বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডঃ এ.কে. মোনেম রাগান্বিত কণ্ঠে সাংবাদিকদের বলেছেন "বাংলাদেশের পুলিশ, ডিবি, ৱ্যাব কোন কিছু করলেই সাথে সাথে বিদেশি কুটনৈতিকেরা মানবতা লঙ্ঘন , মানবতা লঙ্ঘন বলে স্টেটমেন্ট দেওয়া শুরু করে। নিজেদের দেশের যে রাস্তাঘাটে প্রতিনিয়ত মানুষ খুন হচ্ছে তা নিয়ে কেউ মানবতা লঙ্ঘনের কথা বলেনা বা স্টেটমেন্ট দেয়না। "
শুধু বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীইনা আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন বাংলাদেশের পুলিশ কাউকে মারলে (অথবা মব কর্তৃক মারালে : পুলিশ হিরো আলমকে মবের হাতে তুলে দেয় ) যে আমেরিকানরা সাথে সাথে বাংলাদেশে মানবাধিকার যায় যায় বলে রব তুলে, সেই আমেরিকানরাই আবার মানবাধিকার নিয়ে টু শব্দটিও করেনা যখন তাদের দেশে ডাকাত কর্তৃক মানুষ হত্যা করা হয়। (যেমন: সেন্টলুইসে ডাকাত কর্তৃক বাঙলী রমিম উদ্দিন আহমেদ হত্যা) | তাহলে কি আমেরিকায় চোর ডাকাত খুনির হাতে মানুষ হত্যাকাণ্ড মানবাধিকার খর্বের পর্যায়ে পড়েনা?
সত্যি কথা হলো :
পুলিশ ৱ্যাব আর্মির মত আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থাগুলোকে বিশেষ পরিস্তিতিতে অপরাধীকে ব্যাটন চার্জ করা, গুলি করে হত্যা করার বৈধতা আইনে দেওয়া আছে, যারা আইনের সীমা লঙ্গন করে মানুষকে নির্যাতনকরে, হত্যা করে তাদের সেই নির্যাতনকে/ হত্যাকান্ডকে অপরাধ হিসাবে সাব্যবস্থা করতে তাদের হত্যাযজ্ঞ/নির্যাতনকে মানবতা বিরুধী দুস্কর্ম হিসাবে অবিহিত করা হয়। চোর, ডাকাত, খুনির বেলায় এই টার্ম ব্যবহার করা হয়না কারন চোর ,ডাকাত, খুনী মানেই মানবতা বিরুধী কাজের অপরাধে অপরাধী |
পুলিশ ৱ্যাবের মত আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থা গুলোর আইন বহির্ভুত কাজকে মানবতা বিরুধী কাজ হিসাবে গণ্য হলে তারা অপরাধি হিসাবে সাব্যস্ত হবে আর চুরি ,ডাকাতি, খুন এগুলো এমনিতেই অপরাধ, এসব অপকর্মের হুতাকে অপরাধী হিসাবে সাব্যস্ত করতে বাড়তি আর কোন টার্মের দরকার হয়না ||