মোহাম্মদ শহীদ খানের হিসাবে মতে ,
-----------------
“এবসেন্টি ভোটার: ২০%” + “বিএনপি ভোটার : ২৫%” +”( আওয়ামীলীগ+ জাতীয় পার্টি ): ৩৫%” = “টোটাল : ৮০ %” বাদে
--------------------------------------------
বাকি যে ২০% দল নিরপেক্ষ ভোটার আছে তার একটি অংশ -
যা বড়জোর (১১০৫০ x .২০ =) ২২১০ টি ভোটের একটি অংশ .
:. চলুন মোটামোটি নরমাল ভোট কাস্ট হওয়া সেন্টারগুলোর খোঁজে করি :
ঢাকা-৬ ও ঢাকা-১৩—এ দুটি আসনে ইভিএমে মাধ্যমে ভোটার অথেনটিকেশন করে ভোট নেওয়া হয়েছিল। যার একটিতে ভোট পড়েছে ৪৪.৮৫% আর আরেকটিতে পড়েছে ৪২.৬৭% , যার গড়ে ৪৩%। নির্বাচন বিশেষজ্ঞ আবু আলা মোহাম্মদ শহীদ খানের দেয়া হিসাবের সাথে এ দুটি সেন্টারের নির্বাচনী ফলাফল মিলে যাওয়ায় এ দুটি সেন্টারকে নরমাল ভোট কাস্টিংয়ের বেস ধরে হিসাব করে বের করতে পারি অন্য ৫টি সেন্টারের নরমাল ভোটের পরিমান।
আসন# : 186, "ঢাকা-৬ ",
"আওয়ামী প্রার্থীর ভোট ": 103163,
"আওয়ামী প্রার্থীর সর্বচ্চো ": 1724,
"আওয়ামী প্রার্থীর সর্বনিম্ন ": 341,
"বিএনপি প্রার্থীর ভোট ": 47215,
"বিএনপি প্রার্থীর সর্বচ্চো": 803,
"বিএনপি প্রার্থীর সর্বনিম্ন": 137,
" কেন্দ্রে গড় ভোট পড়েছে ": 42.67
আসন#: 179,” ঢাকা-১৩"
"আওয়ামী প্রার্থীর ভোট ": 120989,
"আওয়ামী প্রার্থীর সর্বচ্চো ": 2443,
"আওয়ামী প্রার্থীর সর্বনিম্ন ": 257,
"বিএনপি প্রার্থীর ভোট ": 23266,
"বিএনপি প্রার্থীর সর্বচ্চো": 602,
"বিএনপি প্রার্থীর সর্বনিম্ন": 46,
" কেন্দ্রে গড় ভোট পড়েছে ": 44.86
২০১৮সালের নির্বাচনের পর কোথাও ৫০% এর উপরে ভোট কাস্ট হয়নি। আমরা ৪৩% কে নরমাল না ধরে ৫০% কেই নরমাল ধরে হিসাব করি ।
লক্ষীপুর -২ আসনের যতগুলো সেন্টারে নরমাল (৫০%) ভোটকাস্ট হয়েছে সেগুলোর ৫টি সেন্টারের পাপুলের ভোট যোগ করলে কি দাড়ায় একটু দেখা যাক .
আসনের ৭৪,৮৪,৮৬,৮৮, ১০৫ নং সেন্টারে নরমাল ভোট কাস্টহ য়েছে আর সেই সব সেন্টার থেকে
শদীদ ইসলাম পাপুলের প্রাপ্ত মোট ভোট ১৫৫০ যা ২২১০ (২০%) টি ভোটের একটি অংশ !
## 50% এর নিচে কাস্ট হওয়া ভোটে কার কত পার্সেন্ট ?
"শহীদ.আলম.পাপুল (স্বতন্ত্র)": 1795, 24.95%
"আবুল খায়ের ভূঁইয়া (বি.এন.পি)": 5121, 71.19%
ভোট কাস্ট হয়েছে : 7193
## 60% এর নিচে কাস্ট হওয়া ভোটে কার কত পার্সেন্ট ?
"শহীদ.আলম.পাপুল (স্বতন্ত্র)": 6140, 37%
"আবুল খায়ের ভূঁইয়া (বি.এন.পি)": 10036, 61%
ভোট কাস্ট হয়েছে : 16486
#### উভয় প্রার্থীর ০% থেকে ৬০% পর্যন্ত কাস্ট হওয়া সেন্টারগুলোর ভোটের তারতম্যের গ্রাফ (Green line BNP Blue Line Papul)
##61% এর উপর কাস্ট হওয়া ভোটে কার কত পার্সেন্ট?
{
"শহীদ.আলম.পাপুল (স্বতন্ত্র)": 250504, 91.09%
"আবুল খায়ের ভূঁইয়া (বি.এন.পি)": 18029, 6.55%
" ভোট কাস্ট হয়েছে : 274979
}
লক্ষীপুর-২ আসনের ফাইনাল নির্বানী ফলাফলে কে কত পার্সেন্ট ভোট পেলো ?
সর্বমোট ভোট কাস্ট হয়েছে : 291465,
শহীদ আলম পাপুল ": 256644, 88.05%
আবুল খায়ের ভূঁইয়া (বি.এন.পি.) ": 28065, 9.62%
জামানত বাঁচাতে ভোটের প্রয়জন : 36433
প্রার্থীর নাম |
দল |
মার্কা |
৫০% পর্যন্ত ভোট কাস্ট হওয়া সেন্টারের ফলাফল |
|
৬০% পর্যন্ত ভোট কাস্ট হওয়া সেন্টারের ফলাফল |
|
৬১%-১০০% পর্যন্ত ভোট কাস্ট হওয়া সেন্টারের ফলাফল |
|
আবুল খায়ের ভূঁইয়া |
B.N.P. |
ধানের শীষ |
5121 |
71.19% |
10036 |
61% |
18029 |
6.55% |
শহীদ.আলম.পাপুল |
INDEPENDENT |
আপেল |
1795 |
24.95% |
6140 |
37% |
250504 |
91.09% |
যে সেন্টারগুলোতে বিএনপি শূন্য ভোট পেয়েছে সেই সেন্টারগুলোলোতে সর্বচ্চো বৈধ ভোট কাস্ট হতে পারে ৫৫% !
যতগুলো সেন্টারে ৫৫ % এর বেশি ভোট কাস্ট হয়েছে ,আর বিএনপি শূন্য ভোট পেয়েছে, সেই সব সেন্টারের ৫৫ % এর অতিরিক্ত ভোটগুলো অবৈধ (৫৬ % - ১০০%) .
শহীদ ইসলাম পপুল ১৭,১৮,৬৮,৮০,১১০ নং সেন্টারের মোট ভোট: ১১০১৬ এর মধ্যে ১১০০১ পেয়েছেন, যা মোট ভোটের ৯৯.৮৬% | ১১০১৬ এর ৪৫% = ৪৯৫৭টি ভোট অবৈধ।
শেখ হাসিনার দাবি তিনি একটি অবাধ, সুষ্ঠু , জালভোট মুক্ত, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিয়েছেন। তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন, তার করা নির্বাচনে কেউ কেন্দ্র দখল করে ভোট স্টাফিং করেনি ,কোন কেন্দ্রে জালভোটও হয়নি !
তার প্রশ্ন , নির্বাচনের কোথাও যদি কোন অনিয়ম হতো তাহলে প্রমান হিসাবে যে কেউ যে কোন কিছুর ভিডিও কিংবা অডিও নিয়ে হাজির হতো , যা আজ পর্যন্তও হয়নি , তাতে কি প্রমাণিত হয় না যে ২০১৮ সালের নির্বাচনের কোথাও কোন অনিয়ম ঘটেনি?
তৎকালীন বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান আজিজ আহমদের ভাষায় তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সব চেয়ে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ একটি নির্বাচনউ পহার দিয়েছেন।
১০০ % ভোট কাস্ট হওয়া ২১৩ টি সেন্টারের ৫.৫ লাখের ২০% হিসাব করলে ১,১০,০০০ টি এবসেনটি ব্যালটে ভোটের কোন বৈধতা না থাকার কারনে এই ভোটগুলো অবৈধ.
নির্বাচনের দিনে কোন জাল ভোট হয়নি কোথাও কেউ কেন্দ্র দখলে নিয়ে ভোট স্টাফিংও করেনি তারপরও রিজাল্ট বেরুনোর পরদেখা গেলো ১ লক্ষ ২০ অবৈধ ভোট ভোট বাক্সে ঢুকানো হয়ে গেছে!
এমন কি লক্ষীপুর -২ আসনের ১৭,১৮,৬৮,৮০,১১০ নং সেন্টারে ৪৯৫৭টি অবৈধ ভোট বাক্সে ঢুকানো হয়েছে!।
সেন্টারের সেন্টারে এতগুলো অবৈধ ভোট ব্যালটবাক্সে কে, কিভাবে, কখন ঢুকিয়েছিল তা জানতে হলে বিবিসির ওয়েব সাইটে বাংলাদেশের নির্বানের উপর করা সংবাদ গুলোর দিকে চোখ বুলানো দরকার :
---------------
বিবিসির নিউজ জানায় নির্বাচন শুরুর পূর্বেই "শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে " নির্বাচনী কর্মকর্তাদের দেখা যায় ব্যালটে ভরা বাক্সগুলোকে বুথে বয়ে নিয়ে যেতে. নির্বাচনের পূর্বে ব্যালট বাক্সে ব্যালট কিভাবে ঢুকলো এই প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে প্রিসাইডিং
অফিসার সাংবাদিককে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন "নির্বাচনী আইনে সাংবাদিককে কেন্দ্রে ঢুকা নিষেধ" নির্বাচনীআইনের
দোহাই দিয়ে ! অথচ সরকারি দলের নেতাকর্মীরা ভিতরে বসে আছে এদিকে খেয়াল নাই .
নির্বাচন কমিশনার নতুন আইন করেছেন যাতে হুট করে সাংবাদিকেরা কেন্দ্রে ঢুকে বিব্রতকর পরিস্তিতির সৃষ্টি করতে না পারে. কেন্দ্রে ঢুকার আগে প্রতিটি সাংবাদিককে প্রিসাইডিং অফিসারের পারমিশন নিতে হবে . বিবিসিসাংবাদিকযদি
কেন্দ্রে ঢুকার আগে প্রিসাইডিং অফিসারের পারমিশনের জন্য আবেদন করতেন তাহলে প্রিসাইডিং অফিসারদের ব্যালট পেপার ভর্তি বাক্স বয়ে নিয়ে যাওয়ার বিব্রতকর পরিস্তিতিতে পড়তে হতোনা !
পুলিশ আর আওয়ামীলীগ নেতাদের অমনোযোগিতার সুযোগে বিবিসি সাংবাদিকের হুটকরেবেআইনিভাবে
কেন্দ্রে ঢুকে বাংলাদেশের ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে নতুন ধারায় ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সূচনা হয়েছে তা জনসম্মুখে বের করে দেন .
কেউস্বীকার করুক আর না করুক প্রাক্তন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা অতীব স্মার্ট ব্যক্তি তার হাত ধরে নির্বাচনে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নতুন মাত্রা " নির্বাচন শুরুর পূর্বেই ব্যালট বক্স পূর্ণ করা" যুক্ত হয়েছে . তিনিই আইন করে সাংবাদিকদের ইলেকশনে এক্টিভিটি রেকর্ড কিংবা অবলোকন করা থেকে দূরে রেখেছেন যাতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং কারো ক্যামেরায় ধরা না পড়ে !
শহীদ নগর সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহনের আগের দৃশ্য
https://www.bbc.com/bengali/news-46720707.amp
নির্বাচনে কাস্ট হওয়া অবৈধ ভোটগুলো যদু মধু কর্তৃক কাস্ট হওয়া সামান্য জাল ভোট নয়, এগুলো হলো দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অধিকতর গুরুতর অপরাধ সংঘটিত হওয়ার প্রমান বহন করে: ভোটের বাক্সে অবৈধ ব্যালট ঢুকানো, বিশ্বাস ভঙ্গ করা , আমানতের খিয়ানত করা ।
সিল, ব্যালট আর ভোটের বাক্সের গার্ডিয়ান হলো নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা পুলিশ, নির্বাচনী কর্মকর্তা-কর্মচারী।
শেখ হাসিনার দাবিকৃত নির্বাচনের দিন কোথাও জাল ভোট হয়নি ,হয়নি কেন্দ্র দখল করে ভোট স্টাফিং এর মত নির্বাচনী অনিয়ম।
এতো সুষ্ঠু সুন্দর সুশৃঙ্খল নির্বাচনের পর ব্যালট বাক্সে এতো অবৈধ ভোট কি প্রমান করেনা যে " রক্ষকই আসল ভক্ষক !"
http://www.nabiganjerdak.com/electiondata/policeig.mov
ভোটের এই অনিয়ম কি আমাদেরকে নিশ্চিত করে জানান দেয়না যে পুলিশ, নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা কর্মচারী এই সব অবৈধ ব্যালট কাস্টে জড়িত ???