বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে কমপক্ষে ১৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে অগ্নিকান্ডে কি পরিমান ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনো নিরূপন করা হয়নি। গতকাল দুপুর পৌনে ২টার দিকে একটি খাবার হোটেল থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। দীর্ঘ চেষ্টার পর বিকেল ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ততক্ষণে ছোট-বড় ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, শুক্রবার দুপুরে হঠাৎ মিরপুর বাজারের তেমুনিয়ার একটি খাবারের হোটেলে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ও বাহুবল ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা প্রায় সোয়া ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকান্ডে সফর আলীর চা দোকান, গোলহর মিয়ার মিষ্টির দোকান, ফরিদ মিয়ার ফলের দোকান, করিম মিয়ার হোটেল, টং দোকান ২টি, সেলুন, কম্পিউটার দোকান, মোবাইল সার্ভিসিং ছাড়া কয়েকটি টং দোকান পুড়েছে। বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনো জানা যায়নি। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আরিফুল ইসলাম জানান, প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। তিনি বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজের সময় হঠাৎ একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগে। মুহুর্তের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে স্থানীয়রা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে ব্যর্থ হলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। আগুনে ছোট বড় মিলিয়ে ১৪টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তিনি বলেন, পানি সরবরাহের ব্যবস্থা না থাকায় আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হয়েছে। তিনি বলেন, বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ বিশেষ করে মাদক উদ্ধার, হত্যা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাতি, ছিনতাইকারী ও প্রতারকসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া জনগনের সঠিক সেবা নিশ্চিত কল্পে র্যাব নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। র্যাব-৯ এর কাছে গোপন তথ্য ছিল যে, হবিগঞ্জ জেলা সদরস্থ নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি লাইসেন্স বিহীন বেসরকারী ক্লিনিক স্থাপন করে অপারেশন পরিচালনা ও চিকিৎসা ব্যবস্থপনায় অনিয়মের মাধ্যমে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে মানুষের জীবনকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। এসব অসাধু ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ এর একটি বিশেষ দল গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প, হবিগঞ্জের একটি আভিযানিক দল গত (১৪ মার্চ) বিকাল আনুমানিক ৩টা থেকে ৪টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত হবিগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ‘টি পপুলার জেনারেল হাসপাতাল’ এ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় লাইসেন্স ব্যতিত বেসরকারি ক্লিনিক স্থাপন এবং সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য করার অপরাধে হবিগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন, হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ‘টি পপুলার জেনারেল হাসপাতাল’কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং উক্ত ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার শরিফকানী গ্রামের মাসুক খাঁনের পুত্র মো: তারেক আজিজ খাঁন। তাকে ৭দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে মোবাইল কোর্ট মামলা নং- ১৭/২৪, তারিখ- ১৪ মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ, মেডিক্যাল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারী ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরী নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ-১৯৮২ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৫২ ধারা মূলে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে ও জরিমানার মাধ্যমে আদায়কৃত টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র্যাব সূত্রে জানাযায়।
নবীগঞ্জে কলেজ শিক্ষার্থী সৈয়দ রাইসুল হক তাহসিন হত্যা মামলার প্রধান আসামী মাহফুজুর রহমান মান্নাকে গ্রেফতার করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মৌলভীবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানাযায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলীর নির্দেশনায় এস আই রাজিব রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে মৌলভীবাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। মাহফুজুর রহমান মুন্না রাইয়াপুর গ্রামের হিফজুর রহমান হেবলুর পুত্র। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য যে, নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সৈয়দ রাইসুল হক তাহসিন হত্যাকান্ডে মান্না'কে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে নিহতের মা মাহফুজা সুলতানা বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ থাকে গ্রেফতার করে।